তামিমের বহু আগে হাসপাতাল থেকে ক্রিকেট মাঠে গিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন শাকিব খান

১৯৬৪ পঠিত ... ১৯:৪৮, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮

এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে ভাঙা হাত নিয়ে মাত্র একটি বলের মোকাবেলা করেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। তাতেই তামিম তামিম চিৎকার, ফেসবুক স্ট্যাটাস আর গণমাধ্যমে তামিমের সাহসিকতায় সয়লাব। অথচ আমরা ভুলে যাই, নাম্বার ওয়ান কিন্তু শাকিবই। 'আল হাসান' নয়, আমরা বলছি যার নাম খান, সেই শাকিব খানের কথা। তামিম ইকবালের চেয়ে আরো ভয়াবহ রকম আহত হয়েও তিনি মাঠে নামে খেলে ম্যাচ জিতিয়েছেন আরো অনেক বছর আগেই! শুধু বুয়েট থেকে পাশ করা প্রথম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারই নন, ব্যাটসম্যান হিসেবে ডেডিকেশনের দিক থেকেও শাকিব ছাড়িয়ে গেছেন তামিম ইকবালকে!

কয়েক বছর আগের কথা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সাথে তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ বাংলাদেশের। ২৭৩ রানের টার্গেটে ব্যাট হাতে বাংলাদেশ দল নিস্প্রভ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ছে। এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একমাত্র ভরসা তখন হাসপাতালে। গ্যালারি ভর্তি দর্শকের চিৎকার নেই। দলের এমন নড়বড়ে অবস্থা দেখে হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান, বাংলাদেশ দলের কান্ডারি অসুস্থ্য অবস্থাতেই হাসপাতাল থেকে প্যাড পরে বেরিয়ে এলেন। কিন্তু বিধিবাম! অজ্ঞাত কোনো শত্রু হসপিটালের করিডোরে বেঁধে রেখেছে তার প্রিয়তমাকে। উভয়সংকটে পড়া এই দেশপ্রেমিক ব্যাটসম্যান নিমিষে উড়িয়ে দিলেন গুন্ডাদের। হাসপাতাল থেকে প্রেমিকাকে উদ্ধার করেছেন, এখন দেশের জন্য কিছু করার পালা।

মালিকহীন একটি মটরবাইকে চেপে বসেই চাবি ছাড়াই সরাসরি ফোর্থ গিয়ারে ছুঁটে চলছেন স্টেডিয়ামে। তাঁকে যে আজ খেলতেই হবে! আবারও বাঁধা, বাইক দূর্ঘটনায় দু'জনেই আহত। প্রেমিকা তখন প্রেমিককে উৎসাহিত করলেন। আমাদের দেশের একমাত্র ভরসা প্রেমিকাকে মাঝরাস্তায় রেখেই বাতাসের গতিতে ছুঁটেছেন গ্যালারিতে।

গ্যালারি এবার প্রাণ ফিরে পেলো। ৪৭.২ ওভার। ১৬ বলে ৫৪ রান দরকার। হাতে এক উইকেট। টর্নেডোর গতিতে একের পর এক ছয়, চার। শেষ বলে চার রান দরকার। বাউন্ডারিতে পাঠাতে না পারলেও দৌড়ে সিঙ্গেল নিয়েই জিতেছি সেই ম্যাচ।

একজন খেলোয়াড় হাসপাতালের বেড থেকে উঠে এসে একসিডেন্ট করে হেলমেট, গ্লাভস ধার নিয়ে মাঠে নেমে দেশের মুখ উজ্জ্বল করে ফিরেছেন। তিনি আর কেউ নন, গড ইজ ওয়ান, লাইফ ইজ ওয়ান, নাম্বার ওয়ান শাকিব খান!

অথচ, দেশের মানুষ সে কথা ভুলে গেছে। সব কৃতিত্ব আজ তামিমের। মানুষ জানলোই না, তামিম ইকবালের এমন সাহসিকতার পেছনে আছেন সুপারস্টার শাকিব খানের অনুপ্রেরণা। কোথাও কেউ বললোনা, শাকিব খান এমন দৃষ্টান্ত রেখেছেন বলেই বুক চিতিয়ে ভাঙা হাতে বল মোকাবেলা করে এশিয়া কাপে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তামিম।

দেশের মানুষ ভুলে গেলেও আমরা ভুলিনি। এশিয়া কাপে তামিমের এই অনবদ্য সাহসিকতার দৃষ্টান্ত দেখে আমরা স্মরণ করছি শাকিব খানের পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী ২ সিনেমার কথা। অথচ, সেই শাকিব খানকে নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি৷ ফোন করেননি প্রধানমন্ত্রী। দর্শকদের নেই কোনো মাতামাতি।

যারা ক্রিকেট ইতিহাসে ঘটে যাওয়া এই বিস্ময়কর ঘটনা বিশ্বাস করতে পারছেন না, নিচের ভিডিওটি দেখে নিজেই যাচাই করে নিন!

১৯৬৪ পঠিত ... ১৯:৪৮, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top