বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা। ১৯৫২ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত সব গণআন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন, যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে এ দেশ স্বাধীন হয়। ২৫শে মার্চ রাতে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, যা সারা দেশে মুক্তির সংগ্রাম জ্বালিয়ে দেয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের গুলিতে তিনি নিহত হলেও, তার আদর্শ ও মহত্বকে কেউ মুছে দিতে পারেনি—ইতিহাস প্রমাণ করে, মহান মানুষ মৃত্যুকে পরাজিত করে বেঁচে থাকেন।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নন্দিত কিছু মানুষের উক্তি দেখে নিন।
১। জনগণকে ভুল পথেও নিয়ে যাওয়া যায়; হিটলার-মুসোলিনির মতো একনায়কেরাও জনগণকে দাবানলে, প্লাবনে, অগ্নিগিরিতে পরিণত করেছিলো, তা ছিলো অশুভ দাবানল, প্লাবন, অগ্নিগিরি, যার পরিণতি হয়েছিলো ভয়াবহ। জনতাজাগানো নেতারা জনগণকে সৃষ্টি করতে পারে, আবার নষ্ট করতে পারে। তারা জনগণকে উন্মাদ মগজহীন প্রাণীতে পরিণত করেছিলো। ১৯৭১-এর মার্চে শেখ মুজিব সৃষ্টি করেছিলেন শুভ দাবানল, শুভ প্লাবন, শুভ অগ্নিগিরি, নতুনভাবে সৃষ্টি করেছিলেন বাঙালি মুসলমানকে, যার ফলে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম।
হুমায়ুন আজাদ
লেখক ও বুদ্ধিজীবি
২। আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তেজী এবং গতিশীল নেতা আগামী বিশ বছরেও এশিয়া মহাদেশে আর পাওয়া যাবে না।
হেনরি কিসিঞ্জার
আমেরিকান কূটনীতিক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী
৩। মুজিব হত্যার পর বাঙালীদের আর বিশ্বাস করা যায় না,যারা মুজিবকে হত্যা করেছে তারা যেকোনো জঘন্য কাজ করতে পারে।
উইলিব্রান্ট
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী
৪। শেখ মুজিব দৈহিকভাবেই মহাকায় ছিলেন, সাধারণ বাঙালির থেকে অনেক উচুঁতে ছিলো তার মাথাটি, সহজেই চোখে পড়তো তার উচ্চতা। একাত্তরে বাংলাদেশকে তিনিই আলোড়িত-বিস্ফোরিত করে চলেছিলেন, আর তার পাশে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে যাচ্ছিল তার সমকালীন এবং প্রাক্তন সকল বঙ্গীয় রাজনীতিবিদ।
হুমায়ুন আজাদ
লেখক ও বুদ্ধিজীবি
৫। আমি কিংবদন্তির কথা বলছি, আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি। তিনি স্বপ্নের মত সত্য ভাষণের কথা বলতেন সুপ্রাচীন সংগীতের আশ্চর্য ব্যাপ্তির কথা বলতেন তিনি কবি এবং কবিতার কথা বলতেন।
জসীমউদ্দীন
কবি ও সাহিত্যিক
৬। তুমি বাংলার লোক? আমি কিন্তু তোমাদের জয় বাংলা দেখেছি। শেখ মুজিব দেখেছি। জানো এশিয়ায় তোমাদের শেখ মুজিবের মতো সিংহ হৃদয়বান নেতার জন্ম হবে না বহুকাল।
মুক্তি ফুকিউরা
জাপানি বুদ্ধিজীবী
পাঠকের মন্তব্য