মাঠে, ময়দানে, টক শোতে, কর্মীসভা কিংবা ওয়াজ মাহফিলে—জামায়াত ও শিবির নেতারা নিয়ে বসেছে মিথ্যার ফুলঝুরি। মুখ খুললেই বেড়িয়ে আসছে মনমুগ্ধকর মিথ্যা। ধর্ম থেকে শুরু করে ইতিহাস, বিজ্ঞান, নৈতিক শিক্ষা সব জায়গায় রেখে যাচ্ছেন এক মিথ্যার Aura. আমির হামজা জাবিতে চান্স পাওয়ার মিথ্যা নিয়ে হাজির হচ্ছেন তো তারেক মনোয়ার সাপ্লাই দিচ্ছেন অক্সফোর্ডে মাস্টারি আর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার ইতিহাস। আমিরে শফিক সাহেব এপিজে আবুল কালামকে এসএসসি ফেল বানিয়ে দিচ্ছেন তো, আমিরে শিবির জাহিদুল বলছেন, গবেষণা করে সেন্টমার্টিনগামী শিপ আবিষ্কার করলেন মীর কাশেম।
এই মিথ্যার সমুদ্রে কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, সবাই মিথ্যা বললে গুনাহ হবে! তা কাকা, জামাত আর শিবির মিথ্যা বললে কি গুনাহ হবে না?
সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় ফেসবুকের এক কমেন্টবক্সে! সেখানে এক আলবটর সৈনিক জানান, হেকমতের জন্য মিথ্যা বলা জায়েজ আছে! আর জামাত-শিবির চেইন অফ কমান্ড মেনেই মিথ্যা বলে! তারা স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে। এরপর সুরা কমিটির বৈঠকে মিথ্যা বলার গুনাহ পর্যালোচনা করা হয়। যেসব মিথ্যায় কম গুনাহ, হেকমত বেশি; সেসব মিথ্যা বলার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছানোর মাধ্যমে মিথ্যাগুলো বাজারে আসে! জামাত-শিবিরই একমাত্র দল যারা আল্লাহর শাসন কায়েমের মিথ্যা বলে নিজেদের কাঁধে গুনাহ নিয়ে নিচ্ছেন!
অন্য এক কমেন্টবক্সে অল্টারনেট রিয়ারিটি বিষয়ক সম্পাদক আরেক আলবটর বলেন, জামায়াত-শিবির নেতারা কখনও মিথ্যা বলে না! সবকিছুর অল্টারনেট রিয়ালিটি আছে! তারেক মনোয়ার যখন বলে সে অক্সফোর্ডে মাস্টারি করেছে, এটা সে অন্য রিয়ালিটির কথা বলে। অন্য এক টাইমলাইনের কথা বলে! যারা নেটফ্লিক্সের ডার্ক সিরিজটি দেখেছেন তারা বুঝবেন! সেই রিয়ালিটিতে তারেক মনোয়ার আসলেই অক্সফোর্ডে মাস্টারি করেছেন। অ্যানফিল্ডে গোল করেছেন, ওল্ড ট্রাফোর্ডে হ্যাট্রিক করেছেন। ব্যাপারটা বোঝার জন্য আপনাকে নিউক্লিয়ার সাইন্স বুঝতে হবে! বুঝতে হবে, বিজ্ঞানের কোন শাখার মাধ্যমে একই সাথে একজন মানুষ তিনটি ভিন্ন ভিন্ন রিয়ালিটিতে অবস্থান করতে পারে। ইন্টারস্টেলারের সিনেমাটা দেখা থাকলে আপনারা এটা আরও ভালো বুঝবেন। সো, এইসব মিথ্যা না! যা মিথ্যা না তা বললে গুনাহ হয় না।
পাঠকের মন্তব্য