ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়ন ফর্ম দেয়া শুরু হয়েছে। চমক এসেছে সুদূর বিদেশ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তারেক রহমান এবার অংশগ্রহণ করছেন এবারের ডাকসুর নির্বাচনে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তারেক রহমান অনেক বছর থেকেই বিদেশে, ড. মুহম্মদ ইউনুস ও নির্বাচন নিয়ে ঠিকঠাক কিছু বলছেন না, কি হবে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।
দেশের বর্তমান এই পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের সাথে সংযোগ বাড়ানোর জন্যই মূলত ডাকসু নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন বলে জানা গেছে তার ঘনিষ্ট সূত্র থেকে। তার কাছের একজনের সাথে eআরকি টিম যোগাযোগ করলে জানা যায়, তারেক রহমান রাজনীতি জীবনের অনেকদিনের মরিচা তুলে ফেলতে নির্বাচনটা করবেন। অন্য সবার মত আপাতত ফেসবুকে ফোটো কার্ড দিয়ে নির্বাচনী প্রচার করার কথা ভাবা হচ্ছে। পরে সারাদেশ থেকে জাকসুর জন্য নির্বাচনী প্রচারণা করার ইচ্ছা আছে।
ডাকসু নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সময় প্রতীক হিসেবে শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে জ্বালানোর ল্যাম্পপোস্টকে প্রাথমিক ভাবে চাওয়া হয়েছে, যদি সেটা না পাওয়া যায় তাহলে শিক্ষার প্রতীক হিসেবে জ্যামিতিবক্সের চাঁদা চাওয়া হয়েছে। ঢাবিতে ব্যাপক শিক্ষা কর্মসূচি চালানো, পড়ালেখা ক্লাস রুম থেকে শুরু করে রাস্তায় পর্যন্ত যেন করা যায় সেজন্যই ল্যাম্পপোস্ট মার্কাটা চাওয়া।
ছাত্রছাত্রীরা তারেক রহমানের ফরম জমা দেয়ার খবরে বেশ আপ্লুত। এমন নেতা ভিপি হলে সব কিছুই বদলে যাবে বলে তাদের বিশ্বাস। বিগত সব কিছুকে ছাপিয়ে তারেক রহমান নিয়ে আসবেন নতুন এক রাজনৈতিক ধারা। নেতারা প্রথম শিক্ষাঙ্গণে নিজেদের প্রমাণ করবেন, এরপর প্রমাণ করবেন জাতীয় সংসদে, এমনটাই তো হওয়া উচিত বলে মনে করছেন অনেকে।
তারেক রহমান ডাকসু কাপাতে আসতে চলেছেন বলে সুপ্ত, গুপ্ত, লুপ্ত, প্রকাশিত সকল সংগঠন একটু নড়েচড়ে বসেছেন বলে জানা গেছে। অভ্যন্তরীণ মিটিংগুলোতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দরকার হলে সব প্যানেল এক হয়ে যাবে, কঠিন এক ফাইট দেয়ার জন্য সবাই প্রস্তুত। দেখা হবে নির্বাচনের দিনে, ব্যালট যুদ্ধে।
জনাব তারেক রহমানের সাথে যোগাযোগ করতে চাওয়া হলে eআরকি টিমকে একটা জুম মিটিং-এর লিংক দেয়া হয়। নেটের স্পিড ১০ কিলোবাইট হওয়াতে আমরা এখনো তার সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি, তবে ইমেইলে আমাদের জানানো হয়েছে, আমি অনেক বেশি আশাবাদী, আশা করছি এবারের ডাকসু নির্বাচনে আমিই ভিপি হবো।