যে দুটি কারণে পথের পাঁচালীতে সত্যজিৎ রায় দারিদ্র্য বিমোচনমূলক কর্মকান্ড দেখাননি

১৩৮১ পঠিত ... ১৯:৫৬, এপ্রিল ২৩, ২০১৮

ভারতের বিখ্যাত পরিচালক সত্যজিৎ রায় ছবি বানাবেন। কাহিনী বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের ক্লাসিক উপন্যাস ‘পথের পাঁচালী’। সত্যজিৎ-এর বন্ধু-বান্ধবরা বলল, এত খরচ তুমি কুলাতে পারবে না; বরং মুখ্যমন্ত্রীর সাথে একবার দেখা কর না কেন?

সত্যজিৎ রায় সাত পাঁচ ভেবে একদিন গেলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধান রায়ের কাছে, সত্যিই যদি কিছু অনুদান পাওয়া যায় মন্দ কী। তখন ছবি বানানোটা ছিল সত্যিই বিরাট খরচান্তের ব্যাপার। মুখ্যমন্ত্রী বিধান সত্যজিৎকে বিশেষ স্নেহ করতেন। তিনি সত্যজিৎ-এর সঙ্গে কথা বললেন, আশ্বাস দিলেন; তারপর সংশ্লিষ্ট লোকজনদের ডেকে বলে দিলেন, ‘দেখ কী করা যায়।’

সংশ্লিষ্টরা ছবির স্ক্রিপ্ট রেখে যেতে বললেন, তারা পড়ে দেখবেন। সপ্তাহখানেক পর আসলে একটা কিছু হবে।

সপ্তাহখানেক পর সত্যজিৎ রায় ফের গেলেন সেই মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয়ের লোকজন বললেন ‘দেখুন কাহিনীতে তো দেখছি শুধু দারিদ্র‍্য আর দারিদ্র‍্য। কিন্তু আমরা তো মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এখন দারিদ্র‍্য বিমোচন ধরনের নানা উন্নয়নমুখী প্রকল্প হাতে নিয়েছি। কাজেই লেখককে বলুন দারিদ্র‍্য বিমোচন ধরনের কিছু কর্মকাণ্ড কাহিনীতে তুলে ধরতে... তবেই অনুদান দেয়া সম্ভব হবে।’

সত্যজিৎ হেসে বললেন, দুটো কারণে এটা করা যাবে না।
—দুটো কারণ কী কী?
—এক নম্বর কারণ হচ্ছে ‘পথের পাঁচালী’ একটি অতি বিখ্যাত ক্লাসিক উপন্যাস। এখানে হাত দেয়া যাবে না।
—আর দ্বিতীয় কারণ?
—বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় বেঁচে নেই!

১৩৮১ পঠিত ... ১৯:৫৬, এপ্রিল ২৩, ২০১৮

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top