১#
আমি পড়াশোনায় অতটা ভালো না। পরীক্ষার ফলাফল বরাবরই খারাপ। বাড়ি থেকে প্রায়ই মারধর কপালে জোটে। একবার ফলাফল হলো খুবই খারাপ। বাবা কান ধরে এনে বাথরুমে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দিলেন। আমি বেশ কিছুক্ষণ ধাক্কাধাক্কি করলাম। কিন্তু দরজা আর খোলে না।
রাগ করে আমিও ভেতর থেকে আটকে দিলাম।
চার-পাঁচ ঘণ্টা পরে শুনি বাবা বাইরে থেকে চিৎকার করছেন।
‘দরজা খোল বাবা, আমাদের আর শাস্তি দিস না।‘
২#
পরমাণু মডেলের জনক নিলস ব্যোর । ছোটবেলায় পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরলেই মা তাকে জিজ্ঞেস করতেন, ‘খোকা, কেমন হলো পরীক্ষা?’
ব্যোর বলতেন, ‘ভালো।’
এক দিন, দুই দিন, তিন দিন, প্রতিদিন মায়ের একই প্রশ্ন।
এভাবে একদিন স্কুল থেকে ফেরার পর আবারও মা জিজ্ঞেস করলেন, ‘খোকা, কেমন হলো পরীক্ষা?’
ব্যোর ব্যাগ থেকে পরীক্ষার খাতা বের করে দিলেন মায়ের হাতে। ‘আজ আর খাতা জমা দিইনি। বাসায় নিয়ে এলাম। তুমি নিজেই দেখে নাও, আমি কেমন পরীক্ষা দিই!’
৩#
মা: আজ স্কুলে কী করলে খোকা।
খোকা: যেমন খুশি তেমন লিখো খেললাম।
মা: কিন্তু আজ না তোমার গণিত পরীক্ষা হওয়ার কথা?
খোকা: ওটার কথাই তো বলছি!
৪#
ছোট্ট ছেলেটাকে বললেন বাবা, ‘বল তো, স্কুল কী?’
ছেলে জবাব দিল, ‘স্কুল হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে ক্লাসে শিক্ষক পড়ান, ২+২=৪। বাড়ির কাজ দেন ২+৪+২=? এবং পরীক্ষায় আসে, “রাজীবের হাতে ৪টি আপেল আছে, তার বাড়ির পাশের ট্রেনটা ঘণ্টায় ৭ কি.মি. বেগে ছুটে গেলে সূর্যের ভর কত?’
৫#
স্কুলের পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছে, ‘লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে লন্ডনের দূরত্ব ৮০০০ কিলোমিটার। একজন লোক লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে গাড়িতে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে লন্ডন রওনা হলো এবং অপর এক ব্যক্তি লন্ডন থেকে গাড়িতে ১৬০ কিলোমিটার বেগে লস অ্যাঞ্জেলেসে রওনা হলো। তাদের দুজনের কোথায় দেখা হবে?’
ছোট্ট জনি উত্তর লিখল, ‘জেলখানায়! এত জোরে গাড়ি চালাবেন, পুলিশ বুঝি আঙুল চুষবে?’
৬#
দুই বন্ধুতে কথা হচ্ছে।
১ম বন্ধু: জানিস, মেয়েদের আমার স্কুলের পরীক্ষার মতো মনে হয়।
২য় বন্ধু: কেন?
১ম বন্ধু: জটিল, সহজে বোঝা যায় না, একগাদা প্রশ্ন, উত্তরটা সব সময়ই সন্দেহযুক্ত!
৭#
শিক্ষক: বল্টু! আশা করছি, আগামী পরীক্ষায় আমি তোমাকে পাশেরজনেরটা দেখে লিখতে দেখব না।
বল্টু: আমিও তাই আশা করি স্যার, আপনি যেন না দেখেন!
৮#
বাবা: যদি পরীক্ষায় ফেল করিস, তুই আমাকে আর বাবা বলে ডাকবি না।
ফল বের হওয়ার পর…
বাবা: কিরে, তোর পরীক্ষার ফল কেমন হলো?
ছেলে: আমি দুঃখিত রফিক সাহেব!
৯#
বাবা: কীরে, তোর পরীক্ষা কেমন হলো?
ছেলে: আর বোলো না বাবা, ১ নম্বর প্রশ্নের উত্তরটা লিখতে পারিনি। ২ নম্বর প্রশ্নের উত্তরটা মনেই পড়ছিল না। ৪ নম্বর প্রশ্নটা যে কোথা থেকে দিল, বুঝতেই পারলাম না। ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তরটা ভুলে লেখা হয়নি।
বাবা: আর ৬ নম্বর?
ছেলে: ওটা যে প্রশ্নপত্রের উল্টো পাশে ছিল, আমি খেয়ালই করিনি!
বাবা: আর ৩ নম্বর?
ছেলে: বিশ্বাস করো বাবা, শুধু এই একটা প্রশ্নের উত্তরই ভুল লিখে এসেছি।
১০#
তানিম আর নিপুণ—দুই বন্ধুতে কথা হচ্ছে।
তানিম: কিরে, তোর পরীক্ষার প্রস্তুতি কেমন?
নিপুণ: আর বলিস না রে, এখনো সবই বাকি পড়ে আছে।
তানিম: বলিস কী? আমার তো সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে, এখন শুধু একটা বাকি আছে।
নিপুণ: কোনটা?
তানিম: কলম, পেনসিল, ইরেজার, স্কেল, ক্যালকুলেটর, পরিচয়পত্র, প্রবেশপত্র—সব প্রস্তুত! এখন শুধু পড়াটা বাকি আছে!
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন