১. স্ত্রীর চিৎকারের কারণ সবসময় আপনি যা অনুমান করবেন তা তো হবে না।
১২ মাসের মধ্যের এই অক্টোবর মাসেও বাঙালি ঘরানায় স্ত্রীর চিৎকার সাধারণত বুকে কাঁপন ধরায় , কখনও চিৎকারের প্রতিউত্তরে পাল্টা চিৎকারও আশ্চর্যজনক নয়। তবে গবেষকদের চিন্তার ধরণটা একটু বোধহয় আলাদা। স্ত্রীর আনন্দের চিৎকারের শানে নুযুল যে গ্রিজলি ভাল্লুক হতে পারে এমন আশঙ্কা বোধহয় র্যামসডেলরাই করতে পারেন। রকি বিচে গোয়েন্দা কিশোরের মতো না হলেও রকি পর্বতমালার বুকে ক্যাম্পিং ও হাইকিং করে ছুটি কাটাচ্ছিলেন স্ত্রী লরা ওনিলের সাথে বিজ্ঞানী র্যামসডেল। তারা যেখানে ক্যাম্পিং করেছিলেন, সেখানে নেটওয়ার্ক তত একটা ভালো ছিল না। লরার ফোনে যখন নেটওয়ার্ক আসে তখন আনন্দের একের পর এক বার্তায় খুশিতে তিনি চিৎকার করে ওঠেন। বেচারা বলা একটু ন্যাকা শোনালেও সত্যিই বেচারা র্যামসডেলের ফোন ছিল ফ্লাইট মোডে। লরা চিৎকার করে র্যামসডেলকে বললেন, তুমি তো নোবেল পুরস্কার জিতে গেছ! ইমিউন সিস্টেম গবেষণার জন্য নোবেল পেলেও হুট করে চমকে না ওঠার ইমিউনটি তার বাধাগ্রস্ত হয়েছিল নিশ্চয়ই।
২. রাত সাড়ে তিনটায় জ্বীনের বাদশাহ ছাড়াও আর যার কল পেতে পারেন
চিকিৎসায় নোবেল বিজয়ী মেরি ব্রুনফো রাত সাড়ে তিনটায় স্প্যাম কল ভেবে নোবেল কমিটির ফোন কেটে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। আমাদের দেশ হলে অবশ্য আমরা ফোন কেটেই ক্ষান্ত হতাম না, ওপাশের মানুষকে দুটো কথাও শুনিয়ে দিতাম। এতবড় সাহস, অসময়ে ফোন দিয়ে আবার বলে কিনা, নোবেল দিতে চাই!
৩. আমার স্ত্রী অনেক দয়ালু!
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল জয়ী জন মার্টিনিজের
ঘটনাটা ওনার ভাষাতেই বরং বলা যাক, 'আমি আগেই ফোন বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ি। আর আমার স্ত্রী পাশের ঘরে রাত প্রায় তিনটা পর্যন্ত বই পড়ছিলেন। সাধারণত এমনই হয়। হঠাৎ তিনি একের পর এক ফোন কল পেতে শুরু করলেন। তিনিই সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানতে পারলেন, কিছু একটা ঘটছে। আমার স্ত্রী খুব দয়ালু। তিনি আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার খবর দেননি। আমাকে ঘুমাতে দিয়েছেন। কারণ তিনি জানেন, ওই মুহূর্তে আমার ঘুমটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। আমি সকাল সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠি। তখন তিনি আমাকে নোবেল পুরস্কারের বিষয়টি জানান।'
এমন দয়ালু স্ত্রী ক'জনের ভাগ্যে জোটে!
৪. না না, আমাদের জিভে কোন গিট্টু লাগেনি।
সাহিত্যে নোবেল ঘোষণার পর সবচেয়ে কষ্ট বোধহয় সাংবাদিকরাই করেছে, হাঙ্গেরির এই সাহিত্যিকের নাম লিখেছে, লাজলো ক্রাসনাহোরকাই। উল্লেখ্য ওনার লেখার অন্যতম বিশেষত্বও 'সুদীর্ঘ বাক্য'!
৫. একটু সহানুভূতি কি ট্রাম্প পেতে পারে না!!!
এবারের আলোচনার শীর্ষে ছিল ভেনিজুয়েলার বিরোধী দলীয় নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো'র শান্তিতে নোবেল পাওয়ার চেয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তিতে নোবেল না পাওয়া।
সব আলোচনাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে মাচাদো তাকে ফোন দিয়ে ট্রাম্পের সৌজন্যেই পুরস্কার নিচ্ছেন জানিয়েছেন দাবি করে দেওয়া ট্রাম্পের সেই অমোঘ বাণী সমগ্র, ‘এটা খুবই আন্তরিক একটি কাজ। আমি তাকে বলিনি, তাহলে আমাকে দিয়ে দাও। যদিও আমার মনে হয়, তিনি দিতেন। তিনি খুবই আন্তরিক ছিলেন।
পাঠকের মন্তব্য