ঢাবির মেয়েদের ওড়নাটা ঠিক করার পণ নিয়ে মার্চ মাসে শপথ নেন ওড়না বিষয়ক উপদেষ্টা অর্ণব। পথে যেতে যেতে মেয়েদের ওড়না বিষয়ক জ্ঞান প্রদানকালে একবার পুলিশে দিলে একদল জনতা তাকে রাতের মধ্যে মুক্তি দেওয়ার জন্য থানা ঘেরাও করে। সেই একদল জনতার মাঝে এসএম ফরহাদের চেহারা আজও অর্ণব ভুলতে পারেননি। পরে আদালত জামিনে মুক্তি পেলে জনতা তাকে ফুলের মালা গলায় দিয়ে বরণ করে নেয় সাথে তাকে ওড়না বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়।
ঢাবির সেই অর্ণব এবার ডাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে চান। কাকে ভোট দিবেন এটা আসলে চিন্তা ভাবনাই করতে চান না। তিনি জানেন কাকে ভোট দিলে ওড়না বিষয়ক ক্যাম্পেইন আরও তীব্র ভাবে গড়ে তোলা সম্ভব। মার্চের সেই রাত থেকেই জানতেন এসএম ফরহাদই এক মাত্র যোগ্য নেতা যার সাথে কাজ করলে ভালো কিছু করা সম্ভব। অর্ণবের কাছের ভাই ব্রাদারদের কাছে বলেছেন, আমি আসলে এসএম ফরহাদকেই ভোট দেওয়ার জন্য ঢাবিতে ভর্তি হতে চাই। দেখেন একদিনের জন্য ভর্তি হওয়া যায় কিনা? ৯ তারিখ ভোটটা না দিলে নিজের জীবনকে মূল্যহীন লাগবে।
ডাকসুকে কেন্দ্র করে ঢাবিতে অর্ণব ও তার ভাই ব্রাদারদের অনলাইন উপস্থিতি তীব্র আকারে ধারণ করেছে। অনলাইনে কোনো ফোরামে শিবিরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অবস্থান জানতে চাইলে কিংবা মেয়েদের স্বাধীনতা বিষয়ে কোনো বক্তব্য রাখলেই আল-বটর বাহিনী হামলে পরে সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে। দেখলে মনে হবে যুদ্ধের মধ্যে আল বটর কমান্ডার পোস্টের লিংক শেয়ার করলেই ঝাপিয়ে পড়ে তার অধীনে থাকা আল-বটর বাহিনী।
মার্চের পর ওড়না বিষয়ে হায়ার স্টাডি করে এসে অর্ণব ক্যাম্পাসে একটা ভ্রাম্যমাণ বুথ খুলতে চান বলে জানা গেছে। এই ভ্রাম্যমান বুথ এআই টেকনোলজি ব্যবহার করে মেয়েদের ওড়ানাকে একদম পার্ফেক্টলি পরিয়ে দিতে পারবে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন অর্ণব। তার এই ইনিশিয়েটিভকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য এসএম ফরহাদকে জেতানো ব্যতীত অন্য কোনো উপায় নেই। এজন্য মূলত অর্ণবের ভোট দিতে চাওয়া।
গতকাল, ১ সেপ্টেম্বর তারিখে আলি হুসেনের লং মার্চের ডাক দেওয়ার পর অর্ণব আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছেন না বলে জানতে পেরেছি আমরা। ঘর থেকে হাজার খানেক ওড়না নিয়ে বের হয়েছিলেন ঢাবির উদ্দেশ্যে। পরে আলি হুসেন তার স্ট্যাটাস ডিলিট করলে তীব্র মনের ব্যথা নিয়ে ঢাবি এরিয়া ত্যাগ করেন। এরপর ঢাবিতে ফিরলে নিজের বুথ প্রকল্পের জন্যই ফিরবেন। এসব আলি হুসেনের মত মোনাফেকের ডাকে ঢাবিতে আর আসবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
