গত পরশু রাতে ঘুমের ঘোরে পিনাকী বাংলাদেশে ক্যু হওয়ার সংবাদ পান। পেয়েই তার দেশপ্রেমিক সত্ত্বা জেগে ওঠে এবং সাথে সাথে তিনি তার ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন। গভীর রাতে এই লাইভে তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করেন এবং রাস্তায় নেমে আসতে আহবান জানান। সম্মিলিত চেষ্টায় এই ক্যু ঠেকানোর জন্য তিনি বার বার অনুরোধ করতে থাকেন।
এদিকে তার বন্ধু জুলকারনাইন সায়ের মুভি দেখছিলেন সে সময়। বন্ধু লাইভে আসতেই তিনি দেখেন দীর্ঘদিনের ইনসমনিয়া ও ঘুমের আগে এটা সেটা খেয়ে প্রলাপ বকার অভ্যাসে পিনাকী দেশবাসীকে ডেকে যাচ্ছে। বন্ধুর এসব কাজ দেখে তিনি ভয়াবহ বিরক্ত হন। এসব দেখার জন্য দারুণ এক মুভি ছেড়ে এসছেন ভাবতেই মেজাজ আরও খারাপ হয়। তিনিও পালটা লাইভে এসে বন্ধুকে বন্ধুসুলভ বিশেষণ দিয়ে বলেন ‘ঘুমা শালারপুত’।
লাইভ, পালটা লাইভের কারণে দুই বন্ধুর মাঝে যে সম্পর্কের ফাটল ধরেছে তা জানতে পেরে সাথে সাথেই ঝামেলার সমাধান করতে বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প। আমাদেরকে রাতেই এক ফোনালাপে তিনি জানান, বর্তমানে পুরো পৃথিবীতে শান্তি আনার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি আমি। আমি বেঁচে থাকতে সায়ের ও পিনাকীর বন্ধুত্ব এভাবে ভেঙে যাবে তা হতেই পারে না। আমি ওদেরকে অফিসিয়ালি দাওয়াত পাঠিয়েছি বাংলাদেশে আসার জন্য। ওদেরকে বুঝিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব আমার।
এদিকে এই ঘটনায় ট্রাম্পের এমন উদ্যোগে নোবেল কমিটি হতবাক। তাদেরকে আমাদের প্রতিনিধি ফোন দিলে তারা জানান, ট্রাম্প শান্তি ফিরিয়ে আনতে এত কষ্ট করছে আমরা তা বুঝতেই পারিনি। এখন মনে হচ্ছে আমরা ভুল মানুষকে নোবেল দিয়েছি। মাচাদোর হাত থেকে নোবেল কেড়ে নিয়ে ট্রাম্পকে দেওয়ার সময় এসেছে।
তবে ইলিয়াস ট্রাম্পকে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়েছেন। পিনাকী সাবধান করে দিয়ে তিনি বলেছেন, দাদা, আপনি এই ট্রাম্পের ডাকে বাংলাদেশে যাবেন না। যদি যান তাহলে আপনার জন্য আমার দুয়ার সবসময় বন্ধ!