১#
ছেলে অংক পরীক্ষার নম্বর জেনে বাড়ি এসেছে স্কুল থেকে।
মা জিজ্ঞেস করলেন, ‘কত পেয়েছিস?’
: মাত্র একের জন্য একশো পাই নাই।
: তাই নাকি, নিরানব্বই পেয়েছিস?
: না, দুটো শূন্য পেয়েছি।
২#
ছেলে: হে আল্লাহ! এবারের জন্মদিনে আমাকে একটা ফুটবল উপহার দিও।
মা: এভাবে চিৎকার করে কথা বলো না, আল্লাহ কালা না।
ছেলে: তা জানি। কিন্তু আব্বা যে পাশের ঘরে।
৩#
ছেলে: মা, বাবা কি খুব লাজুক?
মা: হ্যা, উনি লাজুক না হলে তোমার বয়স আরো ছয় বছর বেশি হত।
৪#
মা: ট্রেনের মধ্যে দুষ্টুমি করলে মারব। একদম চুপ করে বসে থাকবি।
ছেলে: আমাকে মারলে টিকিট চেকারকে আমি আমার আসল বয়স বলে দিবো।
৫#
মা: উঠে পড়, স্কুলে যাবি না?
ছেলে: ইচ্ছে করছে না, মা।
মা: কেন যাবি না? যেতেই হবে।
ছেলে: টিচাররা আমাকে পছন্দ করে না, ছেলেরাও দু চোখে দেখতে পারে না। গিয়ে হবেটা কী?
মা: বিয়াল্লিশ বছর বয়স হলো এখনো তোর স্বভাব গেল না। ওঠ বলছি, তুই না স্কুলের হেডমাস্টার।
৬#
মা: কী ব্যাপার রনি, সারাক্ষণ কোমরে দড়ি বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছো কেন?
ছেলে: তুমিই তো বললে, পরীক্ষা সামনে এবার কোমর বেঁধে লেগে পড়।
৭#
ছেলে (হাঁপাতে হাঁপাতে বাড়ি এসে): মা আমি আজ একটা খুব ভালো কাজ করেছি। আমি আর আমার দুই বন্ধু একজন বয়স্ক মহিলাকে ধরে রাস্তা পার করে দিয়েছি।
মা: বাহ খুব ভালো কাজ করেছ। কিন্তু তিনজন মিলে একজনকে ধরতে হলো কেন?
ছেলে: আসলে উনি একদমই রাস্তাটা পার হতে চাইছিলেন না তো, তাই।
৮#
মা: তোমার প্রোগ্রেস রিপোর্ট দেখে মোটেই খুশি হতে পারলাম না।
ছেলে: টিচারকে বলেছিলাম তুমি রাগ করবে, তবু পাঠিয়ে দিলো।
৯#
: মা জানো ক্লাসে সবাই আমাকে মাথামোটা বলে ডাকে।
: ওটা নিয়ে মন খারাপ করিস না বাপ, যা তো তোর টুপিতে করে পাশের বাসা থেকে আলু নিয়ে আয়, তোর টুপিতে বেশি ধরে।
১০#
ছেলে: মা তোমার সেই কাচের দামি ফ্লাওয়ার ভাসটা নিয়ে সবসময় টেনশন করো, আমি ভেঙে ফেলব বলে।
মা: কেন কী হয়েছে?
ছেলে: ওটা নিয়ে আর টেনশন করতে হবে না তোমার।
পাঠকের মন্তব্য