মানব ইতিহাসে প্রথমবারের মত চাঁদ থেকে ঘুরে আসা মানুষ হিসেবে নিল আর্মস্ট্রং-এর একটা নীল ডায়েরি খুঁজে পাওয়া গেছে। চাঁদ থেকে ফিরে এসে তিনি নানা সময়ে নানা কিছু লিখেছেন, সভা সেমিনারে কথা বলেছেন। তার হারিয়ে যাওয়া অনেক গুলা লেখার মধ্যে এই ডায়েরির গুরুত্ব অপরিসীম বলে জানান নিলের ভক্তকূল। মানব জাতির ইতিহাসে এমন চিন্তা যে নিল আর্মস্ট্রংই করতে পারেন সেটা এমনিতেই বোঝা যায়, হাজার হলেও তিনি চাঁদে পা রাখা প্রথম মানুষ।
ডায়েরির পাতাজুড়ে নিল আর্মস্ট্রং লিখেছেন চাঁদে গিয়েই তিনি সর্বপ্রথম স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করার মত একটা গির্জা খুঁজছিলেন। এমন সুযোগ না পেয়ে খুবই বিমর্ষ হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পৃথিবীতে ফিরেই এর একটা বিহিত করতে হবে। মানুষ এত কষ্ট করে চাঁদে যায় অথচ প্রার্থনা করার মত কোনো গির্জা নেই, এটা কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। ধর্মপ্রাণ যেকোনো মানুষই চাইবে চাঁদে গিয়ে একটু প্রার্থণা করে সৃষ্টিকর্তার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করবে।
ডায়েরির পাতাজুড়ে নিল আর্মস্ট্রং চাঁদে কিভাবে গির্জা বানানো যায় সেটার নকশা একেছিলেন। বিভিন্ন মানুষের সাথে নিজের ভাবনা শেয়ার করার পর তিনি বেশ উৎসাহ ও পেয়েছিলেন বলে লিখেছেন। এক ধনকুবের তাকে আস্বস্থ করে বলেছিলেন, আপনি গির্জা বানানো শুরু করেন, টাকা ব্যবস্থা আমি করব। বেশ মনোবল নিয়ে বের হয়েছিলেন তারা অফিস থেকে।
নিল আর্মস্ট্রং প্রায় গুছিয়েই ফেলেছিলেন প্ল্যানটা। টাকা পয়সা, মালামাল, লেবার নিয়ে রওনা হয়ে বছর খানেকের মধ্যেই বানিয়ে ফেলবেন গির্জাটি। মোজাইকের নকশার জন্য মাইকেল এঞ্জেলোর কাজ কপি করতে পারেন এমন একজনকেও রাজি কয়িয়ে ফেলেছিলেন। তবে বিপত্তি বাঁধে যে টাকা দিতে চেয়েছিলেন তিনি কাজের মাঝপথে টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয়।
নিল আর্মস্ট্রং মারা গিয়েছিলেন কাজটা অসমাপ্ত রেখেই। কিছুটা বাকি আছে। আপনারা চাইলেই কাজটা শেষ করা যাবে। আর্মস্ট্রং নেই কিন্তু তার ডায়েরিটা তো আমাদের হাতেই আছে। আপনারা চাইলে যে যার মত টাকা পাঠাতে পারেন আর্মস্ট্রং ফাউন্ডেশনের বিকাশ নাম্বারে। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন আর্মস্টং চার্চ ফাউন্ডেশনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে।
