অন্য মেয়ের প্রেমের প্রস্তাব গার্লফ্রেন্ডের কাছে গোপন রাখায় ১৮ মাস নিষিদ্ধ হচ্ছেন প্রেমিক

১৮৮৪ পঠিত ... ২০:৩৫, অক্টোবর ২৯, ২০১৯

বাংলাদেশের প্রেমিকদের বড় একটা দুঃসংবাদ দিতে যাচ্ছে বিশ্বপ্রেমিকাদের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক গার্লফ্রেন্ড'স কাউন্সিল (আইজিসি)। নাজমুস সাকিব নামের জনৈক প্রেমিক আইজিসির ১৮ মাসের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে যাচ্ছেন। দুই বছর আগে নিজের গার্লফ্রেন্ড ব্যতীত অন্য একটি মেয়ের কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। সেটি তৎক্ষণাৎ প্রত্যাখ্যান করলেও বিষয়টি গার্লফ্রেন্ডকে না জানিয়ে গোপন করেন তিনি। বিষয়টি পরে আইজিসির একজন সদস্য (তার গার্লফ্রেন্ডের ক্লোজ ফ্রেন্ড/বেস্টি) জানতে পারে। পরে প্রেমিকের কল রেকর্ড চেক করে এ ব্যাপারে তারা তথ্য উদ্ধার করে। পূর্বেও অন্যদের বয়ফ্রেন্ডকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়া ওই মেয়ে আইজিসির কালো তালিকায় থাকাদের একজন।

বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পর সম্প্রতি সাকিবের সঙ্গেও কথা বলেন আইজিসির অ্যান্টিপরকীয়া অ্যান্ড কানাকানি ইউনিট (আকসু) প্রতিনিধি। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সাকিবও নিজের ভুল স্বীকার করেছেন আকসু তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে, মানে প্রেমিকার বান্ধবীদের কাছে। আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, প্রেমের প্রস্তাবকে গুরুত্ব দেননি বলেই জানাননি। বিষয়টি হালকাভাবে নিয়ে ওই মেয়ের মেসেজ সিন করে রাখাটাই তার জন্য কাল হয়েছে। পরকীয়া, স্বকীয়া, জাস্ট ফ্রেন্ডশিপ, ওয়ান নাইট স্ট্যান্ডসহ সব ধরনের প্রেমে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন তিনি। প্রেমিকার একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আজ অথবা আগামীকাল ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে সাকিবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানাবেন তিনি। প্রেমিকার ফ্রেন্ডলিস্টের অর্ধেক মানুষ যদিও মেসেঞ্জারসূত্রে এ বিষয়ে অবগত হয়েছে।

আইজিসি ইতোমধ্যে সাকিবের ব্যাপারে প্রেমিকার বাবা-মাকেও বিস্তারিত জানিয়েছে। তাকে প্রেমিকার সঙ্গে ফোনে কথা, ডেটিং বা কোনো রকম দেখাসাক্ষাৎ না করার নির্দেশনাও দিয়েছে আইজিসি। এ কারণে সামনে পরীক্ষা, এই বলে ফেসবুক থেকে ডিএক্টিভেট সাকিব। প্রেমিকার একাধিক বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাকিব পরবর্তী সময়ে তাদেরকে নানান স্ক্রিনশট দিয়ে তদন্তে সহায়তা করায় একটু নমনীয় তারা। শাস্তি ১৮ মাস নির্ধারণ করা হলেও তিনি ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে সব মেয়েদের ডিলিট করে দিলে সেটা কমিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। প্রেমিকার সহানুভূতি চাওয়ার পাশাপাশি প্রেমিক নাজমুস সাকিব আইজিসির কাছেও ক্ষমা চেয়ে শাস্তি মওকুফের আবেদন করবেন। প্রেমিকার জাস্ট ফ্রেন্ড, বান্ধবী ও বেস্টিদের দেয়া নিয়ম ও শৃঙ্খলা মেনে চললে এই শাস্তি ছয় মাসে নেমে আসতে পারে। এটাই এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন শাস্তি।

ইন্টারন্যাশনাল গার্লফ্রেন্ড'স কাউন্সিলের দুর্নীতি দমন নীতিমালায় আছে, কোনো ফুল টাইম বয়ফ্রেন্ড, পার্ট টাইম বয়ফ্রেন্ড, জাস্ট ফ্রেন্ড এদের যে কেউ অন্য কোনো মেয়ের কাছ থেকে প্রেমসহ যে কোনো ধরনের (!) প্রস্তাব পেলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রেমিকা কিংবা প্রেমিকা সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিদের কাউকে (বান্ধবী/জাস্ট ফ্রেন্ড) জানাতে হবে। যতটা দ্রুত সম্ভব সেটা করার নির্দেশনা আছে। এজন্য প্রতিদিন দুইবেলা করে প্রেমিককে ফেসবুক স্ট্যাটাসে বেশি বেশি কমেন্ট করা ও প্রোফাইল পিকচারের লাভ দেয়া মেয়েদের সম্পর্কে অবগত করা হয়। আইজিসির কালো তালিকাভুক্ত মেয়েদের ডিলিট করে দেওয়া হয় ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে।

প্রেমিকা ব্যতীত প্রেম করতে ইচ্ছুক অন্য মেয়েদের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমে প্রেমিক সাকিব বরাবরই ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় একটিভ ছিলেন। প্রেমিকার প্রণীত নিয়ম অনুসরণ করে আগে একবার এক মেয়ের সঙ্গে রাতে ফোনে কথা বলার বিষয়টি প্রেমিকাকে জানিয়েছিলেন তিনি। অথচ সেই সাকিবই কি-না দুই বছর আগে এত বড় একটা ভুল করে ফেলেছেন?

তবে যাই হোক, সাকিব নিজের ভুল স্বীকার করেছেন। শাস্তি ঘোষণার পর আবেদন করলে বিবেচনা করা হবে বলেও প্রেমিকার বেস্টিদের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন।

এ বিষয়ে প্রেমিকার বেস্টিদের একজন বলেন, 'ওই মেয়ের সাথে প্রেম করা বা ওইসব করার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি বা অভিযোগও তোলা হয়নি। সাকিব শুধু প্রেমের প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি জানাননি। এতেই আইন ভাঙা হয়েছে। তবে সাকিব কোনো ধরনের প্রেম বা ডেটিংয়ে জড়িত ছিলেন না। আমাদের বান্ধবী ভালো করেই জানে, সাকিব রিলেশনশিপে যে কোনো অনৈতিক বিষয়কে ঘৃণা করেন।' তিনি এও বলেন, 'সাকিবের কেসটা তার প্রেমিকার এক্স বয়ফ্রেন্ডের মতো নয়, সে ছিল একটা আস্ত ফাকবয়। তবে এটা অবশ্যই যারা সাকিবের প্রেমিকার সঙ্গে প্রেম করতে চান, তাদের জন্য বড় সুসংবাদ।'

সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, তদন্ত এবং শাস্তির ইস্যুতে সাকিব গত দু'দিন ধরে বৈঠক করেছেন প্রেমিকার বান্ধবীদের সঙ্গে। সেখানে সাকিব নিজের ভুল স্বীকার করে বান্ধবীদের সহযোগিতা চেয়েছেন বলেও জানান এক বেস্টি। তবে সাকিবের মতো একজন নিয়মিত 'বাবু খাইসো' জিজ্ঞেস করা একজন প্রেমিক এমন ভুল করতে পারেন, ভাবতেও পারছেন না তিনি।

ওদিকে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রেমিকার ইনবক্সে একের পর নক করতে থাকা প্রেম করতে ইচ্ছুক অন্য ছেলেদের কল রেকর্ড থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সন্দেহজনক সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান প্রেমিকার এক প্রভাবশালী বেস্টি।

তবে পরিস্থিতি যা-ই হোক, সাকিব ছাড়াই আপাতত কোনো না কোনো জাস্ট ফ্রেন্ডের সঙ্গেই কক্সবাজার ট্যুরে যেতে হবে তার প্রেমিকাকে।

১৮৮৪ পঠিত ... ২০:৩৫, অক্টোবর ২৯, ২০১৯

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি


Top