ডাকসু নির্বাচনের সিজনে প্রার্থীদের দিয়ে যা যা করিয়ে নেবেন

৩০ পঠিত ... ১১ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে

ডাকসুর ফরম বিতরণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী মৌসুমের যাত্রা শুরু হয়ে গেল। ডাকসু, জাকসু, রাকসু নির্বাচন উপলক্ষে ফেসবুকে ফটোকার্ডে ছয়লাপ হয়ে গেছে, প্রার্থীরা প্রচারণায় মাঠে নামছেন—অনলাইনে ও অফলাইনে সর্বত্রই। নির্বাচনে জিতলে কী করবেন না করবেন সেটা তো নির্বাচনের পরের আলাপ। একজন প্রার্থীকে কেন ভোট দেবেন? সে যদি আপনার কোনো কাজেই না লাগে, সেই চিন্তা থেকে যে কাজগুলো প্রার্থীদের মাধ্যমে করিয়ে নিতে পারেন—

 

১। অ্যাসাইনমেন্ট লিখিয়ে নিন

ছাত্রজীবনে অ্যাসাইনমেন্ট লেখার ধৈর্যের কাজ করাটা কতটা কঠিন সেটা তো নতুন করে বলে দেওয়া লাগে না। একজন নেতা ভোট চাইতে আসবেন আর সাথে সাথে দিয়ে দেওয়া হবে—এমন হলে তো চলবে না। আপনার জমানো অ্যাসাইনমেন্টগুলো তাকে করে দিতে বলুন। যদি শেষ করে ফেলতে পারে তাহলে বুঝতে হবে তার ধৈর্য আছে, তাকে ভোটটা দেওয়া যায়।

 

২। হলে পড়ার টেবিলটা সুন্দর করে গুছিয়ে নিন

হল জীবনে পড়ার টেবিলে বইপুস্তকের সাথে দুনিয়ার হেন বস্তু নাই যে থাকে না। ঠিক সময়ে কলম পাওয়া যায় না, তো আবার খাতা খুঁজতে গিয়ে বইয়ের পাতা ছিঁড়ে যায়। একজন নেতা যদি আপনার পড়ার টেবিল গুছিয়ে দিয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে সে বেশ সুন্দর করে নিজের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম, ভোটটা তাকেই দেওয়া যায়।

 

৩। প্রিয় মানুষের জন্য কবিতা লিখিয়ে নিন

ভোট টানতে হলে ক্রিয়েটিভ হতে হয়— প্রচারণায় স্লোগানে, ব্যানারে, ফেস্টুনে। আপনার কাছে ভোট চাইতে আসলে কিভাবে বুঝবেন সে ক্রিয়েটিভ নেতা? তাকে দিয়ে আপনার প্রিয়তমার জন্য কবিতা লিখিয়ে নিন। যদি ভালো কবিতা লিখে দিতে পারে তাহলেই ভোটের আশ্বাস দিন।

 

৪। রুমের মাকড়শার জালগুলো পরিষ্কার করে নিন

ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন হয়তো কেউ কেউ দেখে, তবে হলের বিছানায় শুয়ে মাকড়শার জাল দেখে না— এমন কেউ নেই। ভোট চাইতে এসে যদি মাকড়শার জাল পরিষ্কার করে দিয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে সে পরিষ্কার রাজনীতি করে। ভোটটা আসলে তারই প্রাপ্য।

 

৫। সকালে ঘুম থেকে উঠার জন্য হিউম্যান অ্যালার্ম হতে বলুন

ভোট চাইতে আসা নেতার মধ্যে কি পাংচুয়ালিটি আছে, নাকি সারারাত ঘাস কেটে বেড়ায়— সেটা বোঝারও দরকার আছে। সেটা বোঝার জন্য ভোটের আগের ৭ দিন তাকে বলুন আপনাকে যেন সকালে ফোন দিয়ে জাগিয়ে দেন। ৭ দিন জাগালে আসলে সে ভোটটা পেতেই পারে।

 

৬। ফাইনাল পেছানোর ব্যবস্থা করে দিতে বলুন

ছাত্রনেতা হতে হলে মাঝে মাঝে ছাত্রদের জন্য বিশেষ কিছু কাজও করতে হয়— শিক্ষকদের কাছে এটা–ওটা দাবি করা, কথা বলে মন গলানো থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছু। নির্বাচনের জন্য পড়ালেখা উচ্ছন্নে যাচ্ছে দেখে ভোট চাইতে আসলে আপনার ফাইনাল পেছানোর ব্যবস্থা করে দিতে বলুন। যদি সে সফল হয়, ভোটটা এবার তার ব্যালটেই ফেলুন।

 

৭। পিঠ চুলকে দিতে বলুন

নেতা হয়ে যে অনেক বড় বড় কাজ করতে হবে এমন না, মাঝে মাঝে টুকটাক ছোটখাটো কাজও করতে হয়। এই যেমন— মশা মেরে দেওয়া, পিঠ চুলকে দেওয়া, বালিশের কাভার বদলে দেওয়া। ভোট পেতে চাইলে এরকম কিছু একটা করতে বলুন।

 

৮। আপনার সদ্য কেনা নতুন ফোন নাম্বার বের করতে বলুন

আপনাকে আপনার পুরোনো নাম্বারে কল দিয়ে ভোট চাইলে বলুন যে, এই নাম্বার তো সবাই জানে। আমার ভোট পেতে হলে আমার নতুন কেনা সিমে ফোন দিন। নাহলে তো ভোট দিতে পারছি না এবার।

 

৯। হলের ক্যান্টিনে টানা ৩ দিন খাবার খেতে বলুন

ছাত্রদের নেতা হতে হলে অবশ্যই নেতাকে হলের ডাইনিং/ক্যান্টিনের খাবার খেতে হবে। এখানের ডাল–ভাত না খেলে সাধারণ ছাত্রদের তো তারা বুঝতেই পারবেন না। আপনার ভোটটি এবার ডাইনিংয়ে খাবার খাওয়া নেতাকেই দিন।

৩০ পঠিত ... ১১ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে

Top