ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আমি যে কারণে এক্সাইটেড

৫৬ পঠিত ... ১০ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে

ঢাকা ভার্সিটির স্টুডেন্টদের নানান রকম আফসোস আছে, না পাওয়ার বেদনা আছে। আমারও ছিল। 

‎এর মধ্যে সবচেয়ে বড় আফসোস, ঢাকা ভার্সিটিতে কোনো বটতলা নাই! 

‎অনেক ভার্সিটিতেই দেখি, বটতলা বলে একটা জায়গা থাকে। সেটা হয় ভার্সিটির এক মিলনমেলার মতো। হ্যাপেনিং কিংবা প্রাণবন্ত একটা স্পট হয় সেটা। মানুষ সেখানে খাইতে যায়, আড্ডা দিতে, দেখা করতে যায়।

‎জাহাঙ্গীরনগরের কথাই ধরেন। ক্যাম্পাসে গিয়ে কোনো বন্ধুকে ফোন দিলেই সে বলবে, বটে আয়। খিদা লাগসে? বটে চল। চা খাওয়া লাগবে? বটে আয়...

‎এবারের ডাকসু নির্বাচন আর তার ফলাফল নিয়ে আমার এক্সাইটমেন্টটা এখানেই। এতদিনের সেই অপূর্ণতাটা হয়তো এবার ঘুচে যাবে। ঢাকা ভার্সিটিতেও থাকবে একটা বটতলা---যদিও কেবল যদি জিতে যায় শিবিরের প্যানেল! 

‎বটগাছ না থাকুক, শিবিরের বটবাহিনী তো আছে! জিতে গেলে ক্যাম্পাসে বিরোধীপক্ষ ও তাদের ফেসবুক আইডি খেয়ে দেয়ার কাজে তারা থাকবে চিরনিমগ্ন। হয়তো বটের দল অনলাইনে নারীদের হ্যারাস করবে। মোরাল পুলিশিং করবে। গুপ্ত বেশে লীগের লুঙ্গীর তলায় থেকে শেখা বিদ্যা--ভিন্নমতের শিক্ষার্থীদের নিপীড়ন চালিয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের রগের 'যত্ন' নেবে। নারী নিপীড়কদের ফুলের মালা পরাবে। 'নারীদের নিরাপত্তা' নিশ্চিত করতে নারীদের মানবিক অধিকার হরণে নেমে আসবে... 

‎হয়তো বটবাহিনী ক্যাম্পাসের সাংস্কৃতিক পরিবেশ ও চর্চার আগাপাছতলা খেয়ে ফেলবে। তবু, একটা বটতলা তো থাকবে! রগ না থাকে না থাকুক, চলুক বটের জয়জয়কার!

এবার তাই একটু এক্সাইটেড লাগছে। গা ছমছম, কি জানি কী হয়! শিক্ষার্থীরা কী আদায় করতে পারবে নিজ ক্যাম্পাসে লাঞ্চিত হওয়ার ন্যায্য অধিকার?

৫৬ পঠিত ... ১০ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে

আরও

পাঠকের মন্তব্য

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি


Top