আজ রাতে কোনো রূপকথা নেই, শুধু মোটিভেশন আছে

৯৯১ পঠিত ... ১৯:২৪, মে ০৬, ২০১৯

অনেক অনেক দূরের এক রাজ্যে থাকতো এক রাজা। সেই রাজার ছিল এক রাজকন্যা। একদিন হলো কি, রাজকন্যার এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দিল। রাজ্যের সবাই এ প্লাস পেয়েছে, কিন্তু রাজকন্যা পায়নি। রাজকন্যা তো তখন কাঁদলো আর কাঁদলো! তখন রাজা এসে বললো, 'এ প্লাস না পেলে কোনো সমস্যা নেই মা, কান্নার কী হয়েছে?'

যারা এ প্লাস পায়নি, আজ রাতে তাদের জন্য এমন কোনো রূপকথা হয়তো নেই। তবে হতাশ হওয়ারও কোনো কারণ নেই, সুযোগও নেই। আজ রাত থেকে প্রচুর পরিমাণ মোটিভেশনের চমক থাকবে অফলাইন ও অনলাইন জুড়ে। এসএসসিতে যারা ফেল করেছে বা এ প্লাস পায়নি (আধুনিক অর্থে যেটা ফেল) তাদের উদ্দেশে আজ রাতেই দেশজুড়ে বইবে মোটিভেশনের বন্যা। ফেসবুকের নিউজফিড ভেসে যাবে মোটিভেশনাল স্পিচে, আশপাশ থেকে ঝড় বাতাসের মতো ভেসে আসবে মোটিভেশনের তুফান। গাছের পাখিরা গুনগুন করে গাইবে মোটিভেশনের গান, মশারা কানের কাছে এসে মোটিভেশন দিয়ে যাবে। বাশির সুরেও ভেসে আসবে মোটিভেশনের সুর।

 

যাদের সময় এসএসসি পরীক্ষার নাম এসএসসিই ছিলো না, ছিলো এন্ট্রান্স, সেই বুড়ো থেকে শুরু করে যেসব বাচ্চারা গতবছর পাশ করেছে তারাও হাজির হবে মোটিভেশনের থলি হাতে। মোটিভেশন দেবে নাসার বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে রিকশাওয়ালা কিংবা কাজের বুয়ারাও। তবে সেসব কিছু থেকে যদি আপনি নিজেকে ঘরে আটকেও রাখেন, আপনাকে মোটিভেশন দিয়ে চাঙা রাখবেন ফেসবুক সেলিব্রেটিরা। কেনই বা দেবে না, মোটিভেশন দেয়ার নতুন নতুন আইডিয়া খুজে বের করতে করতে সেই সকাল থেকে তাদের খাওয়াদাওয়া নেই, এক সপ্তাহ ধরে হয়তো ঘুম হয়নি।

 

এরকম একজন ফেসবুক সেলিব্রেটি আমাদেরকে জানান, 'মোট চারটা পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে মোটিভেশন দেব বলে এবার ঠিক করেছি। সেগুলো হলো, এক, ফেল করা মানে সব শেষ হয়ে যাওয়া না, দুই- গোল্ডেন এ প্লাসের আলাদা কোনো দাম নাই, তিন, আইনস্টাইন আর রবীন্দ্রনাথ এ প্লাস পায়নি কখনো, আর চার, রেজাল্ট দিয়ে কি হবে একদিন তো মরেই যাবা। আশা করি অন্তত তিনটা পয়েন্ট পাবলিক খাবে।'

আরেকজন ফেসবুক সেলিব্রেটি আজকের রাতটাকে 'মোটিভেশনাল রাত্রি' হিসাবে ঘোষণা দেয়ার জন্য সুপারিশ করে বলেন, 'আজকের এই রাতের মোটিভেশন অন্য যেকোনো রাতের মোটিভেশনের থেকে ৯৯ গুণ বেশি কার্যকর।'

 

এত এত মোটিভেশনাল স্পিচের ভিড়ে কী করছেন আজ অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা? সামান্য একটুর জন্য ডি মিস হয়ে ফেল করা একজন জানালেন, 'মন মেজাজ বহুত খারাপ। কোনো হালা মোটিভেশন দিতে আসলে তার মুখের মধ্যে চকবার আইসক্রিম দিয়ে দেবো।'

উল্লেখ্য, এ সময় তিনি মুখ ও চকবারের জায়গায় অন্য দুটি শব্দ ইউজ করেন।

৯৯১ পঠিত ... ১৯:২৪, মে ০৬, ২০১৯

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি


Top