গুরুদেব আসলে কী খেতে এসেছিলেন?

৩৫৬৯ পঠিত ... ২৩:৫২, মার্চ ১৭, ২০১৮

এক গুরুদেব বিনা নোটিশে গেছেন সন্ধ্যাবেলা তাঁর এক শিষ্যের বাড়িতে। আভূমি প্রণত হয়ে শিষ্যমহোদয় জিজ্ঞাসা করলেন, ‘প্রভু, আপনি এই অসময়ে?’ সেদিন শিষ্যমহোদয়ের গৃহে বিরাট পার্টি, অনেক বন্ধুবান্ধব আসবে, অনেক পানীয়ের বন্দোবস্ত। মাহেন্দ্রক্ষণের সামান্য পূর্বে গুরুদেবের আগমনে তিনি প্রমাদ গনলেন অথচ গুরুদেবকে ফেলাও যায় না।

যাই হোক, শিষ্যের ঐ প্রশ্নে গুরুদেব মোটেই আহত বা অপ্রস্তুত হলেন না। তিনি বললেন, ‘এই দিক দিয়া যাইতেছিলাম হঠাৎ খুব তৃষ্ণার্ত বোধ করায় আমি তোমার গৃহ নিকটে জানিয়া আসিলাম।’
শিষ্যগৃহে সেই সন্ধ্যায় পানীয়ের ছড়াছড়ী। সুতরাং গুরুদেবের তৃষ্ণা নিবারণে কোনো অসুবিধাই হওয়ার কথা নয়। এর পরে গুরুশিষ্যের কথোপকথন বিনা মন্তব্যে উপস্থিত করাই ভালো-

শিষ্য: গুরুদেব, লেমনেড আছে, খাবেন?
গুরুদেব: না, লেমনেড নহে।
শিষ্য: সরবত করে দেবে?
গুরুদেব: না, সরবত নহে।
শিষ্য (কিঞ্চিৎ চিন্তিত): চা?
গুরুদেব: না, চা নহে।
শিষ্য (অধিক চিন্তিত): এক কাপ ঠাণ্ডা কফি?
গুরুদেব: না, ঠাণ্ডা কফি নহে।
শিষ্য (বহু চিন্তা করে, বহু ইতস্তত করে, বহু দ্বিধা করে): তা হলে, হুইস্কি-সোডা?
গুরুদেবঃ না, সোডা নহে!

(তারাপদ রায়ের 'মাতাল সমগ্র' থেকে)

৩৫৬৯ পঠিত ... ২৩:৫২, মার্চ ১৭, ২০১৮

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top