নিজের শরীরের যে ব্যাপারগুলো আপনি নিজেও জানেন না

৫০৪ পঠিত ... ১৭:০৪, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২

body part thumb

নিজের শরীর অধিকাংশ মানুষেরই পছন্দ হয়না। শরীর যতই ফিট থাকুক না কেন, আয়নার সামনে দাঁড়ালে চোখে একটা না একটা খুঁত ধরা পড়েই, আর তা নিয়ে বাড়তে থাকে ইনসিকিওরিটি। তবে রং-আকৃতি-গড়ন নির্বিশেষে যেকোন মানবদেহ নিয়ে এই অদ্ভুত তথ্যগুলো জানতে পারলে হয়তো আপনার শরীর নিয়ে এই ইনসিকিওরিটি একটু হলেও দূর হতে পারে! 

 

ছোট খোকা বড় হ, বড় হবি না?

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের পায়ের নখ বড় হতে যতটুকু সময় লাগে, তার চেয়েও কম সময়ে একজন শিশুর শরীর একটুখানি বড় হয়ে যায়!  

 

কী তেলেসমাতি!

আপনার পায়ের পাতা আর হাতের কব্জির দৈর্ঘ্য এক সমান! 

 

রোবোটিক মানবদেহ 

অপারেশনের পর দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোকে জায়গামত নিখুঁতভাবে সাজিয়ে না রাখলেও চলে। মানবদেহ নিজেই ঠেলেঠুলে ওগুলোকে নিজের নিজের জায়গায় বসিয়ে দেয়। 

 

জোনাকি-মানব 

মানুষের শরীর আসলে অন্ধকারেও জ্বলে। কিন্তু সেই আলো আমাদের দৃষ্টিসীমার চেয়ে প্রায় একহাজার গুণ কম হওয়ায় আমরা আমাদের আলো ঝলমলে শরীর দেখতে পারি না। 

 

স্বার্থপর হৃদয় 

বেঁচে থাকার জন্য আপনার হৃদয়ের প্রয়োজন হলেও, হৃদয়ের কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে প্রয়োজন নেই। একটি সুস্থ সবল মানব-হৃদয় পোষক দেহ ছাড়াও বেঁচে থাকতে পারে, যদি তাকে প্রয়োজনমাফিক অক্সিজেন সাপ্লাই দেওয়া হয়!  

 

যাতা খাওয়া মস্তিষ্ক 

মানুষের মস্তিষ্ক আমরা সবসময় কিছুটা কুঁচকানো দেখতে পাই। অথচ মস্তিষ্ক কিন্তু জন্মের পর থেকেই এমন কুঁচকানো থাকেনা। সমতল একটা মস্তিষ্ক, খুলির শক্ত হাড়ের চাপা খেতে খেতে এমন কুঁচকিয়ে যায়। 

 

সিভিল ওয়ার: বিড়াল বনাম পাকস্থলী

একজন মানুষের পাকস্থলীর আশেপাশে যেই পরিমাণ ব্রেইনসেল প্যাঁচানো থাকে, একটা বিড়ালের মস্তিষ্কে তারচেয়েও কম সংখ্যক ব্রেইনসেল থাকে! 

 

গার্ডিয়ান অফ দা গ্যালাক্সি!

বমি করার আগে দিয়ে আমাদের মুখ একপ্রকার লালা দিয়ে ভর্তি হয়ে যায়। মুলত মুখের চামড়া আর গ্রন্থিগুলোকে বমিতে থাকা এসিড থেকে রক্ষা করার জন্যই পাকস্থলী এই কাজ করে। 

 

স্বনির্ভর কর্ণিয়া

শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলর বেঁচে থাকার জন্য নিঃশ্বাসের মাধ্যমে অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আত্মনির্ভরশীল কর্ণিয়া দেহের বাইরের বায়ূমন্ডল থেকেই অক্সিজেন খুঁজে নিতে পারে। এজন্যই চোখে পরার লেন্সগুলো ব্রিদেবল হওয়া জরুরি। 

 

জম্বি ব্রণ!

আমাদের মুখে যে ব্রণগুলো হয়, সেগুলোর উপরে সাদা রঙের একধরনের আস্তরণ দেখা যায়। অনেকের আবার এই সাদা আস্তরটা চাপ দিয়ে ফাটিয়ে ফেলারও বদভ্যাস আছে। এই আস্তরটা আসলে চামড়ার নিচে জমে থাকা মৃত শ্বেত রক্তকণিকার দেহ! 

 

শীতের বিড়ম্বনা

শীতকালে ঠাণ্ডা লাগলে আপনার জন্য সঙ্গীতসাধনা করা একটু দুষ্কর হয়ে যাবে। কেননা নাক বন্ধ থাকলে গুণগুণ করে গান করা যায় না! 

 

নাকের শিফটিং ডিউটি

যদিও আমরা ভাবি যে নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় আমাদের নাকের দুটো ফুটোই কাজে লাগে, তবে ধারণাটা ভুল। আমরা সাধারণত একটা ফুটো দিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে থাকি। তিন চার ঘণ্টা পরপর নাকের ফুটোর ডিউটি বদল হয়ে থাকে। 

 

বেয়াদব ব্রেইন

আপনি আসলে সারাক্ষণই আপনার নাকের ডগা দেখতে পান। আপনার বেয়াদব ব্রেইন চোখকে নির্দেশ দেয় যেন নাকের ডগাটা আপনাকে সবসময় দেখানো না হয়। তাই যখন আপনি নাক দেখার চেষ্টা করেন, কেবল তখনই নাক দেখতে পান। 

 

দাঁতের লুকোচুরি খেলা

শিশুদের দুধদাঁত পড়ার পর নতুন দাঁত গজায়- এই ধারণাটা আসলে ভুল। নতুন দাঁতগুলো দুধদাঁতের নিচেই লুকানো থাকে। দুধদাঁত পড়ে যাবার পর এরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। 

 

ধোঁকাবাজ আঙুল

আমাদের আঙুলে আসলে কোন মাসল বা মাংশপেশি নেই। হাতে জুড়ে থাকা অন্য মাসলগুলোই আঙুলকে নিয়ন্ত্রণ করে। 

 

চ্যাডকনুই

আপনার কনুইতে যতই জোরে চিমটি কাটুন না কেন, একটুও ব্যথা লাগবে না! 

 

সূত্র: বাজফিড 

৫০৪ পঠিত ... ১৭:০৪, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top