লেখা: কদরুদ্দিন শিশির
শেখ হাসিনা কেন এখন বললেন যে, তার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হাত ছিল না? আমার পর্যবেক্ষণ হল, বড় কিছু ঘটে গেছে। এবং সেটা হচ্ছে, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মনের সূত্র বলছে, ডিলটা হয়েছে এরকম: আমেরিকা শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেবে। অন্যদিকে শেখ হাসিনা আমেরিকার বিরুদ্ধে কথা বলা বন্ধ করবেন।
কিন্তু ট্রাম্পের এতে লাভ কী? এটা খুবই ইন্টারেস্টিং একটা জিনিস। ট্রাম্প মূলত তার চিরশত্রু সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর প্রতিশোধ নিতে চান। বাইডেন হাসিনাকে সরিয়েছেন। এখন ট্রাম্প তার বদলা নিতে হাসিনাকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে হাসিনাকে তার ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ট্রাম্প চান মোদিকে আরও ঋণী করে তুলতে, যাতে চীনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি ভারতকে আরও বেশি কাছে পেতে পারেন।
এইযে ডিলটা হয়েছে তারই অংশ হিসেবে হাসিনা এখন আর আমেরিকাকে দোষারোপ করা বাদ দিয়েছেন। এটাই রাজনীতি, এটাই কূটনীতি এবং একইসাথে এটাই সাইন্স।
ক্ষমতায় কীভাবে আনা হবে?
যতটুকু জানা গেছে, প্লানটা হচ্ছে এরকম: ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে না। আমেরিকাই বলে দিয়েছে অংশ না নিতে। এরপর ’বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি’ বলে তা মেনে নেবে না ভারত এবং আমেরিকা। তারপর জাতিসংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিবেকের আদালতে এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে মামলা করা হলে বিবেকের আদালত নির্বাচনটি বাতিল বলে রায় দেবে। একইসাথে আদালতের বিচারকরা ঐতিহাসিক কন্ট্রোল+জেড পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে ২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানকে বাতিল বলে রায় দেবেন। ফলে অটোমেটিকালি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্বহাল হবেন। এরপর তার অধীনে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে অবধারিতভাবে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হবে তিনি। তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প এবং মোদি উভয়ে হাজির থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।



পাঠকের মন্তব্য