১#
এক লোক জুতার দোকানে ঢুকে দোকানদারকে বললেন, 'আমাকে এক জোড়া জুতো দেখান তো।'
'কোন সাইজের দেখাবো, স্যার?'
'আমার সাইজ তো ১০। কিন্তু আমাকে ৫ নম্বর সাইজের একটা জুতো দেখান।'
'সে কি স্যার! অন্য কারো জন্য নিচ্ছেন বুঝি?'
'না, না। আমার জন্যেই নেব। জুতা অনেক টাইট হবে আমার পায়ে, কিন্তু দিনশেষে যখন জুতা জোড়া খুলব তখন পুরো দিনের মধ্যে এক মূহুর্তের জন্য হলেও তো আরাম পাব।'
২#
স্ট্যালিন এক ভাষণে বলছেন, 'আমি শ্রমিকদের জন্য এক ফোঁটা করে করে নিজের রক্ত দিতে প্রস্তুত'...
পাশ থেকে মঞ্চে স্টালিনকে একজন একটি চিরকুট পাস করল। তাতে লেখা, 'প্রিয় কমরেড স্টালিন, এক-দুই ফোঁটা করে সময় বাড়িয়ে কী লাভ? এক্ষুনি পুরোটা দিন না।'
৩#
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যেতে এক লোক ভিসার জন্য অ্যাপ্লাই করেছে। কারণ হিসেবে দেখিয়েছে যে তার ভাই অসুস্থ, তাই সে ভাইকে সাহায্য করতে যাচ্ছে। পাসপোর্ট অফিসের এক লোক তাকে প্রশ্ন করল, 'আপনার ভাই এই দেশে এসে আপনার কাছে থাকছে না কেন? তাহলেই তো আপনি দেখাশোনা করতে পারেন।'
তিনি বললেন, 'আমার ভাই শারীরিকভাবে অসুস্থ। মানসিকভাবে নয়।'
৪#
এক জর্জ সাহেব কোর্ট থেকে বের হওয়ার সময় হো হো করে মাথা দুলিয়ে হাসছিলেন। তাকে দেখে তার এক সহকর্মী জিজ্ঞেস করলেন, 'এত কী নিয়ে হাসছো? হয়েছেটা কী?'
জর্জ সাহেব বললেন, 'আমি একটু আগে আমাদের গভর্নমেন্টকে নিয়ে খুব মজার একটি জোক শুনলাম। শোনার পর থেকে হেসেই কূল পাচ্ছি না।'
'সেকি! আমাকেও বল দেখি জোকটা।'
'পাগল হয়েছো নাকি? না, না। একটু আগে এই জোকস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে এলাম। ওই জোকস কাউকে বলা যাবে না।'
৫#
: আমি ভূতে একেবারেই বিশ্বাস করি না। বাজি ধরে একবার এক ভুতুড়ে বাড়িতে গেলাম রাত কাটাতে। বসে থাকতে থাকতে রাত তিনটা বাজলো। অন্ধকার ঘর। হঠাৎ দেখি সামনের দেয়াল ফুঁড়ে আমার দু হাত সামনে একটা ভূত এসে দাড়িয়েছে। আমি তো তাকে দেখে অবাক। ব্যাটা এমনভাবে ঘরে এল যে মনে হল সামনের দশ ইঞ্চি মোটা দেয়ালটাই নেই।
: তারপর ...তারপর তুই কী করলি?
: কী আর করব, ওর হাত থেকে বাঁচতে পেছনের দেয়াল ফুড়ে পালালাম।।
৬#
এক লোক বাংলাদেশের সরকারি দলের সদস্য হতে চায়। তাই সে খোঁজ নিতে বন্ধুকে জিজ্ঞেস করল, 'সদস্য হতে আমার কোথায় যাওয়া লাগবে রে?'
'পাগলা গারদে', বন্ধু উত্তর দিল।
৭#
পলিটিকাল কার্টুন বিষয়ক এক প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণ করা হচ্ছে।
প্রথম পুরস্কার: ৩০ বছরের জেল
দ্বিতীয় পুরস্কার: ২০ বছরের জেল
তৃতীয় পুরস্কার: ১০ বছরের জেল ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা
৮#
এক ভিআইপি যাবে বলে বিশাল জ্যামের মধ্যে সবাই ৪ ঘন্টা ধরে বসে আছে। জ্যামের মধ্যে আটকা এক বাসে বসে থাকা এক লোক বলে উঠল, 'আমি এক্ষুনি গিয়ে এই ভিআইপিকে গুলি করে মেরে আসবো। আর সহ্য হচ্ছে না।'
কিছুক্ষণ পর তিনি ফিরে এলেন। বাস তখনও একই স্থানে দাড়ানো। বাসের অন্য যাত্রীরা তাকে জিজ্ঞেস করল, 'ভিআইপিটাকে মেরে এসেছেন নাকি?'
লোকটি বলল, 'গিয়ে দেখলাম তাকে মারার জন্য আরো বড় জ্যাম লেগেছে মানুষের। তাই ফিরে এলাম।'
৯#
প্রধান ডিটেকটিভ তার সহকারী ডিটেকটিভকে একটা ক্রিমিনালের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
প্রধান ডিটেকটিভ: তুমি কি ঐ ক্রিমিনালকে অনুসরন করে হোটেল শেরাটনে ঢুকেছিলে?
সহকারী ডিটেকটিভ: জ্বি। আমি ওকে বাহির থেকেই অনুসরণ করছিলাম। যখন শেরাটন হোটেলের লবিতে ঢুকলো তখনও আমি ওর পিছে।
প্রধান ডিটেকটিভ: কীভাবে গেলে? ও টের পায়নি?
সহকারী ডিটেকটিভ: টের পাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। আমি তো নিখুত ছদ্মবেশে গিয়েছিলাম।
প্রধান ডিটেকটিভ: কিসের ছদ্মবেশ নিয়েছিলে?
সহকারী ডিটেকটিভ: একটা রাস্তার ফকিরের।
প্রধান ডিটেকটিভ:কী বল? রাস্তার ফকিরের ছদ্মবেশ নিলে আর শেরাটনের মত ফাইভস্টার হোটেলে তোমাকে ঢুকতে দিল?
সহকারী ডিটেকটিভ: না দিয়ে উপায় ছিল না স্যার। কারণ আমি আগে থেকেই আমার সহকারী ডিটেকটিভের পরিচয়পত্রটা গলায় ঝুলিয়ে রেখেছিলাম।
১০#
এক লেখক গেছেন এক শহরে বক্তৃতা দিতে। তার বক্তৃতা দেওয়ার বিষয়টা শহরে কেমন সাড়া ফেলেছে বুঝতে সে এক দোকানে ঢুকে বলল, 'আচ্ছা আজ আপনাদের শহরে নাকি কার বক্তৃতা হবে?'
: হ্যাঁ টের পেয়েছি, মনে হয় এক রাজনীতিবিদ বক্তৃতা করবেন।
: কিভাবে টের পেলেন? রাজনীতিবিদ খুশি হয়ে জিজ্ঞেস করলেন।
: আমার দোকানের পচা ডিমের বিক্রি বেড়ে গেছে যে।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন