রাষ্ট্রীয় কাজে শেখ হাসিনা গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে গেলেন। আপনারা বাংলাদেশের মানুষদের ভুল বুঝিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে ফেললেন। শেখ হাসিনার এই রাষ্ট্রীয় সফরকে যারা ভুলভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেদেরকে অনেক হনু মনে করছেন, তাদের জন্য একটা দুঃসংবাদ আছে—আপনারা শেখ হাসিনাকে আসতে না দিলে কী হবে, শেখ হাসিনাই কিন্তু দেশ চালাচ্ছেন এখনও। ভারতে বসেই জিন দিয়ে দেশ চালাচ্ছেন তিনি। মুফতি রেজাউল ইসলাম প্রধান উপদেষ্টার ওপর যে গোপন জিনের আছরের দাবি করেছেন, সেটা আসলে শেখ হাসিনার জিন, এমনটাই দাবি করছেন ভাটারার আওয়ামী সমর্থক রবিউল ইসলাম।
জিন বিষয়ে আলাপ করার জন্য দিল্লী ও ভারতের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থানরত আওয়ামী নেত্রীবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করি আমরা eআরকি টিম। কয়েকজন নেতার সাথে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি, কয়েক মাস আগে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের বিশেষ খেলোয়াড় শামীম ওসমানের সাথে জিনটির পরিচয় হয়। রাষ্ট্রীয় কাজে শেখ হাসিনার সাথে ভারতে যাবার পর মাজারে মাজারে ঘুরে তিনি কাবিল জিনের খোঁজ করতে থাকেন। দীর্ঘ সময় ধরে খোঁজাখুঁজি করে শেষ পর্যন্ত এই জিনকে পাওয়া যাওয়ার সাথে সাথে শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে জিনকে পরিচালনা করার জন্য উপহার দিয়েছেন তিনি।
শেখ হাসিনা দিল্লীতে বসে জিনকে দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও বক্তব্য নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারটা শেখ হাসিনার বাংলোর কেয়ারটেকার আমাদের নিশ্চিত করেছেন। উনি মাঝরাতে জোরে জোরে চিল্লাচিল্লি করে কিসব যেন মন্ত্র পড়েন আর হাসাহাসি করেন। কখনো কখনো গালি দিতে শুনি, আবার কখনো ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদেন। এক রাতে তার জানালার সামনে বিশাল এক কালো ধোঁয়ার মেঘ দেখেছি আমি। জিন চালনা যারা করে তারাই তো এমন করে—এমনটাই জানিয়েছেন দিল্লীর লুটিয়েন্সের কেয়ারটেকার।
প্রধান উপদেষ্টার ওপর গোপন জিন ভর করেছে—এটা প্রকাশ করার জন্য মুফতি রেজাউল করিম বেশ বাহবা পাচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। উনাদের জব ডেস্ক্রিপশনে জিন তাড়ানোর ব্যাপারটাও আছে বলেই জানি আমরা। আশা করব, তিনি নিজ উদ্যোগে শেখ হাসিনার জিনকে পরাস্ত করবেন এবং সেই জিন দিয়ে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার অপরাধের জন্য বিচারের সম্মুখীন করবেন—এমনটাই আশা করছেন সাধারণ জনগণ।
