এক বাংলাদেশি কুস্তিগীর। খুব তার নামডাক। অলিম্পিকে খেলতে গেল দেশের হয়ে।
একে একে ভারতীয়, চাইনিজ, রাশিয়ান, নাইজেরিয়ান কুস্তিগীরকে হারিয়ে সে ফাইনালে গিয়ে পেল আমেরিকান ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নকে।
ফাইনালের আগে বাংলাদেশের কুস্তিগীরকে কোচ বলল, দেখো, এই আমেরিকানের একটা বিখ্যাত জিলাপীর প্যাঁচ আছে। এই প্যাঁচে যে পড়েছে, সে আর বের হতে পারে নাই। খবরদার ওর জিলাপীর প্যাঁচে পড়বা না।
ফাইনাল শুরু হলো। মুহূর্তের মধ্যে আমেরিকান কুস্তিগীর বাংলাদেশীকে ধরে জিলাপির প্যাঁচে আটকে ফেলল। বাংলাদেশীর আর নড়ার কোনো উপায় নেই। আমেরিকান দর্শকদের উল্লাসে টেকা যাচ্ছে না।
রেফারি এগিয়ে গেল। এক, দুই, তিন বললেই আমেরিকান জিতে যাবে।
হুট করে কী হলো, আমেরিকান কুস্তিগীর ছিটকে দশ ফুট ওপরে উঠে গেল, তারপর ধড়াস করে পড়ল। বাংলাদেশী কুস্তিগীর ধীরেসুস্থে উঠে আমেরিকান কুস্তিগীরের ওপর দাঁড়াল। রেফারি এক, দুই, তিন বলল। বাংলাদেশী চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল।
খেলার পর কোচ জিজ্ঞেস করল, তুমি কী এমন করলে যে জিলাপীর প্যাঁচ ছুটিয়ে জিতে গেলে?
কুস্তিগীর বলল, স্যার, জিলাপীর প্যাঁচে পড়ে তো আমার নড়ার উপায় নাই। দম বন্ধ হয়ে আসতেছে। হুট করে দেখি, নাকের ওপরে দুইটা বল ঝুলতেছে। দিলাম খিঁচে একটা কামড়! তারপর স্যার যা বুঝলাম, নিজের বিচিতে কামড় পড়লে আপনাকে আটকে রাখবে, দুনিয়ায় এমন কোনো শক্তি নাই!
পাঠকের মন্তব্য