যত নোবেলীয় ঘটনা

১২ পঠিত ... ৩ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে

পুরো বিশ্ব সারা বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকে যেসব আয়োজনের জন্য তার মধ্যে নোবেল প্রাইজ অন্যতম। নোবেল অনেকেরই বহু কাঙ্ক্ষিত একটি পুরস্কার। কেউ কেউ সারাজীবন সাধনা করেও নোবেল পায় না। এদিকে কিছু মানুষ নোবেল পেয়ে বসে থাকে অথচ জানেই না। কেউ নোবেল কমিটির ফোন কেটে দেয় তো কেউ সবকিছু অফ করে পাহাড়ে যেয়ে বসে থাকে। ২০২৫-এর নোবেলের আসরের এমনই মজার কিছু ঘটনা নিয়ে এসেছি আমরা।

নেটওয়ার্কের বাইরে, যাকে ফোনে পায় না নোবেল কমিটিও!

ফোন এয়ারপ্লেন মোডে রেখে মনের সুখে যুক্তরাষ্ট্রের মনটানায় হাইকিং করছিলেন ফ্রেড র‍্যামসডেল। হঠাৎ শোনেন তার স্ত্রী লরা একটু দূর থেকে জোরে জোরে চিল্লাচ্ছেন। ফ্রেড ভাবলেন লরা বড় কোনো ভাল্লুক দেখেছে বোধহয়। তাই তাড়াতাড়ি সতর্ক হয়ে নিরাপদ জায়গায় দাঁড়ান। এরপর ভালো করে খেয়াল করে শোনেন লরা বলছেন তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল জিতেছেন। যেহেতু তার ফোন ছিল এয়ারপ্লেন মোডে তাই নোবেল কমিটি ফোন দিয়ে তাকে পায়নি। তারা যখন হাইকিং-এর মাঝে রেস্ট নিচ্ছিলেন সেসময় লরা ফোন চেক করে দেখেন প্রায় ২০০টি অভিনন্দনের এসএমএস এসে বসে আছে। আর তার মাধ্যমেই ফ্রেড র‍্যামসডেল নিজের নোবেল পাওয়ার কথাটি জেনেছেন।

নোবেল পরে, ঘুম আগে

রাতে ফোন বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন জন মার্টিনিস। তার স্ত্রী বই পড়ছিলেন তার পাশেই। হঠাৎ করেই একের পর এক ফোন আসতে শুরু করে তার স্ত্রীর ফোনে। ফোনে কথা বলে জানতে পারলেন জন মার্টিনিস চিকিৎসা বিজ্ঞানে পেয়েছেন নোবেল। তবে জন মার্টিনিসকে তখনই ঘুম থেকে ডাকলেন না তার স্ত্রী। মার্টিনিস আরাম করে ঘুমালেন। ভোরে ওঠার পর তার স্ত্রী তাকে নোবেল পাওয়ার ব্যাপারটি জানালেন। জন মার্টিনিস, অ্যাডাম স্মিথকে দেওয়া একটা সাক্ষাৎকারে বলেন, আমার স্ত্রী খুব দয়ালু। তিনি আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার খবর দেননি। আমাকে ঘুমাতে দিয়েছেন। কারণ তিনি জানেন, ওই মুহূর্তে আমার ঘুমটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। 

নোবেল না স্প্যাম!

ম্যারি ই ব্রাঙ্কোর কাছে নোবেল কমিটি যখন ফোন দেয় তখন তার ওখানে বাজে রাত সাড়ে তিনটা। তিনি দেখেন সুইডেন থেকে কল এসেছে। এত রাতে সুইডেন থেকে কল আসার কথাই না! তাই স্প্যাম কল ভেবে কেটে দিয়ে ঘুমিয়ে গেলেন। পরে তার স্বামীর মুখে শুনে জানলেন এ বছর চিকিৎসাবিজ্ঞানে তিনিও নোবেল পেয়েছেন। 

নোবেল নিলাম আপনার হয়ে, গুরু!

এ বছর বহু চেষ্টা করেও শান্তিতে নোবেলটা হাতছাড়া হয়ে গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। কিন্তু তার দুঃখ কিছুটা কমেছে যখন শান্তিতে নোবেল পাওয়া মারিয়া কোরিনা মাচাদো পুরস্কার নিয়েই ট্রাম্পকে কল দেন। এমনকি, এই নোবেল প্রাইজ ট্রাম্পকে উৎসর্গও করেন মাচাদো। এতে ট্রাম্প বেশ খুশি হন। তিনি গণমাধ্যমকে এটাও জানান যে, মাচাদোকে বললেই আমাকে পুরস্কারটা দিয়ে দিত, তবে আমি বলিনি।

নোবেল প্রাইজ কবে দেয় তা-ই মনে নাই!

এ বছরে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া আরেক বিজ্ঞানী মিশেল দ্যভোরে। তিনি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার মোবাইল ও কম্পিউটারে নোটিফিকেশনে উপচে পড়ছে। তিনি ভাবলেন কেউ কোনো ভুয়া খবর ছড়িয়েছে। তাই এতে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের কাজ করতে থাকলেন। কিন্তু মেসেজ, নোটিফিকেশন থামার কোনো নামই নেই। পরে কল দিলেন তার মেয়েকে। মেয়ের কাছে শুনে নিশ্চিত হলেন যে আসলেই নোবেল পেয়েছেন তিনি। অ্যাডাম স্মিথকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, গবেষণার ফল বাস্তবে প্রয়োগ হতে দেখার চেয়ে আনন্দের আর কিছু নেই। পুরস্কার ঘোষণার দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, বিশ্বজুড়ে খবরটি ছড়িয়ে পড়েছে। আসলে অক্টোবর মাস যে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা হয়, তা আমার মনেই ছিল না!

চিন্তা করেন অবস্থা! এদিকে ট্রাম্প চাচা শান্তিতে নোবেল পেতে থামিয়ে দিচ্ছে যুদ্ধ, বকা দিচ্ছে একে তাকে তবুও নোবেল কমিটির ফোনটা তার কাছে আসলো না। যদিও মাচাদোকে তাকে সান্ত্বনা দিয়েছে। তাতে কী? বেচারা যে কতটা রাত এই নোবেল কমিটির ফোনের আশায় নির্ঘুম কাটিয়েছে! ট্রাম্প নিশ্চয়ই বলছে, ‘যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাই না’। 

১২ পঠিত ... ৩ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top