মারামারির সুবিধার জন্য ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে ফুটপাতে হেলমেটের দোকান, পেলেন উদ্যোক্তা অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড

৬৪ পঠিত ... ০০:০৬, নভেম্বর ১৯, ২০২৫

18thumb

‘সমস্যার সমাধান করাই আসল উদ্যোক্তার কাজ’ স্টার্টআপ দুনিয়ার এই গোল্ডেন রুল মেনেই এবার বাজিমাত করেছেন ধানমন্ডির ফুটপাতের নবীন উদ্যোক্তা ঝন্টু ভাই (ছদ্মনাম)। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যখনই কোনো মব, কাউন্টার মব বা 'শান্তিপূর্ণ' ভাঙচুর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়, তখনই দেখা দেয় তীব্র হেলমেট সংকট। বাসা থেকে হেলমেট বগলে করে মিছিলে আসাটা যেমন বিড়ম্বনার, তেমনি হুট করে প্রতিপক্ষের ইটপাটকেল বা পুলিশের লাঠিচার্জ শুরু হলে খালি মাথায় দৌড়ানি খাওয়াটাও চরম ঝুঁকির। এই মার্কেট গ্যাপ ধরতে পেরেছেন ভিশনারি উদ্যোক্তা ঝন্টু।


তার গ্রাউন্ডব্রেকিং স্টার্টআপ ‘ঝন্টু ইনস্ট্যান্ট সেফটি সলিউশনস’-এর পপ-আপ শপ থেকে এখন গরম গরম জিলাপির মতোই বিক্রি হচ্ছে হেলমেট। ঘটনাস্থলে মারামারির ঠিক আগমুহূর্তে ইন্সট্যান্ট সাপ্লাই চেইন নিশ্চিত করার জন্য তাকে এবার বেস্ট ইমার্জেন্সি স্টার্টআপ ক্যাটাগরিতে ‘উদ্যোক্তা অফ দ্য ইয়ার’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে জাতীয় মব উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।


পুরস্কার হাতে নিয়ে আবেগাপ্লুত ঝন্টু বলেন, আমি দেখলাম, ভাইয়েরা ভাঙতে আসে, কিন্তু নিজেদের মাথা ফেটে যাওয়ার ভয়ে মন খুলে ভাঙচুর করতে পারে না। কাস্টমারের এই পেইন পয়েন্ট আমাকে খুব পীড়া দিত। তাই ভাবলাম, স্পটেই যদি প্রিমিয়াম হেলমেট সাপ্লাই দেই, তাহলে জাতির ভাঙচুর প্রোডাক্টিভিটি বাড়বে। এখন আমার কাস্টমাররা এক হাতে ইট, আরেক হাতে আমার দোকানের ডিসকাউন্ট কুপন নিয়ে নিশ্চিন্তে মব করতে পারে।


ঝন্টুর ব্যবসায় খুশি মারামারি করতে আসা তরুণরাও। নিয়মিত মব কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এক অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, আগে হেলমেট নিতে ভুলে গেলে বাসায় ফিরে যেতে হতো, মব মিস হয়ে যেত। এখন ৩২-এ নামার আগেই ঝন্টু ভাইর দোকান থেকে একটা কুইক রেন্টাল হেলমেট নিয়ে নেই। কাজ শেষে অক্ষত ফেরত দিলে হাফ দাম রিফান্ড! এমন সুবিধাই তো আমরা চেয়েছিলাম।


ভবিষ্যতে শাহবাগ, পল্টন, দোয়েল চত্বর ও ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় এই হেলমেট চেইন শপের শাখা খোলার পরিকল্পনা আছে বলে জানা গেছে। এমনকি প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবারদের জন্য তিনি ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি লাঠি’ অফারও চালু করতে যাচ্ছেন।

৬৪ পঠিত ... ০০:০৬, নভেম্বর ১৯, ২০২৫

পাঠকের মন্তব্য

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top