হাইকোর্টের উকিল হয়েও যে কারণে লোকটি হিসাব মেলাতে পারলেন না

২০৪৭ পঠিত ... ২০:৫৮, জুলাই ০১, ২০২০

মাঝরাতে শহর থেকে অনেক দুরে হাইকোর্টের এক উকিলের গাড়ি বিগড়ে গেল। অনেক খোঁজাখুজির পর একটা ফার্ম হাউসের সাইনবোর্ড চোখে পড়ায় একটু আশার আলো দেখতে পেলেন। তিনি সেই ফার্ম হাউসের দিকে এগিয়ে গেলেন একটু সাহায্যের প্রত্যাশায়। 

সেখানে গিয়ে ডাকাডাকি করতেই এক সুন্দরী নারী বেরিয়ে এলেন এবং বললেন, দেখুন আমি এখানে একা থাকি, গ্যারেজ তো আর সকালের আগে খুলবে না, কারণ ওরা গ্যারেজ বন্ধ করে চলে গেছে। 

আপনাকে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। 

উকিল বললেন, 'ঠিক আছে, কিন্তু আমি আপনার কাছে অনুরোধ করছি পুরো রাতটা কাটাবার জন্য দয়া করে আমাকে একটু স্থান দিন।'  

: কিন্তু স্যার, আমি যে এখানে একা থাকি।
: আপনার ভয় পাবার কোন কারণ নেই, আমি একজন হাইকোর্টের উকিল।
: কিন্তু স্যার, এখানে শুধু একটাই বেডরুম আছে এবং সেটা আমি ব্যবহার করি।
: বললাম তো ভয়ের কিছুই নেই, আমি হাইকোর্টের উকিল ৷

এরপর তারা দুজনে বেডরুমে ঢোকার পর নারীটি বললেন, 'কিন্তু স্যার এখানে তো একটাই বেড আছে।'

উকিল বললেন, ভয়ের কিছু নেই, আমি হাইকোর্টের একজন উকিল। 

এরপর তারা একজন আরেকজনের দিকে পেছন ফিরে একই বেডে শুয়ে রাতটা কাটিয়ে দিলেন।  

পরদিন সকালে উঠে উকিল ওই নারীর সাথে ফার্মহাউসের দিকে এক চক্কর দিলেন। তারা দেখলেন, ফার্মহাউসের পাশে একটা মুরগির খাঁচা পড়ে আছে। খাঁচাটির কাছে গিয়ে উকিল দেখলেন, সেখানে ১০টা মুরগি আর ৬০টি মোরগ রয়েছে। উকিলের মনে একটা খটকা লাগলো। 

তিনি বললেন, '৬০টা মোরগ আর মাত্র ১০ টা মুরগি? আপনার মনে কি কোন খটকা লাগছে না?'

: এতে খটকা লাগার কি হলো ? এই ৬০ টি মোরগের মধ্যে মাত্র ১০টিই কাজের। 

: তাহলে বাকি ৫০টি?  

: বাকিরা সব হাইকোর্টের উকিল।

২০৪৭ পঠিত ... ২০:৫৮, জুলাই ০১, ২০২০

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top