১৯৮০ থেকে ২০০০ সালে পৃথিবী বদলে দেয়া কিছু যুগান্তকারী আবিষ্কার

১৭৮৮ পঠিত ... ১৯:০২, ডিসেম্বর ২১, ২০২০

আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে এমন অনেক কিছুই ব্যবহার করি, যেগুলো ছাড়া আমাদের জীবনটাই অচল। এ আবিষ্কারগুলো আমাদের জীবনকে অনেকাংশেই পাল্টে দিয়েছে। এসব আবিষ্কারের আগে পৃথিবীটা কেমন ছিল, সেগুলো হয়তো আমরা এখন ভাবতেও পারব না। আমরা এখানে ১৯৮০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর একটি করে এমন উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারের কথা উল্লেখ করেছি। আপনিও মিলিয়ে নিতে পারেন আপনার জন্মের বছরে কোন যুগান্তকারী উদ্ভাবনটি পৃথিবীকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।  

 

১৯৮০: ফ্যাক্স মেশিন

এখন সেকেলে মনে হতে পারে, কিন্তু ফ্যাক্স মেশিন আবিষ্কারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত, বিশেষ করে ব্যবসায়িক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছিল। আধুনিক ফ্যাক্স মেশিনের আবিষ্কার হয়েছিল জাপানে, ১৯৮০ সালে। কিন্তু ফ্যাক্স মেশিনের প্রাচীন রূপ আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৮৪৩ সালে। ১৯৮২ সালে একটি অফিস ফ্যাক্স মেশিনের দাম ছিল ২০ হাজার মার্কিন ডলার।

এখন ফ্যাক্স মেশিনের সংখ্যা একেবারেই নগন্য। কারণ মানুষ এর চেয়েও দ্রুতগতির ও অবিশ্বাস্য এক যোগাযোগ ব্যবস্থা আবিষ্কার করে ফেলেছে, যার নাম… (এই যে নিচেই পাবেন) 

 

১৯৮১: ইন্টারনেট

ইন্টারনেটের আবিষ্কার সত্যিকার অর্থেই পৃথিবীকে আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছে। ১৯৮১ সালের আগেও ইন্টারনেট ছিল, তবে সেটি তখন শুধু ব্যবহৃত হতো সেনাবাহিনীতে। কিন্তু ১৯৮১ সালে ইন্টারনেটের বিস্তৃতি আরও বাড়ে। এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনেরও কিছুটা অবদান আছে। এই একই বছর আইবিএম পার্সোনাল কম্পিউটার উন্মোচন করে। তাই এটি কম্পিউটারের জন্যও একটা গুরুত্বপূর্ণ বছর। 

 

১৯৮২: কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড

এ বছর বিশ্বে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হন ডাক্তাররা। ইউনিভার্সিটি অব ইউটাহ’র সার্জন ডাক্তার উইলিয়াম ডিভিরিসের নের্তৃত্বে এ অপারেশনটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। সিয়াটলের একজন ডেনটিস্ট বার্নে ক্লার্কের শরীরে এ কৃত্রিম হৃৎপিণ্ডটি প্রতিস্থাপন করা হয় এবং তিনি এ অপারেশনের পরও ১১২ দিন বেঁচে ছিলেন। যতদিন বেঁচে ছিলেন, ততদিন তাঁর হৃৎপিণ্ডকে সচল রাখতে একটি ৪০০ পাউন্ডের এয়ার কম্প্রেসরের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয়েছিল। ব্যাপারটা অতটা আনন্দময় না হলেও সেখান থেকেই চিকিৎসাশাস্ত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা। 

 

 

১৯৮৩: ক্যামকোর্ডার

বাসায় বসে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতায় বড় পরিবর্তন আসে এ বছর, যখন কনজিউমার ক্যামকর্ডার বাজারজাত করা শুরু হয়। সনি প্রথম ক্যামকর্ডার বাজারে ছেড়েছিল। শৌখিন চলচ্চিত্রনির্মাতাদের জন্য এটি ছিল এক বড় আশীর্বাদ। এ বছরই ম্যাকডোনাল্ডসের মেন্যুতে চিকেন নাগেটস যোগ করা হয়। অনেকে মনে করেন আরও কয়েক বছর আগে চিকেন নাগেটস আবিষ্কৃত হয়েছিল, কিন্তু ম্যাকডোনাল্ডসের মেন্যুতে যোগ হওয়ার পর এ খাবারটির জনপ্রিয়তা হুহু করে বাড়তে থাকে। 

 

১৯৮৪: মোবাইল ফোন

১৯৮৪ সালে প্রথম মোবাইল ফোনটি উন্মোচন করা হয়েছিল। বলাই বাহুল্য, সেই ফোনটি ছিল আমাদের এখনকার ফোনগুলোর তুলনায় অনেক বড়। মোটোরোলার   DynaTAC 8000X মডেলের এই মোবাইল ফোনের দাম ছিল ৪ হাজার ডলার। এই বছরের শেষদিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বাণিজ্যিক সেলুলার সার্ভিস লঞ্চ করা হয়।  

 

 

১৯৮৫: লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি

আধুনিক অনেক বিস্ময়কর আবিষ্কারকে আমরা ‘টেকেন ফর গ্র্যান্টেড’ হিসেবে বিবেচনা করি, ভাবি এ আর এমন কি! কিন্তু এ প্রযুক্তিগুলো না থাকলে আজ আমরা এতদূর কী করে আসতাম, তা খুব কমই ভাবা হয়। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিও এমনই একটি আবিস্কার। এই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির কারনেই আমরা মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, ইলেক্ট্রিক কারসহ বহু জিনিস  পুনরায় চার্জ দিয়ে ব্যবহার করতে পারি। এই অভাবনীয় আবিস্কারের জন্য জন বি. গুডএনাফ এবং এম. স্ট্যানলি উইটিংহামকে ক্রেডিট দেওয়া হলেও আকিরা ইয়োশিনো হচ্ছে প্রথম ব্যক্তি, যিনি প্রথম লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির বাণিজ্যিকীকরণ করেছিলেন। ২০১৯ সালে এই তিনজনই তাদের অসামান্য কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। 

 

১৯৮৬: ইলেক্ট্রনিক মেইল লিস্ট

আমাদের ইমেইলের স্প্যাম ফোল্ডারে আমরা কখনো ঢুকিও না। স্প্যাম বক্সে যে মেইলগুলো আসে, সেগুলো সাধারণত অটোমেটেড মেইল। এই অটোমেটেড মেইলিং লিস্ট প্রথম চালু হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। এখন আমরা এসব ইমেইলের দিকে ভুলেও তাকাই না, কিন্তু এই অটোমেটেড ইমেইল বহু কোম্পানির ব্যবসা রাতারাতি পরিবর্তন করে দিয়েছে এবং বিজ্ঞাপণ এবং মার্কেটিং দুনিয়ায় বিপ্লব নিয়ে এসেছে। 

 

১৯৮৭: ডিসপোজেবল কনটাক্ট লেন্স

প্রায় সাড়ে চার কোটি আমেরিকান কনটাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন। এর বাইরে বিশ্বজুড়ে অগণিত মানুষ এটি ব্যবহার করেন। ১৯৩৬ সাল থেকে প্লাস্টিকের কনটাক্ট লেন্সের প্রচলন থাকলেও সেগুলো নিয়ে অনেকেই কমফোর্টেবল ছিলেন না। এ বছর ডিসপোজেবল কনটাক্ট লেন্সের আবিস্কারের কারণে অনেকেই সে সমস্যা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পেয়েছিলেন। 

 

 

১৯৮৮: ফটোশপ

এখন তো কোনো ছবিই ফটোশপের ছোঁয়া ছাড়া আসল ছবি হয়ে ওঠে না! অভাবনীয় এই আবিস্কারটির সূচনা হয়েছিল এ বছর। থমাস নল সর্বপ্রথম ImagePro নামে একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেন, যেটি প্রকাশ করে বার্নিস্ক্যান নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পরে এডোবির সঙ্গে চুক্তির পর ফটোশপ ১.০ এর জন্ম হয়। বর্তমানে ফটোশপের বিস্তৃতি ও ব্যাপকতা কতটা, সেটা মনে হয় নতুন করে আর বলতে হবে না। এ বছরই স্টিফেন হকিংয়ের  A Brief History of Time বইটি প্রকাশিত হয়। 

 

১৯৮৯: ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW)

ইন্টারনেটের জন্য এটা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক বছর। স্যার টিম বার্নার্স-লি এ বছর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব আবিষ্কার করেন। ইউআরএল এবং এইচটিএমএল এর আবিষ্কারকও তিনি। এই আবিষ্কারের জন্য স্যার বার্নার্স-লি টাইম ম্যাগাজিনের বিংশ শতাব্দীর সেরা গুরুত্বপূর্ণ ১০০ ব্যক্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। এ বছরই বার্লিন ওয়াল ভাঙ্গা হয়েছিল। 

 

 

১৯৯০: ডিজিটাল ক্যামেরা

Dycam Model 1 ছিল প্রথম ক্যামেরা, যেটি ছবিকে ডিজিটালি স্টোর করতে পারতো এবং একই সঙ্গে সে ছবি কম্পিউটারে ট্রান্সফারও করা যেত। সে সময়ের প্রেক্ষাপটে এটি ছিল এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। বর্তমানে স্মার্টফোনগুলো দিয়েও অতি উচ্চমানের ছবি তোলা সম্ভব, তাই ডিজিটাল ক্যামেরার জনপ্রিয়তা কিছুটা লোপ পেয়েছে। তবে একটা সময় পকেট সাইজের ডিজিটাল ক্যামেরা সারা বিশ্বে অত্যধিক জনপ্রিয় ছিল।    

 

 

১৯৯১: প্রথম ওয়েব পেজ

আবার স্যার টিম বার্নার্স-লি’র কাছে ফেরত যাই, যিনি ১৯৮৯ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) আবিষ্কার করেছিলেন। ১৯৯১ সালে এসে তিনি প্রথম ওয়েব পেজ তৈরি করতে সক্ষম হন। ইন্টারনেট কীভাবে ব্যবহৃত হবে, এটা ছিল তার প্রথম নমুনা। তিনি তাঁর এ আবিষ্কারের পেটেন্ট করাননি, কারণ তিনি চেয়েছিলেন সবাই এটি বিনামূল্যে ব্যবহার করুক। 

 

 

১৯৯২: টেক্সট মেসেজ

আপনি যদি ১৯৯২ সাল বা তার পর জন্মগ্রহণ করেন, তাহলে হয়তো টেক্সট মেসেজহীন দুনিয়া কখনোই দেখেননি। আমরা এখন যে হাই-স্পিড মেসেজিং করি, ১৯৯২ সালে আবিষ্কৃত টেক্সট মেসেজ ছিল তার প্রথম ধাপ। ডেভেলপার নীল পাপওয়ার্থ প্রথম টেক্সট মেসেজটি পাঠান ভোডাফোনের তৎকালীন পরিচালক রিচার্ড জার্ভিসকে। নীলের পাঠানো ‘মেরি ক্রিসমাস’ মেসেজটিই প্রথম টেক্সট মেসেজ। তিনি তার পার্সোনাল কম্পিউটার থেকে এ মেসেজটি পাঠিয়েছিলেন জার্ভিসের মোবাইল ফোনে। 

 

 

১৯৯৩: বিয়ানি বেবিস

এটি বাচ্চাদের এক ধরনের খেলনা। এ বছরই এটি প্রথম বাজারে ছাড়া হয়, এবং তারপরের ঘটনা যেন একটি ইতিহাস! এ খেলনাটির ডিস্ট্রিবিউটর ছিল Ty, Inc. বিয়ানি বেবিসের অরিজিনাল কালেকশানে নয়টি প্রাণী ছিল। এ খেলনাগুলোর জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বি। নিউ ইয়র্ক পোস্টের তথ্য অনুসারে খেলনাটির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান শুধু ১৯৯৮ সালেই এগুলো বিক্রি করে ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছিল। 

 

১৯৯৪: জেনেটিক্যালি মোডিফাইড ফুড

এখন অনেক খাবার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গর্বের সঙ্গে বলে যে তারা তাদের খাবারে কোনো জিএমও (জেনেটিক্যালি মোডিফাইড অরগানিজমস) ব্যবহার করে  না। কিন্তু ১৯৯৪ সালে Calgene নামের একটি কোম্পানি বেশ গর্বের সঙ্গেই প্রথম জেনেটিক্যালি মোডিফাইড খাবার বাজারে ছেড়েছিল।  কোম্পানিটি Flavr Savr নামের একটি টমেটো বাজারে ছেড়েছিল। এটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। কিন্তু Calgene কখনো এ জনপ্রিয়তা ব্যবহার করে পুঁজি ঘরে তুলতে পারেনি। কারণ, এই টমেটোর উৎপাদন খরচ ছিল অত্যধিক। 

 

 

১৯৯৫: ইউএসবি ক্যাবল

বহু গ্যাজেটের জন্য ইউএসবি ক্যাবল হচ্ছে একটা লাইফলাইন। কিন্তু ১৯৯৫ সালের আগে এর অস্তিত্বই ছিল না। এ বছর প্রযুক্তি কোম্পানি ইনটেল বিশ্বের সামনে ইউনিভার্সাল সিরিয়াল বাস বা সংক্ষেপে ইউএসবি উন্মোচন করে। ইউএসবি ক্যাবল আবিষ্কার করেছিলেন ইনটেলের তৎকালীন চিফ সিস্টেমস টেকনোলজিস্ট অজয় ভাট। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ১০০ কোটির বেশি ডিভাইসে ইউএসবি ক্যাবল ব্যবহৃত হচ্ছে।

 

১৯৯৬: ডিভিডি

ডিভিডি আবিষ্কার সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতাকে একেবারে পাল্টে দিয়েছিল। এ বছর ডিভিডি আবিষ্কারের পর সিনেমা দেখা নিয়ে ভক্তদের ঝক্কিঝামেলা অনেকাংশেই কমে যায়। ডিভিডির আবিষ্কারক হিসেবে কেউ কখনো কারও নাম দাবি করেন বলে শোনা যায় না। তবে প্রথম ডিভিডি প্লেয়ার বাজারজাত করেছিল টোশিবা। 

 

১৯৯৭: হাইব্রিড কার

টয়োটার  প্রথম হাইব্রিড কার জাপানের বাজারে আসে এই বছর। গ্যাসোলিন ইঞ্জিনের সঙ্গে ইলেক্ট্রিক মোটরের মেলবন্ধনকে হাইব্রিড করা বলা হয়। এ দুটির যোগসূত্রের ফলে গাড়ির জ্বালানির অনেক সাশ্রয় হয়। হাইব্রিড কারের আবিষ্কার গাড়ি শিল্পকে অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছিল তা বলাই বাহুল্য। 

 

১৯৯৮: ই-রিডার

আমরা অনেকেই হয়তো এখনো বই হাতে ধরে পড়তে ভালোবাসি। কিন্তু প্রথম ই-রিডার বাজারজাত করা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। বর্তমানে বহুল জনপ্রিয় অ্যামাজনের কিন্ডলবুক কিন্তু প্রথম ই-রিডার ছিল না। বরং প্রথম দুটি ই-রিডারের নাম ছিল ‘সফটবুক’ এবং ‘রকেট ই-বুক’। রকেট ই-বুকের দাম ছিল ৫০০ মার্কিন ডলার এবং এটির ধারণক্ষমতা ছিল ৪,০০০ পেজ। সফটবুকের দামও ছিল একই, কিন্তু সেটিতে রকেট ই-বুকের তুলনায় দ্বিগুণ পেজ লোড করা থাকতো। এ দুটির কোনোটিই বাণিজ্যিক সাফল্য পায়নি। কিন্তু হাজার হাজার বছর ধরে মানুষের পড়ার ধারণাকে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছিল এ ডিভাইসগুলো। এখনো কিন্ডলের মতো অন্যান্য ই-রিডারের জনপ্রিয়তা আছে। 

 

 

১৯৯৯: ন্যাপস্টার

আপনি যদি ১৯৯৯ সালের দিকে খুব প্রযুক্তিপ্রেমী এবং মিউজিক লাভার হয়ে থাকেন, তাহলে ন্যাপস্টারের নাম শুনে থাকবেন। শন পার্কার এবং শন ফ্যানিংয়ের মস্তিষ্কপ্রসূত প্রযুক্তি এটি। ন্যাপস্টারের সাহায্যে যে কেউ যেকোনো মিউজিক যেকারো সঙ্গে শেয়ার করতে পারতেন। একটাই সমস্যা ছিল যে, এই মিউজিক শেয়ারিংটা ছিল অবৈধ, কারণ এতে গানের মেধাস্বত্ত্ব ও বিক্রিসত্ত্ব নষ্ট হয়। ২০০১ সালে ন্যাপস্টার নিজেকে গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়। 

 

২০০০: ক্যামেরা ফোন

আপনি যদি ২০০০ সালের পর জন্মগ্রহণ করে থাকেন, তাহলে ফোনে এক সময়য় ক্যামেরা ছিল না তা আপনার জন্য একটা অবাক হওয়ার মতো বিষয় বটে। প্রথমদিকে যেসব কোম্পানি ক্যামেরাযুক্ত ফোন বাজারজাত করেছে, স্যামসাং তাদের একটি। স্যামসাংয়ের ওই ফোন দিয়ে মাত্র ২০টি ছবি তোলা যেত এবং ছবির রেজুলেশনও ছিল খুবই বাজে। ২০০০ সালের পর শর্পও তেমন একটি ডিভাইস তৈরি করে ও জে-ফোন নামের একটি কোম্পানির নামে বাজারজাত করে। এটির রেজুলেশনও ভালো ছিল না। কিন্তু প্রথমদিকের এ ডিভাইসগুলো মোবাইল ফোনের সঙ্গে অ্যাকসেসিবল ক্যামেরার সম্পর্ককে স্থায়ী রূপ দিতে সহায়তা করেছে।

১৭৮৮ পঠিত ... ১৯:০২, ডিসেম্বর ২১, ২০২০

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top