ঢাবিতে না পড়েও যেভাবে ডাকসুতে ভোট দেবেন

৬০ পঠিত ... ৪ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে

আর মাত্র একদিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন। যা গোটা দেশই চেনে ডাকসু নামে। নিয়ম অনুযায়ী এখানে শুধু বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই ভোট দিতে পারবেন। তবে ডাকসু নিয়ে আগ্রহ তো সবার, গ্রাম থেকে শহর—পুরো দেশবাসীর মনেই যেন ঢাবি-ছাত্রের আত্মা বাস করে। এমনকি প্রতিদিনের অনলাইন ভোটেও ঢাবির বাইরে দেশ-বিদেশ থেকে হাজারও মানুষ ভোট দিচ্ছেন। কিন্তু ঢাবির না হয়েও ডাকসুর মূল ভোটে কীভাবে ভোট দিবেন? 

এ নিয়ে eআরকির গবেষক দল হাজির করেছে একগুচ্ছ একদমই অকেজো টিপস। 

১. বট আইডি হয়ে যান: ভোট ৯ তারিখে হলেও অনলাইনে প্রতিদিনই কয়েকশো ভোট হচ্ছে। চাইলে সেখানেই একবারে পাঁচ-ছয়বার হাত পাকিয়ে নিতে পারেন।

২. মরে যান: মৃতদের ভোট দেওয়ার ঐতিহ্য একসময় বাংলাদেশে ছিল। এখনও চালু আছে কি না জানি না। তবে কবর থেকে উঠে ভোট দিয়ে আবার শান্তিতে শুয়ে পড়তে ক্ষতি কী!

৩. নিজের বাসায় ডাকসু বানান: বাসার মধ্যে মিনি ডাকসু খুলে ফেলুন। মা ভিপি, বাবা জিএস, ছোটভাই এজিএস, পুরো পরিবার দাঁড়িয়ে পড়ুক প্যানেলে। ৯ তারিখে আনন্দের সঙ্গে ভোট দিন।

৪. ফেক আইডি বানান: নীলক্ষেত থেকে একটা ঢাবি কার্ড বানিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুন। তবে সাবধান, ধরা পড়লে জেলে গেলে eআরকি কিন্তু দায় নেবে না।

৫. টেনশন করুন: বিজ্ঞানীরা নাকি বলেছে, ভোট দেওয়ার চেয়ে ভোট নিয়ে টেনশন করাটাই নাকি বেশি থ্রিলিং। তাই সকাল থেকে রাত অব্দি ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত টেনশন করে যান, মনে হবে ভোট দিয়েছেনই।

৬. বাবা-মায়ের স্বপ্ন কোটায়: ঢাবিতে ভর্তি না হলেও পোলিং এজেন্টকে গিয়ে বলুন, আমার বাবা-মার আজন্ম স্বপ্ন ছিল আমি ঢাবিতে পড়ব। এইম ইন লাইফ রচনায়ও লিখেছিলাম ঢাবিতে পড়তে চাই—আবেগে হয়তো পোলিং এজেন্ট আপনাকে ভোট দিতে দিবে।

৭. ফেসবুক অ্যাবাউট বদলান: প্রোফাইলে লিখুন ‘Student at Dhaka University।’ ভোটের দিনে পোলিং এজেন্টকে ফেসবুক দেখিয়ে বলুন, ভাইয়া, আমাকে ভোট দিতে দেন, এই যে আমার ঢাবিতে পড়ার প্রমাণ। 

৮. গুপ্ত ভোট: যেমন গুপ্ত রাজনীতি আছে, তেমনই হয়তো গুপ্ত ভোটের সুযোগও আছে। খোঁজ নিয়ে দেখুন, পেলে চুপি চুপি গুপ্ত কোটায় ভোটটা দিয়েই চলে আসুন। 

৬০ পঠিত ... ৪ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে

Top