ট্রাম্প: এই, মিটিং কয়টায় রে?
সেক্রেটারি: বস, রাত তিনটায়।
ট্রাম্প: কী? স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এত আপডেটেড! আমার তো এমনিতেই এলি-জেলিদের সাথে মিটিং করতে করতে চারটা বেজে যায়, মিটিং টাইমিং ইজ ফ্যান্টাস্টিক।
সেক্রেটারি: উপদেষ্টা ঢুকছে...বস, উপদেষ্টা স্যুট পড়ে নাই।
ট্রাম্প: ভালো হয়ে যাও মাসুদ। রাত তিনটায় হয়তো ঘুম থেকে উঠেই চলে এসেছে। যতই সে আপডেটেড হোক, ওর চোখ দেখে বোঝা যাচ্ছে। প্যান্ট থাকলেই এনাফ।
উপদেষ্টা: হ্যালো! আমি খুব অ্যাক্টিভ। ইমার্জেন্সি সব মিটিং আমি রাতেই করি, এক্ষেত্রে রাত তিনটা আমার জন্য লাকি। কাঁচা ঘুমে কথা বললে কথায় একটা মায়া মায়া ভাব থাকে, চোখ ছোটো ছোটো থাকে।
ট্রাম্প: আপনি কি বলতে চান আমার চোখ ছোটো না? কথায় মায়া ভাব নেই? হাও ডিসরেসপেক্টফুল!
উপদেষ্টা: আরেহ, আমার কথার উল্টো অর্থ তো দেখি আপনিও করতেছেন। ঠিক আছে। পাইল মতো কথা বললে তো আর আপনার কোনো অভিযোগ থাকবে না।
সেক্রেটারি: ট্রাম্প বস, আপনে ওনার সাথে প্যাঁচায়েন না, পারবেন না!
ট্রাম্প: বলছ? আচ্ছা ঠিক আছে। আচ্ছা শুনলাম আপনি নাকি কঠোর নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলেছেন। আমার একটু নিরাপত্তা দরকার, টিনা খুব জ্বালাচ্ছে। অফিশিয়ালি কিছু করতে গেলে বউ জেনে ফেলবে। তাই গোপনে আপনার শরণাপন্ন হলাম।
উপদেষ্টা: টিনা ফিনা কিংবা কার্টুনের মিনা কোনোটাই আমার কাছে ঘটনা না। এমন উইচ ধরার জন্য আমার আছে স্পেশাল ফোর্স , অপারেশন উইচ হান্টিং! আপনি শুধু একটু অপেক্ষা করেন, সন্ধ্যার পর থেকে টের পাবেন। ফোর্সের কেউ দায়িত্বে অবহেলা করলে কিংবা টিনাকে পাকড়াও করতে না পারলে আমি লাইভে এসে তাকে গালাগালি করে খাগড়াছড়ি ট্রান্সফার করব। খাগড়াছড়ি চেনেন তো?
ট্রাম্প: ইয়া....আইনো আইনো। আপনি একটা কাজ করেন। খাগড়াছড়ি পরিষ্কার করার ব্যবস্থাও করেন। জায়গাটা সুন্দর। আরও সুন্দর হওয়া উচিত। ওখানে পর্যটক যাওয়া মাস কয়েক বন্ধ রাখেন।
উপদেষ্টা: এমন সব সংস্কারে আমি অবশ্যই আগ্রহী। আর কী কী সাহায্য লাগবে খালি বলেন। আপনি বলার পর বসার, দাঁড়ানোর, কিংবা ঘুমানোর সময় পাইবেন না। তার আগেই কাজ হয়ে যাবে। আমি সব কাজ টাইম টু টাইম 'চেষ্টা করার' চেষ্টা করি।
ট্রাম্প: গোপন সূত্রে জানলাম অভিবাসন নীতির জন্য কিছু মানুষ আমার পদত্যাগ দাবি করতে পারে। এই জিনিস খুব ভয় লাগে আমার। আপনার কোনো পরামর্শ আছে?
উপদেষ্টা: এটা আমার জন্য নতুন কিছু না। এই জিনিস মোকাবেলা করা পানির মতো সোজা, ইজি লাইক ওয়াটার।
আপনি প্রথমেই দেবেন খিচ মনে মনে, চেয়ার ছাড়া যাবে না।
তারপর একটা অতি জরুরী সংবাদ সম্মেলন করবেন। মানুষ টের পাবে আপনার উদ্বেগ। তখন আপনি এমন কড়া কড়া ঘোষণা দেবেন!
ট্রাম্প: কী ঘোষণা?
উপদেষ্টা: সেটা মুখ্য নয়। সব কথার আপনি পজিটিভ উত্তর দেবেন তা যা হোক। কথা একটাও পড়তে দেবেন না। প্রয়োজনে কিছু গতানুগতিক কথা, যেমন 'কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে '/ কোনো নিস্তার নেই '/ ফ্যাসিবাদের দোসররা এসব করছে/... মুখস্থ রাখতে পারেন।
ট্রাম্প: কিন্তু আমার এখানে তো ফ্যাসিবাদ ছিল না।
উপদেষ্টা: আহারে, কত জ্বালাময়ী ডায়ালগ এই জীবনে আর দিতে পারলেন না। দায়সারা কথা বলারও সুযোগ আপনার কম। দুঃখজনক।
ট্রাম্প: ঠিক আছে । কিন্তু এতে কী কাজ হবে বলে মনে করেন?
উপদেষ্টা: আলবৎ! তারপরও ঝামেলা হলে আমি তো আছিই।
ট্রাম্প: ইট ওয়াজ নাইস মিটিং ইউ, মাস্কের সাথে আমার একটু ক্লাবে যেতে হবে । সি ইউ নট ফর মাইন্ড!
পাঠকের মন্তব্য