ইদানিং আওয়ামী লীগের মতো বিএনপির দলীয় নেতা-কর্মীরা নিজেরা নিজেরাই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ছেন। বিএনপি নেতা-কর্মীদের এসব মারামারি দেখে পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের কর্মীদের, নস্টালজিক হয়ে অনেকে নিজেদের ফেসবুকে ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’ এবং ‘পুরনো সেই দিনের কথা’ গানটি পোস্ট করছেন।
একজন সিনিয়র আওয়ামী কর্মী এ নিয়ে আবেগঘন প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আহা! কী সুন্দর দিনই না ছিল! নিজেরাই নিজেদের পেটাতাম, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া দিতাম। বিএনপির ইদানিংয়ের মারামারি দেখে বুকটা কেমন খালি খালি লাগছে। এমন মারামারি করার অধিকার হারানোর বেদনা আমাদের চেয়ে বেশি আর কে বুঝবে বলেন।
আর এই নস্টালজিয়ার টানেই তারা সম্প্রতি অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করেছেন একটি ‘ডামি মারামারি’ আয়োজনের জন্য। একজন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক নেতা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, ডামি নির্বাচন যখন সফলভাবে আয়োজন করতে পারছি, তখন ডামি মারামারি করা তো একেবারে লেফট হ্যান্ডের কাজ। ভোটকেন্দ্রের বুথে ঢুকে যেমন অভিনয় করি, তেমনি মঞ্চে উঠে শো-মারামারি করব। শুধু ক্যামেরা আর দর্শক চাই।
তবে মারামারির মান নিয়ন্ত্রণ নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। এজন্য বিশেষ ট্রেনিং ম্যানুয়াল তৈরি হচ্ছে—যেখানে থাকবে কাকে আগে চুল ধরা হবে, কার গালে থাপ্পড় স্লো মোশনে খাওয়া উচিত, আর কোন চেয়ারটি ভাঙার জন্য বেশি ফটোজেনিক। অন্যদিকে বিএনপি কর্মীরা বলছেন, আমাদের মতো ফ্রি-স্টাইলে মারামারি করতে হলে আগে অনুশীলন দরকার। আওয়ামী লীগের জন্য এটা কঠিন চ্যালেঞ্জ।