এই ২০টি রাজনৈতিক কৌতুক পড়লে আপনি না হেসে পারবেনই না

৫১৩১ পঠিত ... ২০:৫৪, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮

১#

এক শহরে ইঁদুরের ভয়ানক উৎপাত। সবাই যখন এই বিপদ থেকে বাঁচার জন্য মরিয়া, তখন এক লোক সেখানে এসে উপস্থিত। দশ লাখ টাকার বদলে সে সব ইঁদুর মেরে ফেলবে বলে জানালো। শহরের জনগণ রাজি হলো। তখন লোকটা তার বাক্স খুলে একটা গোলাপি ইঁদুর বের করলো। গোলাপি ইঁদুরটা শহরের সব ইঁদুরকে ঘর থেকে বের করে সঙ্গে নিয়ে নদীর তীরে গেল আর সেগুলোকে পানিতে ঝাঁপ দিতে বলল। তার কথা মতো সব ইঁদুর নদীতে লাফিয়ে পড়ে মারা গেল।
এবার গোলাপি ইঁদুটির মালিক তার দাবিকৃত দশ লাখ টাকা নিয়ে চলে যেতে নিতেই শহরের জনগণ তাকে জানালো, ‘ইয়ে মানে, আপনার কাছে কি কোনো গোলাপি রাজনীতিবিদ আছে?’

২#
‘হরতালের কিন্তু একটা সুফল আছে।’
‘কী?’
‘দেখছিস না রাস্তায় কোনো গাড়ি-ঘোড়া নেই, ধোঁয়া নেই, পরিবেশ দূষণ নেই।’
‘ঠিকই বলেছিস, রাস্তায় একটাও গাড়ি নেই, তবে একশটা টায়ার জ্বলছে।’

৩#
হরতালে এক সিনিয়র নেতা জুনিয়র নেতাকে—
‘ছি ছি, তুমি কোথায় রাস্তায় পিকেটিং করবে তা না ক্রিকেট খেলছ?’
‘না স্যার, ভুল বুঝলেন, আমাদের দেশের ক্রিকেটের যে দৈন্যদশা... তাই ক্রিকেটের রাজনীতিটা বোঝার চেষ্টা করছি!

৪#
ডাক্তারি পড়ে এক ছেলে একদিন চার্চিলের কাছে এসে বলল, ‘দেখুন, আমি ডাক্তারি ছেড়ে চলে এসেছি।’
‘কেন?’
‘আমি আপনার মতো রাজনীতি করে দেশ সেবা করতে চাই।’
‘দেখো বাছা। তুমি ডাক্তারি ছেড়ে দিয়েছ এতেই যথেষ্ট দেশ সেবা করা হয়েছে... রাজনীতি করার আর দরকার নেই।’

৫#
‘বড় হয়ে তুই কী হবি?’
‘রাজনীতিবিদ।’
‘কেন?’
‘কারণ রাজনীতিবিদের প্রথম এবং শেষ ট্রেনিং হচ্ছে পুলিশের ধোলাই খাওয়া। সেটা আমার প্রতিদিনই হচ্ছে।’
‘মানে?’
‘বাহ্‌, আমার বাবা একজন পুলিশ অফিসার যে!’

৬#
সারাজীবন নিবেদিতপ্রাণ এক রাজনীতিবিদ বিয়ে করেননি। চিরকুমার। এক সাংবাদিক ইন্টারভিউ নিচ্ছে—
‘কিছু যদি মনে না করেন একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন করতে পারি?’
‘করুন।’
‘আপনি তো চিরকুমার, কখনোই কি কাউকে চুমুও খাননি?’
‘একেবারে না বলা ঠিক হবে না। একবার আর্মি ক্যু হলো, আমাকে ধরে নিয়ে গেল আর্মিরা আর কখনো রাজনীতি করবো না বলে নাকে খত দেয়ালো তখন একবার মেঝেতে ঠোঁট লেগে গিয়েছিল!’

৭#
‘তোমার দুই ছেলে কী করে?
‘বড় ছেলে রাজনীতি করে। আজ না হোক কাল মন্ত্রী হবে।’
‘আর ছোট ছেলে?’
‘ওর কথা বলবেন না। সবে একটা ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হয়েছে।’

৮#
এক জনপ্রিয় নেতা বক্তৃতা দেবেন। জনসভা লোকে লোকারণ্য। তা দেখে একজন ওই নেতাকে বললেন, ‘আপনি বক্তৃতা দেবেন শুনলেই লোকজন ছুটে আসে—ময়দান ভরে যায়। এতে আপনার কেমন লাগে?’
‘লাগে ভালোই। গর্বে বুক ভরে যায়। কিন্তু তখনই আমি আরেকটা কথা ভাবি।’
‘কী ভাবেন?’
‘ভাবি যে এটা আমার বক্তৃতার মঞ্চ না হয়ে যদি আমার ফাঁসির মঞ্চ হতো, তাহলে এর তিনগুণ লোক জমায়েত হতো।’

৯#
বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা। প্রহরী অন্ধকারে কারো পদধ্বনি শুনতে পেল।
‘হল্ট! কে যায়?
‘আমি বাংলাদেশি।’
‘প্রমাণ দাও, জাতীয় সংগীত গাও।’
‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।’
‘দ্বিতীয় স্ট্যাঞ্জা শোনাও।’
‘এ্যাঁ... ইয়ে...’
‘ঠিক আছে, তুমি যেতে পার। শুধু বাংলাদেশিরাই সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীতটা জানে না। বিদেশীরা সম্পূর্ণ শিখে আসে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়।’

১০#
এক পাকিস্তানি আর এক ইন্ডিয়ান লোকের দেখা হলো।
‘আপনাদের দেশের ওপর পারমাণবিক বোমা হামলা হলে আপনাদের কী করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে?’
‘আমাদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে, ‘পারমাণবিক বোমা হামলা হলে আপনারা মাটিতে শুয়ে পড়বেন। তারপর হামাগুড়ি দিয়ে ধীরে ধীরে শ্মশানের দিকে এগোতে থাকবেন।’

১১#
মাছের দোকানে ক্রেতা-
‘আমাকে ওই রাষ্ট্রনায়ক মাছটি দিন।’
‘রাষ্ট্রনায়ক মাছ মানে?’
‘ওই যে ওই মোটাসোটা, চর্বিওয়ালা মাথাবিহীন মাছটা।’

১২#
মর্নিংওয়াক করতে বেরিয়েছেন একজন রাজনৈতিক নেতা। সাথে তাঁর প্রিয় কুকুর। নেতার এক বন্ধু তাঁকে দেখে বলল, ‘কী ব্যাপার, গাধা নিয়ে বেরিয়েছ যে?’
‘ভালো করে দেখে বলো। গাধা না কুকুর?’
‘দেখেই বলছি। আমি তো তোমাকে বলিনি, বলেছি তোমার কুকুরকে।’

১৩#
একজন সাংবাদিক একজন টহল পুলিশের সাক্ষাৎকার নিচ্ছে।
‘আপনি ঘুষ খান?’
‘খাই।’
‘রাতে রাস্তায় যে মেয়েরা ঘোরাফেরা করে তাদের ব্যবহার করেন?’
‘মাঝে-মাঝে তো করতেই হয়।’
‘রাজনীতি করেন?’
‘না, অতটা খারাপ এখনো হইনি।’

১৪#
নেতা : বক্তৃতায় অনেক বেশি সময় নিয়ে ফেললাম, সরি। আসলে হয়েছে কী, হাতে ঘড়ি নেই তো—
দর্শকদের মধ্য থেকে একজন : কিন্তু পেছন দিকে একটা ক্যালেন্ডার তো ছিল।

১৫#
মন্ত্রী তার সেক্রেটারিকে বললেন, দশ মিনিটের একটা বক্তৃতা লিখে দিতে। সেক্রেটারি বক্তৃতা লিখে মন্ত্রীকে দিলেন। কিন্তু পড়তে গিয়ে মন্ত্রী দেখলেন বক্তৃতা তিরিশ মিনিটেও শেষ হচ্ছে না। রেগে-মেগে মন্ত্রী ডাকলেন সেক্রেটারিকে।
‘কী ব্যাপার, বক্তৃতা এত বড় কেন?’
‘স্যার, বক্তৃতা দশ মিনিটেরই আছে। আপনাকে আমি তিনটি কার্বন কপি দিয়েছিলাম।’

১৬#
একটা সমাধির সামনে এক লোক দাঁড়িয়ে পড়ল। সেখানে পাথরে খোদাই করা আছে—‘এখানে সমাহিত আছেন একজন দেশপ্রেমিক এবং একজন সৎ রাজনীতিবিদ।’
লোকটি লেখাটা পড়ে ফিসফিস করে বলল, ‘এতটুকু একটা সমাধিতে দু’জনের স্থান হলো কিভাবে?

১৭#
‘আমার স্বামীর জন্য একটা পিস্তল দিন।’ বন্দুকের দোকানে গিয়ে এক মহিলা বললেন।
‘আপনার স্বামী কী করেন?’
‘রাজনীতি।’
‘তাহলে তো পিস্তল লাগবেই। আচ্ছা কোন মডেল উনার পছন্দ?’
‘সেটার দরকার নেই, ও জানেই না। ওটা আমি ব্যবহার করব।’

১৮#
ছেলে : মা রূপকথার গল্প কী সব সময় Once upon a time দিয়ে শুরু হয়?
মা : না সব সময় না, মাঝে মাঝে ‘ভায়েরা আমার, গণতন্ত্র রক্ষার জন্য প্রয়োজনে বুকের রক্ত ঢেলে দেব' দিয়েও শুরু হয়।’

১৯#
শিক্ষক : কী ব্যাপার মাহিন, তুমি দেশপ্রেমের উপর রচনার Home work আনোনি কেন?’
ছাত্র : Home Work করেছিলাম স্যার, কিন্তু বাবা নিয়ে গেলেন যে।
শিক্ষক : মানে?
ছাত্র : বাবা রাজনীতি করেন তো। আজ একটা মিটিংয়ে উনার বক্তৃতা আছে।

২০#
পাড়ার ছেলেরা বার্ষিক অনুষ্ঠান করবে, তার জন্য চাঁদা তুলে হিসেবে বসেছে— ‘সবচেয়ে বেশি চাঁদা দিয়েছেন আমাদের পাড়ার পলিটিশয়ান সরকার সাহেব।’
‘কত?’
‘দশ হাজার টাকার চেক।’
‘কিন্তু চেকে তো সই করেননি।’
‘উনি আবার প্রচারবিমুখ কি না!’

৫১৩১ পঠিত ... ২০:৫৪, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top