যে মুভিগুলো দেখে ফেললে আপনার বুয়েটে চান্স পাওয়া কেউ ঠেকাইতে পারবে না  

পঠিত ... ২ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে

বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দিবেন, কিন্তু এত পড়ার এনার্জি নাই? এলাকায় কুল বড় ভাইয়ের কাছে সাজেশন নিতে গেলেন। উনি বললেন, কোচিং বাদ, সাইন্স ফিকশন মুভি ধর। আগে বই পড়, এরপর কয়েকটা মুভি দ্যাখ। এরপর এসে আমাকে এক্সপ্লেইন করবি। যদি বুঝে যাস এক চান্সে, তোর এক চান্সে বুয়েটে চান্স নিশ্চিত।

পরে দেখা গেল, আসলেই ওই ছেলে বুয়েটে ভর্তি হয়ে গেল বড় ভাইয়ের বলা ওইসব মুভি দেখেই।

আপনারা যারা বুয়েটের ক্যান্ডিডেট, পড়ালেখা করে কূলকিনারা করতে পারছেন না, তারা নির্দ্বিধায় দেখে ফেলতে পারেন এই মুভিগুলো। দিনশেষে এই পাঁচটা মুভি দেখা শেষ করলে আপনি দুইভাবে পাশ করবেন: হয় বুয়েটে চান্স পাবেন, না হয় নোলানের সিনেমায় কাস্টিং পাবেন! (কারণ আপনার মস্তিষ্ক ততদিনে একটা থিসিস পেপার!)

ডার্ক (Dark)টাইম ট্র্যাভেল করে সিলেবাস শেষ!

প্রথম দুই এপিসোড দেখার পরই বুঝবেন, আপনি সময়, স্থান, দাদু, নাতি, আর নিজের আইডেন্টিটি সব হারাইছেন। হঠাৎ মনে হবে, পরীক্ষার তারিখ বদলে আপনি ভুল করে ২০৫০ সালের প্রশ্ন মুখস্থ করে ফেলেছেন!

ফিজিক্সের টাইম ট্র্যাভেল চ্যাপ্টার এমনভাবে বুঝবেন, যে রীতিমতো হাইজেনবার্গ এসে বলবে, এইটা কে পড়াইল?

আসল মজাটা হলো: আপনি এই সিরিজ থেকে টাইম ট্রাভেল শিখে কয়েক মাস আগে গিয়ে বুয়েটের কোচিং-এর পড়া আগে থেকে শুরু করে দিতে পারেন। যদিও ফিজিক্সের সূত্র মতে, আপনি অতীতে গিয়ে নিজের প্রস্তুতিতে সাহায্য করলে একটা টাইম প্যারাডক্স তৈরি হবে, কিন্তু বুয়েটে চান্স পাওয়ার কাছে আইনস্টাইন বা নিউটন—কেউই টিকবে না!

শেষ পর্যন্ত টিকে গেলে আপনি কেবল বুয়েটে না, কোয়ান্টাম রিয়েলমেও ভর্তি হবেন। আর হ্যাঁ, সিরিজের একটা ডায়লগ মাথায় গেঁথে যাবে: What we know is a drop, what we don't know is an ocean.—ঠিক বুয়েটের সিলেবাসের মতো!

Review] DARK - Netflix - Arif Nezami

মুভি পোস্টার-ইন্টারস্টেলার

টেনেট (Tenet)সময় উল্টো গেলেও GPA বাড়বে!

এইটা দেখার পর মনে হবে আপনি একসাথে সামনে-পিছনে, ডানে-বামে, উপরে-নিচে সবদিকে হেঁটেছেন। তখন নোটবুকে লিখবেন: ‘সময় উল্টো গেলেও GPA বাড়বে।’ কারণ আপনি জানেন, যদি চান্স না পান, আপনি ইনভার্শন ব্যবহার করে আবার আগের সময়ে ফিরে গিয়ে এক্সাম দিতে পারবেন।

এক পর্যায়ে মনে হবে, Physics পড়া লাগবে না। আপনি নিজেই একটা Physics problem। যখন টিচার জিজ্ঞাসা করবেন, ‘তুমি এত তাড়াতাড়ি একটা প্রবলেম কীভাবে সলভ করলে?’ আপনি উত্তর দেবেন, ‘স্যার, আমি আসলে উল্টোভাবে শুরু করে ফরওয়ার্ড মুভ করেছি, এটা Tenet-এর ইনভার্টেড মেথড।’

এইটা দেখলে আপনি বুয়েটের ভর্তি প্রশ্ন উল্টা করে পড়লেও বুঝবেন। বুয়েটে চান্স আর আটকায় কে!

মুভি পোস্টার-টেনেট

মেমেন্টো (Memento)ট্যাটু করে ফেলছি স্যার!

এই মুভি দেখার পর আপনি ভুলে যাবেন: কেন পড়ছেন, কে আপনি, আর কবে পরীক্ষা? আপনার অবস্থা হবে স্যামুয়েল জেঙ্কিন্সের মতো; বারবার মনে হবে কে যেন আপনাকে BUET-এ ভর্তি পরীক্ষার কথা বলেছিল?

কিন্তু কাহিনি মনে রাখার চেষ্টা করতে গিয়েই মস্তিষ্কে এমন নিউরাল কানেকশন তৈরি হবে যে, মেমোরাইজেশন ৯৯.৯%। শর্ট-টার্ম মেমরি লস থেকে বাঁচতে আপনি গুরুত্বপূর্ণ সব ফর্মুলা, কনস্ট্যান্ট এবং ডেটা আপনার নোটবুকে টুকে রাখবেন, ঠিক লিওনার্ড শেলবি-র মতো।

শিক্ষক বলবে, ‘এইটা কীভাবে মনে রাখলা?’ আপনি বলবেন, ‘ট্যাটু করে ফেলছি স্যার।’

সাবধান! পরীক্ষার সব প্রশ্নোত্তর শরীরে ট্যাটু করে ফেইলেন না। শুধু পরীক্ষার আগে মেইক শিওর কইরেন, ওইদিন বুয়েটের পরীক্ষাই দিতে যাচ্ছেন, অন্য কিছু না!

মুভি পোস্টার-মেমেন্টো

ইনসেপশন (Inception)তৃতীয় লেভেল ড্রিমেও পড়ালেখা!

স্বপ্নের ভিতরে ভিতরে আবার রিভিশন! পড়তে পড়তে টায়ার্ড হয়ে গেলে ঘুম চলে আসলেও সমস্যা নাই। কারণ আপনি এই মুভি বুঝে বের করে ফেলছেন কিভাবে স্বপ্নের ভেতরেও পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হয়।

কেউ বলবে, ‘তুমি ঘুমাচ্ছ?’ আপনি বলবেন, ‘না, আমি পড়তেছি তৃতীয় লেভেল ড্রিমে। এখন আমি Deep Study Mode-এ আছি, যেখানে এক মিনিটের পড়া বাস্তব জীবনে এক ঘণ্টার সমান। আমার কিক দরকার, নইলে আমি এই ডাইমেনশন থেকে বের হতে পারব না!’

ক্যালকুলাস-এর ডেরিভেটিভ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লেও মনে থাকবে সব, কারণ আপনি Deep study mode-এ থাকবেন।

শেষে শুধু একটা প্রশ্ন থাকবে: ‘বাস্তবিকই আমি চান্স পাইছি, নাকি এটা আরেকটা স্বপ্ন?’ (তখন পকেট থেকে একটা টটেম বের করে দেখতে ভুলবেন না!)

এই মুভিগুলো দেখা শেষ হলে আপনার মস্তিষ্ক এমনভাবে ট্রেন্ড হবে যে, বুয়েটের প্রশ্নপত্র আপনার কাছে একটা শিশুতোষ ধাঁধার মতো মনে হবে। শুভকামনা! এবার বলেন, প্রথম কোন মুভিটা দিয়ে শুরু করছেন?

Inception (2010) summary & plot - Spoiler Town

মুভি পোস্টার-ইনসেপশন

 

পঠিত ... ২ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে

Top