বাবা দিবসের কৌতুক: ২০টি 'ওরে বাবা রে' জোক

৪৫৭৫ পঠিত ... ১৩:১২, জুন ২১, ২০২০

 

১# 

পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দিল পুত্র। বাবা প্রথম দিন পুত্রকে নিয়ে ছাদে গেলেন। তারপর বললেন।

: ছাদের একদম ধারে গিয়ে দাঁড়াবে এবং আমি যখন বলব লাফ দাও তখন লাফ দেবে।

: সে কী বাবা তিন তলা থেকে লাফ দেব? আমি মারা যাব যে!

: শোন ব্যবসায় উন্নতি করতে চাও তো?

: হ্যাঁ।

: এবং আমার ওপর বিশ্বাস আছে?

: হ্যাঁ।

: তাহলে লাফ দাও। 

ছেলে লাফ দিল এবং যথারীতি মাটিতে আছড়ে পড়ে দুই পা, এক হাত ভেঙে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে রইল। বাবা দ্রুত সিঁড়ি ভেঙে ছেলের কাছে ছুটে গেলেন এবং বললেন— ব্যবসায় এটাই তোমার প্রথম শিক্ষা, কাউকে বিশ্বাস করবে না।  

 

২#

সদ্য কৈশোর উত্তীর্ণ ছেলেকে এক বাবা বলছেন- বাবা: বাপ আমার, মদপান খুব খারাপ। কখনো ছুঁবি না এ জিনিস। ভুলেও কখনো মদ খাবি না। মনে থাকবে? 

ছেলে: বলছো কি বাবা! তোমার মুখে এ কথা?

বাবা: সংসারের অবস্থা ভালো না রে। একসঙ্গে দু’জনই যদি খাওয়া শুরু করি, তালে বাড়ি-ঘর নিলামে উঠতে সময় লাগবে না।



৩#

ছেলে বাবার কাঁধে বসে চুল টানছে।

বাবা: খোকা, চুল টানা বন্ধ করো।

খোকা: চুল টানছি না তো বাবা, আমার চুইংগামটা ফেরত নেওয়ার চেষ্টা করছি!

 

৪#

বাবা: খোকা, ক্লাস সেভেনে উঠে তোমার কেমন লাগছে?

খোকা: খুবই খারাপ, বাবা।

বাবা: বলো কী! কেন? ক্লাস সেভেনেই তো আমি আমার জীবনের সেরা তিনটা বছর কাটিয়েছি!

 

৫#

শিক্ষক: তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন, রোকনের খুব জ্বর হয়েছে এবং ও আজ স্কুলে আসতে পারবে না?

এপাশ থেকে: হু!

শিক্ষক: আপনি কে বলছেন?

এপাশ থেকে: আমার আব্বু বলছি।

 

৬#  

ছেলে: বাবা, আমাকে আরেক গ্লাস পানি দাও।

বাবা: তোমার এত পানি লাগে কেন? তোমাকে ইতিমধ্যে ১০ গ্লাস পানি দিয়েছি।

ছেলে: কিন্তু বাবা, বিছানায় যে আগুন ধরিয়েছি, সেটা তো নিভছে না!

 

৭# 

বাবার অফিসের বস এমদাদ সাহেব বাসায় আসবেন বেড়াতে। ছোট্ট মেয়ে মুনিয়া তাই মাকে ঘরের কাজে সাহায্য করছিল। রান্না, টেবিল গোছানো...সব কাজেই সে মাকে সাহায্য করল। যথাসময়ে অতিথিরা এসে হাজির।

বাবা: মুনিয়া মা আমার, তুমি খুব সুন্দর করে টেবিল সাজিয়েছ। কিন্তু তুমি বোধ হয় একটা কাজ করতে ভুলে গেছ। এমদাদ চাচুর প্লেটের পাশে চামচ আর ছুরি দাওনি কেন?

মুনিয়া: আমি ভুলিনি, বাবা। ওনার তো ওগুলো লাগবে না।

বাবা: কেন?

মুনিয়া: তুমি না একটু আগে মাকে বলছিলে, ‘আমার বস লোকটা ঘোড়ার মতো খায়!’



৮#

এক ছাত্রের রিপোর্টে শিক্ষক লিখলেন, ছেলেটি পড়ায় ভালো, খেলাতেও। একমাত্র দোষ—বড্ড মেয়ে ঘেঁষা। আমি সংশোধনের চেষ্টা করছি। 

ছেলেটির বাবা বাড়ি ছিলেন না। মা রিপোর্টের নিচে লিখলেন, আপনাকে ধন্যবাদ। সংশোধনের উপায় বের করতে পারলে আমাকে জানাবেন। পদ্ধতিটি ছেলের বাবার ওপরও প্রয়োগ করতে হবে।

 

৯#

খাবার টেবিলে বসে কথা বলছে পিতাপুত্র৷  

ছেলে: বাবা, তেলাপোকা খেতে কেমন?

বাবা: খাওয়ার সময় বাজে কথা বলতে হয় না। চুপচাপ খাওয়া শেষ করো। পরে শুনব।

খাওয়া শেষ হওয়ার পর:

বাবা: হুম, কী যেন বলছিলে?

ছেলে: বলছিলাম, ডালে একটা তেলাপোকা পড়েছে। কিন্তু তুমি তো সবটুকু ডাল খেয়ে ফেলেছ!

 

১০#

আপনার ছেলে আমার ঘরের জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলেছে। দয়া করে ওকে বকে দেবেন। 

পরদিন তিনি আবার এলেন। 

: আপনার ছেলে এবার আমার শো-কেসের কাঁচ ঢিল মেরে ভেঙে দিয়েছে। 

: দেখুন ছোট মানুষ, আচ্ছা আমি আচ্ছামতো বকে দেব।

পরদিন আবার সেই ভদ্রলোক ছুটে এলেন রেগেমেগে—

: বলি পেয়েছেনটা কী! আপনার ছেলে তো এবার আমার টিভি স্ক্রিন ভেঙে ফেলেছে।

: দেখুন ছোট মানুষের পাগলামি!

: পাগলামি! কী বলছেন আপনি, তাহলে আপনারটা ভাঙলো না কেন?

: অত পাগল এখনো হয়নি যে আমারটা ভাঙবে।

 

১১#

ছেলে : বাবা তুমি অন্ধকারে লিখতে পারো?

বাবা : পারি। কি লিখতে হবে?

ছেলে : বেশি কিছু না বাবা। শুধু আমার স্কুলের রিপোর্ট কার্ডে একটি স্বাক্ষর দিলেই হবে।

 

১২#

বাবা: খোকা, তোমার রিপোর্ট কার্ডটা নিয়ে এসো দেখি।

খোকা: বাবা, আমার রিপোর্ট কার্ডটা আমার এক বন্ধু ধার নিয়েছে।

বাবা: কেন? বন্ধুর রেজাল্ট কি খুব খারাপ হয়েছে? তোমার কার্ড দেখিয়ে বকার হাত থেকে বাঁচতে চায়?

খোকা: না, ও ওর বাবা-মাকে ভয় দেখাতে চায়!

 

১৩# 

— কিরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাচ্ছিস যে?

— বাবা ঝাড়ি মারল, ‘বসে আর কতদিন খাবে’, তাই দাঁড়িয়ে খাচ্ছি!

 

১৪# 

ছেলে গান গাইছে, ‘লাথি মার ভাঙরে তালা, যতসব বন্দীশালা, আগুন জ্বালা’

বাবা: খোকন, এত বাজে কথা কোথা থেকে শিখেছ?

খোকা: বাবা, এ তো আমার কথা নয়, নজরুলের কথা।

বাবা: তাহলে আর কখনো ওসব বাজে ছেলের সঙ্গে মিশবে না।

 

১৫#

বাবা: খোকা, পরীক্ষা কেমন দিলি?

ছেলে: শুধু একটা উত্তর ভুল হয়েছে।

বাবা: বাহ্! বাকিগুলো সঠিক হয়েছে?

ছেলে: না, বাকি গুলোতো লিখতেই পারিনি।

 

১৬#

ছোট মেয়েটি এসে বাবাকে জিজ্ঞেস করল, 'বাবা, আম্মু কি আমার যত্ন নেয়?'

চোখ বড় বড় করে বাবা খুব আদুরে গলায় বলল, 'অবশ্যই! আম্মু তোমার অনেক যত্ন নেয়। তোমাকে খাইয়ে দেয়। অসুখ হলে তোমার সেবা-যত্ন করে। তোমাকে গান গেয়ে শোনায়।'

'দাদুভাই কি আমার যত্ন নেয়?'

'অবশ্যই! দাদুভাই তোমাকে গল্প শোনায়। তোমার জন্য সুন্দর সুন্দর গিফট, চকলেট নিয়ে আসে।

'আর দাদুমণি?'

'দাদুমণিও।'

 'আর ফুপি?'

'ফুপি তো তোমার জন্য পাগল। ছুটি পেলেই তোমাকে দেখতে চলে আসে।'

'আ...র রহিমার মা?'

'ও, ও তোমার অনেক যত্ন নেয়। তোমার কাপড় ধুয়ে দেয়, বিছানা ঠিক করে দেয়, ঘুম পাড়িয়ে দেয়।'

সবকিছু শুনে ছোট মেয়েটি সন্তুষ্ট হয়ে বলবে, 'তাহলে তো আম্মু ঠিকই বলছে। এ বাসায় তুমি একমাত্র কোন কাজের না।' 

 

১৭#

পড়া শেষ করে মাত্র ইন্টারনেটে বসেছে হাশেম, এমন সময় বাবা এসে গম্ভীর গলায় জিজ্ঞেস করল, কি হাশেম, পড়া শেষ?

- জ্বি বাবা।

- আচ্ছা, তাহলে বলো তো দেখি, ‘শীত’-এর বিপরীত কী?

- গ্রীষ্ম।

- আচ্ছা, যাও।

- আসো।

- অভদ্র ছেলে।

- ভদ্র ছেলে।

- কী আশ্চর্য!

- এটা পারবো না বাবা।

 

১৮#

চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে বাবা ছেলেকে বলছিলেন, বাঘ কত ভয়ংকর প্রাণী, কী ভীষণ হিংস্র সে...!

ছেলে: (কাঁদো কাঁদো হয়ে) বাবা, এই বাঘ যদি তোমাকে খেয়ে ফেলে...

বাবা: (আদুরে স্বরে) কী হবে তাহলে?

ছেলে: আমি বাসায় যাব কীভাবে! ভ্যা...



১৯#

বাবা আর ছেলে একটা অনুষ্ঠানে গান শুনতে গেল। একটা মেয়ের গান বাবার বেশ পছন্দ হলো। বাবা বললো- 

: মেয়েটার গলাটা খুব সুন্দর না?

: হ্যা বাবা। বা পাশে একটা তিলও আছে।

 

২০#

ছোট ছেলে বাবার কাছে এসে জানতে চাইল

—আচ্ছা বাবা, হাইপোথেটিক্যাল আর রিয়েলিটি এ দুটোর মধ্যে পার্থক্য কী?

—আমি বইয়ের ভাষায় বলতে পারি সেটা শুনতে চাও নাকি একটা বাস্তব উদাহরণ দিয়ে বলব?

—বাস্তব উদাহরণ দিয়ে বল। 

—তা হলে যাও তোমার বড় ভাইকে জিজ্ঞেস করে এস যে তাকে ৫০ হাজার ডলার দিলে সে কি জনসমক্ষে বাথরুম করবে?

ছেলেটা ছুটে গিয়ে বড় ভাইকে প্রশ্ন করল

—আচ্ছা বড় ভাই তোমাকে ৫০ হাজার ডলার দিলে তুমি কি জনসমক্ষে বাথরুম করবে?

—নিশ্চয়ই। 

ছেলে এসে বলল

—বাবা ও বলেছে করবে। 

—আচ্ছা এবার মেজো ভাইকে গিয়ে জিজ্ঞেস কর তাকে ৫০ হাজার ডলার দিলে সে কি দিগম্বর হয়ে একটা ডিগবাজি দিবে জনসমক্ষে?

ছেলে ছুটে গেল মেজো ভাইয়ের কাছে, বলল

—মেজো ভাই তুমি কি ৫০ হাজার ডলার পেলে দিগম্বর হয়ে একটা ডিগবাজি দেবে?

—দেব, ৫০ হাজার ডলার বলে কথা। 

ছেলে বাবাকে এসে বলল

—মেজো ভাই বলেছে ডিগবাজি দেবে। তখন বাবা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল

—তার মানে বুঝলে? হাইপোথেটিক্যালি আমরা মিলিয়নিয়ার। কিন্তু রিয়্যেলিটি হচ্ছে এই বাসায় আমরা দুজন উন্মাদকে নিয়ে বাস করি।

৪৫৭৫ পঠিত ... ১৩:১২, জুন ২১, ২০২০

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top