ডাকসু নির্বাচনে এজিএস পদপ্রার্থী ঢাবির ইংরেজি বিভাগের আশিকুর রহমানের নির্বাচনী পোস্টার ও ইশতেহার নজর ও মন কেড়েছে অনেকের। একদম রাখঢাক বিহীন সোজাসাপ্টা খোলামেলা ইশতেহার পড়তে গেলে মনে হবে যেন Gen-Zদের মধ্যে একমাত্র আশিকুর রহমানই Goated নেতা। ফেসবুকে চমকপ্রদ এক পোস্টের মাধ্যমে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন, দিয়েছেন নির্বাচিত হলে কী কী করবেন আর কী কী করবেন না।
নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েই আশিকুর রহমান যে Aura Farm করছেন সেটা তার পোস্টের রিয়েক্ট ও শেয়ারের সংখ্যা দেখলেই বোঝা যায়। তিনি ঠিক কী এমন বললেন যে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন পড়ে গেল? উত্তরটা আসলে তার ফেসবুক পোস্টেই আছে।
ডাকসু নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি সবার প্রথমে অ্যাটেন্ডেন্স মার্ক শিথিলকরণ বিষয়টা রেখেছেন। তিনি লিখেছেন, I declare war on my faculties. কেন আমাকে ওই ৫ মার্কের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বস্তাপচা লেকচার শোনা লাগবে? এর থেকে ক্লাস না করে ভালো রেজাল্ট করা যায়। And they use it as a weapon.
অন্য প্রার্থীদের ইশতেহার দেখলে যেখানে মনে হবে সবাই একে অপরেরটা কপি পেস্ট করে চালিয়ে দিচ্ছেন, সেখানে আশিকুর রহমানের পুরো বক্তব্য খুব বেশি আলাদা এবং প্রত্যেকটা জায়গায় তিনি নিজের স্বতন্ত্রতা বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন।
গতানুগতিক ধারায় নেতারা সমস্যা খুঁজে বের করে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মাঠে নামিয়ে দিতে পছন্দ করেন, অথচ নেতার কাজ হলো ছাত্র-ছাত্রীরা সমস্যা বললে তিনি নিজে উপযুক্ত অথোরিটির সাথে ফাইট দেবেন। আশিকুর রহমান সেই ছাত্র ছাত্রীদের নেতা হতে চেয়েছেন যারা সমস্যা বের করবে, আর তিনি সমধান করার যুদ্ধে নামবেন, সমর্থকরা সোফায় বসে তাকে দেখবেন।
ছাত্রীদের নিরাপত্তা, যার যার ধর্ম পালনে, সাংস্কৃতিক কাজ করার ক্ষেত্রে স্বাধীনতার জন্য তিনি কাজ করতে চেয়েছেন। এছাড়া তাকে নির্দ্বিধায় ভোট দেয়ার কারণ হিসেবে তিনি নিজের আর্থিক সততা, নারী কেলেঙ্কারী ও ভাই ব্রাদার কোরাম থেকে দূরে থাকার মত বিরল সব গুণের কথাও উল্লেখ করেছেন। আর ভোটাররা যদি এনিমে লাভার হয়ে থাকেন তাহলে তারা তো Otaku ক ভোট টা অবশ্যই দেবেন।
তাকে কেন ভোট দিবেন না? আপনার যদি মাঝরাতে কোনো সমস্যা হয় আর সমাধানে তার প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই তাকে ভোট দিতে মানা করেছেন। তিনি আগে আগে ঘুমিয়ে যান আর রাতের সমস্যা গুলো প্রক্টোরিয়াল টিম ভাল করে হ্যান্ডেল করতে পারে বলেও উল্লেখ করেছেন। এছাড়া তিনি অন্যায়- অনিয়ম সহ্য করতে পারেন না। এজন্য কারো যদি সিলেটের পাথর চুরির মত ঐক্যমতে আসার ইচ্ছা থাকে, তারা যেন তাকে ভোট না দেন।
নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি যেমন সোজাসাপ্টা আলাপ করেছেন তেমনি সিগারেট হাতে নির্বাচনী পোস্টারে ছবি ব্যাবহার করেছেন unapologetically. তার মতে, অনেকেরই পোস্টারের ছবি নিয়ে আপত্তি আছে। কিন্তু দুইটা ভোট কম পাব এই ভয়ে যদি পিছপা হতাম তাহলে আমি নিজেকে আর রেসপেক্ট করতাম না।
A man must respect himself. A man must have his pride.
পাঠকের মন্তব্য