রাষ্ট্রীক কারাগারে মধ্যরাতে ক্লাস নিচ্ছেন অধ্যাপক কর্নেল কলিমুল্লাহ। গত রাতে ক্লাসে তিনি মিশেল ফুঁকো মহোদয়ের কারাগারের ধারণা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, মাননীয় দরবেশের বেক্সিমকো, মেনন মহাশয়ের ক্যাসিনো, ইনু মহোদয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এসবই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কারাগার। শেখ হাসিনা মহোদয়া তার প্যানপটিক ওয়াচ টাওয়ার থেকে সব দেখতেন। তিনি কখনও কিছু বলেননি কারণ তিনি ক্ষমতা রক্ষার কারাগারে বন্দী ছিলেন। এখন তিনি লুটিয়েন্স কারাগারে গৃহবন্দী।
ব্যারিস্টার সুমনকে দেখিয়ে বলেন, সুমন মহোদয় ছিলেন ভিউ বাণিজ্যের কারাগারে বন্দী। ফলে বিপদ আঁচ করতে পারেননি। পলক মহোদয়ের কান্নার কারাগার, মানিক মহোদয়ের বিচারপতি টাইটেল নিয়ে গর্বের কারাগার, দীপমণি মহোদয়ার ঘোমটার কারাগার, আর আমার টকশোর কারাগার; এতো সব কারাগারের অভিজ্ঞতা থাকার পরেও এই রাষ্ট্রীয় কারাগারকে ভয় পাবার কিছু নেই।
তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে কোপার্নিকাসের ভঙ্গিতে বলেন, ইউরেনাস ও নেপচুন গ্রহের আড়াআড়ি অবস্থানে স্বাতী ও কোণার্ক নক্ষত্রের ঘর্ষণে ইউনুস মহোদয়ের উল্কাপতন হলে আমরা আবার গণভবনের পিঠা পুলির কারাগারে ফিরে যেতে পারব।
তিনি টেবিলে মানচিত্র এঁকে বলেন, জিও পলিটিক্সে চায়না ইন্ডিয়া রাশিয়া এক্সেসটি ঘন হলে আমেরিকা ফ্রান্স বৃটেন বলয়টি ইন্দো প্যাসিফিক থেকে পিছু হটবে। তখন আবার মোমেন মহোদয়ের ভাষায় আমরা স্বামী স্ত্রী দ্বিতীয় মধুচন্দ্রিমায় মিলিত হব।
এই ক্লাস লেকচার শুনে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন ছাত্র-ছাত্রীরা। ঘুমন্ত ছাত্রছাত্রীদের ধন্যবাদ দিয়ে অধ্যাপক কর্নেল কলিমুল্লাহ তখন অস্থির হয়ে কারারক্ষীকে বলেন, মাননীয় একটু ফোনটা দেবেন, কেবল পাঁচ মিনিটের জন্য টকশোতে যুক্ত হবো। আমার বড্ড টকশো উইথড্রল সিনড্রোম হচ্ছে, খুব সাফোকেটেড ফিল করছি।
পুনশ্চ: অতীতে সফদার ডাক্তার মাথা ভরা টাক তার, ক্ষিদে পেলে পানি খায় চিবিয়ের যুগে; টাক ছিলো খানিকটা হাসাহাসির পাত্র। কিন্তু সমকালে পশ্চিমে হেয়ার ডু হিসেবে হেড শেভিং খুব স্টাইলিশ ফ্যাশান হিসেবে সমাদৃত। হলিউডের সুদর্শন অভিনেতা কেভিন কস্টনার থেকে জেসন স্ট্যাথাম, ভিন ডিজেল এই ফ্যাশানে নতুন মাত্রা এনেছেন। অনেক আগে টিভি সিরিজ কোজাকেও আমরা দেখেছি এই ফ্যাশানের শুরুটা। পশ্চিমা এই ফ্যাশান বাংলাদেশে প্রচলন করেছেন যারা, তাদের মধ্যে অধ্যাপক কর্নেল কলিমুল্লাহ অন্যতম। এটা তার অগ্রসর চিন্তার সূচক।
(চলবে)
পাঠকের মন্তব্য