১৫টি হাসির রাজনৈতিক কৌতুক, না পড়লে মিস করবেন কিন্তু!

৯২৮৮ পঠিত ... ০১:০৭, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮

১#
এক অত্যাচারী শাসক একদিন ছদ্মবেশে বের হলো শহরে। সাধারণ লোকজন তার সম্পর্কে কী ধারণা পোষণ করে সেটা জানাই তার উদ্দেশ্য। এক রেস্টুরেন্টে ঢুকে এক খদ্দেরকে জিজ্ঞেস করলো সে, ‘আচ্ছা, বলুন তো আমাদের শাসক লোকটা কেমন?’
খদ্দেরটা গম্ভীর হয়ে গেল। ভয়ে ভয়ে আশেপাশে তাকিয়ে ইশারায় জানালো বাইরে যেতে। বাইরে গিয়েও বলতে ভয় পাচ্ছে লোকটা। এবার ইশারায় একটা গাড়ি দেখিয়ে তাতে উঠল। দুজনকে নিয়ে গাড়ি গেল বহুদূরে এক জঙ্গলের পাশে। পাছে কেউ শুনে ফেলে এই ভয়ে লোকটা গাড়ি থেকে নেমে গভীর জঙ্গলে ঢুকল। ছদ্মবেশী শাসকও তার সাথে সাথে গেল।

অবশেষে লোকটা থেমে মুখ কাছে এনে ফিসফিস করে বললো, ‘আমি লোকটাকে পছন্দ করি'।

 

২#
‘হরতালের কিন্তু একটা সুফল আছে।’
‘কী?’
‘দেখছিস না রাস্তায় কোনো গাড়ি-ঘোড়া নেই, ধোঁয়া নেই, পরিবেশ দূষণ নেই।’
‘ঠিকই বলেছিস, রাস্তায় একটাও গাড়ি নেই, তবে একশটা টায়ার জ্বলছে।’

 

৩#
‘আচ্ছা রাজনীতির প্রথম কথা কী?’
রাজনীতির প্রথম কথা হচ্ছে ‘রাজনীতির শেষ কথা বলে কিছু নেই।’

 

৪#
রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে পাশাপাশি দুই যাত্রী দাঁড়িয়ে আছেন।
‘ভাই, আমার ব্রিফকেসটা একটু ধরবেন, আমি একটু টয়লেটে যাব।’
‘আমি ব্রিফকেস ধরব! জানেন আমি একজন সংসদ-সদস্য!’
‘তাতে কী হয়েছে? আমি তো আর অস্বীকার করছি না।’

 

৫#
একজন সার্জন, একজন আর্কিটেক্ট এবং রাজনীতিবিদ তর্ক করছেন কার পেশা সবচেয়ে প্রাচীন এই বিষয়ে।
সাজর্ন বললেন, ‘ইভকে অ্যাডামের পাঁজরের হাড় থেকে তৈরি করা হয়েছে এবং সেটা একটা সার্জিক্যাল অপারেশন।’
আর্কিটেক্ট বললেন, ‘হতে পারে। কিন্তু তার আগে বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে একটা নিয়মশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, আর
সেটা অবশ্যই একটা আর্কিটেকচারাল কাজ।’
রাজনীতিবিদ বললেন, ‘কিন্তু বিশৃঙ্খলাটা করলো কারা?’

 

৬#
কমিউনিস্ট একনায়ক মৃত্যুশয্যায় শায়িত। দীর্ঘদিনের সঙ্গী ডান হাত তাঁর পাশে। দর দর করে অশ্রু গড়াচ্ছে। একনায়ক ফিসফিস করে বললেন, ‘কেঁদো না, কমরেড! তোমার আনুগত্যের কারণে আমার সমস্ত সঞ্চিত অর্থ, তিনটে গাড়ি, প্লেন, জমিজমা সবকিছু তোমাকে দিয়ে যাচ্ছি।’
‘থ্যাঙ্ক ইউ কমরেড, থ্যাঙ্ক ইউ। আপনার জন্য এ মুহূর্তে সামান্য কিছুও যদি করতে পারতাম।’
অতিকষ্টে শ্বাস নিয়ে একনায়ক বললেন, ‘পারো, দয়া করে অক্সিজেন টিউব থেকে তোমার পা’টা সরাও।’

 

৭#
এক তরুণ দীর্ঘদিন বেকার থাকার পর হঠাৎ ক্ষেপে গিয়ে তার সব সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলে দিল। শুধু এইট পাসের
সার্টিফিকেটটা রাখল। তার এক বন্ধু জানতে চাইল, ‘ওটাই বা রাখলি ক্যান?’
‘ওটা রেখেছি পুলিশের কনস্টেবল পদে জয়েন করার জন্য।’
‘মানে?’
‘মানে কনস্টেবল হয়ে রাজপথে চান্স মতো দেশের নেতাদের আচ্ছামত লাঠি পেটা করব... ওদের কারণেই তো দেশে
চাকরি বাকরি নেই!’

 

৮#
‘কত গরু পিটিয়ে মানুষ করলাম শুধু একটাকেই পারলাম না।’
‘কার কথা বলছেন?’
‘ঐ যে রফিকের কথা বলছি।’
‘কেন সে এখন কী করে?’
‘শুনলাম নাকি বড় নেতা হয়েছে।’

৯#
প্রফেসর : এই ছেলে তুমি কি নিজেকে একজন পলিটিশিয়ান মনে করছ নাকি?
ছাত্র : না স্যার।
প্রফেসর : তাহলে গাধার মতো কথা বলো না।

 

১০#
মৃত্যুর পূর্বে স্ট্যালিন ক্রুশ্চেভের কাছে দুটি খাম দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, যাতে তিনি জরুরি অবস্থায় খাম দুটি খোলেন।
ক্রুশ্চেভের প্রথম ছয় বছর কাটলো অত্যন্ত নির্ঝঞ্ঝাটে। যখন তিনি সমস্যা দেখলেন তখন প্রথম খাম খুললেন। তাতে লেখা ছিল, ‘রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভুলত্রুটির জন্যে এখন তুমি আমাকে সমালোচনা করতে শুরু করো।’ এই কৌশল সফল বলে প্রমাণিত হলো।
এরপরের পাঁচ বছর আবারো ক্রুশ্চেভকে কোনো সমস্যা মোকাবিলা করতে হলো না। যখন সমস্যা দেখা দিল, তিনি দ্বিতীয় খামটি খুললেন। এতে লেখা ছিল, ‘এখন তোমার সময় এসেছে এ ধরনের দুটি খাম প্রস্তুত করে অবসর নেয়ার।’

 

১১#
আমেরিকার আফগানিস্তান আগ্রাসন নিয়ে জোক-
আমেরিকা, রাশিয়া আর আফগানিস্তানের তিন যুবক নৌকা করে নদী পার হচ্ছিল।
আমেরিকান যুবকটি তার পায়ের ফারকোটটি নদীতে ফেলে দিয়ে বলল, ‘এটা আমাদের দেশে Available।’
রাশিয়ান যুবকটি তার ব্যাগ থেকে একটা ভদকার বোতল বের করে এক চুমুক দিয়ে নদীতে ফেলে দিয়ে বলল, ‘এটা আমাদের দেশে Available।’
আফগান যুবকটি তখন মাথার পাগড়ি খুলে আমেরিকান যুবকটিকে বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে বলল, ‘আমাদের দেশে এটাও Available।’

 

১২#
স্বর্গ আর নরকের মাঝের দেয়ালটি প্রায়ই ভেঙে যায় নানা কারণে। দু’দলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হলো দু’পক্ষই পর্যায়ক্রমে দেয়ালটি মেরামত করবে।
প্রথমবার স্বর্গবাসীই দেয়ালটি মেরামত করলো। দ্বিতীয়বার সেই দেয়াল ভাঙার পর নরকবাসীরা দেখল, যতদিন মেরামত না হবে ততদিনই স্বর্গের হাওয়া উপভোগ করা যাবে। তাই আজ নয় কাল বলে গড়িমসি শুরু করল।
একদিন স্বর্গের দূত কড়া নির্দেশ নিয়ে এলো, আজকের মধ্যেই এই দেয়াল মেরামত করে দিতে হবে।
নরকবাসীরা বলল, ‘আমাদের নেতার সাথে পরামর্শ করে নিই, তারপর মেরামত করব।’
স্বর্গের দূত বলল, ‘ওখানটাতেই তো মরেছি ভাই, রাজনৈতিক নেতা তো আমাদের একটিও নেই!’

 

১৩#
পাকিস্তানের এক্স ডিকটেটর জিয়া সার্ক সম্মেলনে ভারত যাবেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তার ব্যক্তিগত নাপিত অসুস্থ। তিনি আবার ক্লিন সেভড না হলে কোনো আলোচনায় মন বসাতে পারেন না। তখন তার অসুস্থ নাপিত জানাল, ‘স্যার আপনি ভাববেন না, ওখানে আমার এক ভাই আছে করিম, সেও ভালো নাপিত। তাকে আমি খবর দিয়ে দিয়েছি, সে আপনাকে ক্লিন সেভড করে দেবে আমার মতোই।’
প্রেসিডেন্ট জিয়া নিশ্চিত হয়ে রওনা হলেন ভারতে। ওখানে পৌঁছে ক্লিন সেভড হতেও সমস্যা হলো না। ভালো শেভ করল করিম।
পরে করিমকে একদিন ফোনে জিজ্ঞেস করল প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত নাপিত—
‘তুমি আসলে কিভাবে উনাকে ক্লিন শেভড করলে?’
‘কেন তুমি যেভাবে করতে।’
‘আমি কিভাবে করি বলো তো?’
‘ঐ যে ‘ইলেকশন কবে দিচ্ছেন?’ বললেই তার সব দাড়ি-গোফের গোড়া শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে যায় তখন আমি ক্ষুর চালাই আরামে...’

 

১৪#
স্বাস্থ্যমন্ত্রী গেছেন একটা হাসপাতাল পরিদর্শনে। বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখার পর হাসপাতালের পরিচালক আহ্বান জানালেন লেবার ওয়ার্ডে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বললেন- ‘না না! লেবার মিনিস্ট্রি আমার আওতায় না।’

 

১৫#
তিন বন্ধু। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার এবং রাজনীতিবিদ। একসঙ্গে গেছেন গ্রামে বেড়াতে। সন্ধ্যার সময় পথ হারিয়ে তারা এক চাষীর বাড়িতে উঠলেন। চাষী জানাল—তার ঘরে জায়গা আছে মাত্র দু’জনের, একজনকে পাঁঠার ঘরে থাকতে হবে।
ডাক্তার বললেন, ‘কোনো অসুবিধা নেই, আমি থাকব পাঁঠার ঘরে।’ কিন্তু ডাক্তার পাঁঠার গন্ধ সহ্য করতে না পেরে দশ মিনিটের মধ্যেই বেরিয়ে এলেন।
ইঞ্জিনিয়ার বললেন, ‘ঠিক আছে আমি যাচ্ছি। আমি থাকতে পারব।’ কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারও বেরিয়ে এলেন বিশ মিনিটের মধ্যেই।
রাজনীতিবিদ গেলেন সবশেষে। তিনি আর বের হন না। আধঘণ্টা পরে পাঁঠাটাই বের হয়ে এলো।

৯২৮৮ পঠিত ... ০১:০৭, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top