লেখা: মাহাবুবা শারমিন কলি
বাংলাদেশ যতখানি নদীমাতৃক, যতটা জনবহুল, যতটা অতিথিপরায়ণ ঠিক ততটাই বিদ্রোহী। যেকোনো দাবীতে মাঠে নামতে তারা পিছপা হয় না। পদ্মা, মেঘনা , যমুনা কোনো কিছুই তাদের থামিয়ে রাখতে পারেনি। এই অপরিহার্য, দুর্দমনীয় আন্দোলনে খানিক লাগাম টানতে মৌলিক চাহিদার মতো অপরিহার্য ব্যবহার দেখা যায় কাঁদানে গ্যাসের। সব সিজনেই যেহেতু নির্বিশেষে এটা খেতেই হচ্ছে,তবে সেটা ফুড গ্রেডেড করা হোক মর্মে দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীদের ফেসবুক গ্রুপ, ‘চ্যালেঞ্জ দিবি না শালা!’
গ্রুপের অ্যাডমিন এক পোস্টে জানান, যতবার আমরা আন্দোলনে গিয়েছি আর কিছু হোক না হোক খেয়েছি গ্যাস। সমস্যা নেই,খাব। কিন্তু তারপর চোখে পানি পড়া, জ্বালা, ঝাপসা দেখা, নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি, তীব্র জ্বালা, গলায় জ্বালা, কাশি, ত্বকে জ্বালা, লাল হয়ে যাওয়া, ফুসকুড়ি বা ফোস্কার জন্য আবার ডাক্তারের কাছে দৌড়াতে হয়। দিনশেষে লাভ হয় ওষুধের দোকানীদের। যেহেতু সব সরকারের আমলেই এটা কমন তাই আমরা চাই এটা স্বাস্থ্যোপযোগী হোক।
‘একজন সদস্য কমেন্ট করে তাতে সহমত জানিয়ে বলেন, আমি শিক্ষার্থী, বেশ কয়েকটা আন্দোলনে গিয়েছি। বাইরে অনেক সময় থাকায় খিদেও বেশ পেয়ে যায়।
গ্যাস খেতে পারলে টিউশনির নাস্তাকে না করে দেব, ওরা খালি টোস্ট বিস্কুট খাওয়ায়।’
গ্রুপের আরেক সদস্য জানান, ‘এই নতুন প্রজেক্টের জন্য নতুন কিছু অনুদানও চাওয়া যাবে(অট্টহাসির ইমো)’
‘বাঙালীর খাওনের আর শ্যাষ নাই, গ্যাসও খাইতে চায়’ কমেন্ট লিখে এক সদস্য অবশ্য রোষানলে পড়ে যান।
খুব শীঘ্রই তারা একটা আশু সমাধানের লক্ষ্যে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে দাবি করেন, মানুষ মানুষের জন্য। কাঁদানে গ্যাস পাকস্থলীর জন্য। একটু সহানুভূতি কি আমরা পেতে পারি না?