জমজমাট উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা ফেসবুক ছাপিয়ে অফলাইনেও নিজের জায়গা করে নিতে শুরু করছে। কদিন বাদেই নির্বাচন। গত ১৬ বছরে কতগুলো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে সেটা না জানা গেলেও, আশা করা হচ্ছে সামনের ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে স্বচ্ছ নির্বাচন। ছাত্র জনতার মধ্যে প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে ভোট দেয়া পর্যন্ত নানা বিষয় নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনার শেষ নেই।
কিছুদিন আগ পর্যন্তও নির্বাচন আসলেই একদল ভোটারের গায়েবি উপস্থিতি টের পাওয়া যেত। সারা বছর তাদের খোঁজ, হারিকেন দিয়ে খুঁজেও পাওয়া যাবে না, কিন্তু নির্বাচন আসলেই তারা হাজির। শেখ হাসিনার আমলে গায়েবি উপায়ে মৃত ব্যক্তিরা ভোট দেয়া শুরু করার পর নাকী তাদের ভেতর অন্য রকম এক পরিবর্তন এসেছে। ভোটের সময় আর কবরে থাকতে পারেন না এখন। নির্বাচন আসলেই কবর থেকে বের হয়ে সরাসরি কেন্দ্রে চলে যান তারা, কারণ তারা হচ্ছেন ভোটের ভূত।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে মৃত ঢাবিয়ানদের প্রস্তুতি কেমন জানার জন্য eআরকি টিম কাল রাতে অফিস শেষে প্ল্যানচেট করতে বসেছিলো। ভোট নিয়ে কি ভাবনা তাদের? কাকে ভোট দিবেন? একেকজন কয়টা ভোট দিতে চান? এমন নানা প্রশ্নের বাণে মৃত ঢাবিয়ানরাই ভয়ে পেয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আমাদের। তবে ভয় কাটিয়ে উত্তর ও দিয়েছেন আমাদের।
আসলে দেখেন আগে তো শেখ হাসিনা ছিলো দেশে, আমরা টুকটাক ভোট দিতে পারতাম, হয়ত একটার জায়গায় দশটা দিতাম, কিন্তু বিশ্বাস করেন সবচে যোগ্য প্রার্থীকেই দিতাম। কিন্তু এখন যে কী হবে! ডাকসু নির্বাচনে আমাদের ভোট দেয়া নিয়ে কোনো ধারাই দেখলাম না। ঢাবির ইতিহাসে কত বছর যে ডাকসু হয় নি সেটা তো সত্য। এত এত বছর আমরা যে ভোট গুলো দিতে পারি নি সেইটা আমরা দিতে চাই।
আপনাদের ভোট দিতে ভয় কিসের? কবর থেকে উঠে গায়েবি ভোট দিবেন! এর উত্তরে তারা জানান এখন কি আর ওসব দিন আছে ভাই। আগে তো ছাত্রলীগের ছেলে পেলেদের গায়ে ভর করে ভোট দিতাম। এখন তো ওরা নেই, এজন্যই মূলত টেনশন আমাদের। অবশ্য তারা এটাও ভাবছেন সাদিক কায়েমের উপর ভর করা যায় কিনা, হাজার হলেও ছাত্রলীগে পোস্টেড ছিলেন।
ডাকসু নির্বাচনে মৃত ঢাবিয়ানরা ভোট দিতে পারবেন কিনা, ভোট দিলেও ঠিক কি উপায়ে দেবেন সেটা নিয়ে বিস্তর আলাপ করতে করতে এক সময় মৃত ঢাবিয়ানদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবার যদি আমাদের ভোট দিতে না দেয়া হয় তাহলে আমরা একটা ছায়া ডাকসু নির্বাচন করব। দিনের বেলায় ডাকসু ভবনে ওরা বসবে, আর রাতে বসব আমরা।