ভোজনরসিক বাঙালীর মুখে কেকের স্বাদ তুলে দেওয়ার জন্য আগারগাঁও কেন্দ্রিক এক নতুন খাদ্য মেলার সূচনা হয়েছে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেই দেখা মিলতে শুরু করে শত শত মানুষের। কেউ আসেন খাবার খেতে, কেউ আসেন খাবার খাওয়াতে। শুরুর দিকে কেক, পরে পিঠা, পুডিং ইত্যাদির জন্য আলোচনায় থাকলেও আজ থেকে আগারগাঁওয়ে পাওয়া যাচ্ছে কলিজা সিঙাড়া। যেন তেন কলিজা সিঙাড়া না, সারজিস আলমের হাতে বানানো কলিজা সিঙাড়া।
সারজিস পঞ্চগড় সফরে গিয়ে কলিজা সিঙাড়া বিক্রির আইডিয়া পান বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ সঙ্গীরা। রাজনৈতিক সফরে কারেন্ট চলে গেলে কিচ্ছু করার থাকে না। এমন মুহূর্তে মাইক চলে না, গরম লাগে, মানুষের ভিড় অসহ্য লাগে, এমন সময়ে মনে হয় কারেন্টের লোকদের পেছনে কারেন্ট বেশি হয়ে গেছে বলে এমন সিচুয়েশন তৈরি করে। কারেন্টের লোকদের কলিজা আসলে কত বড় হলে এমন হইতে পারে ভাবতে ভাবতে সারজিস ইউরেকা ইউরেকা করে চিল্লাতে দেখতে পান অনেকে।
মানূষের মন জয় করার অনেক উপায় থাকলেও মানুষের মনের ঢোকার জন্য প্রথম এবং একমাত্র উপাদান যে খাবার-দাবার সেটা সবাই জানে। ভোটের রাজনীতিতে অনেক চিল্লা-ফাল্লা করেও অনেক সময় মানুষের মন যখন পাওয়া যায় না তখন কিছু মিছু খাওয়ালে একটা ভালো প্রভাব পরে। এজন্য অনেক সময় দেখা যায় ভোটের আগে খাওয়া-দাওয়ার ধুম পড়ে যায়। বিরিয়ানি, খিচুড়ি থেকে শুরু করে চা-সিগারেট যে যা পান তা খেয়ে নেন প্রার্থীদের কাছ থেকে। সারজিস এই আইডিয়া থেকেই কলিজা সিঙাড়া খাওয়াতে চান বলে শোনা যাচ্ছে।
কলিজা সিঙাড়া বিক্রির জন্য এর মাঝে বেশ কয়েকটা প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা হয়েছে। বাসায় বানানো বলা হলেও কলিজাগুলো আনা হবে ইম্পোর্ট করে, পুরোটা বানানোর জন্য মিশিলিন শেফ থাকবেন আর লবণ মরিচ চেখে ফাইনালাইজ করার দায়িত্ব সারজিসের। সব কিছু ঠিক থাকলে আজ সন্ধ্যায় আগারগাঁও গেলেই পাওয়া যাবে বিশেষ রেসিপির এই কলিজা সিঙাড়া।
সারজিসের কলিজা সিঙাড়া খাবার জন্য অনেকেই আজ সকাল থেকে খাবার খাচ্ছেন না বলে জানতে পেরেছে eআরকি টিম। সারজিসের কলিজা সিঙাড়া খেয়ে দিনের প্রথম আহার করার জন্য যে যার মত প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিঙাড়া খেতে খেতে কে কোন মুদ্রায় নাচবেন সেটার রিহার্সেলও করে নিচ্ছেন অনেকে। বোঝাই যাচ্ছে আজ অনেকের জন্য বিশেষ দিন। এই বিশেষ দিনে যারা আগারগাঁও যেতে পারবেন না তারা ফুডপান্ডায় অর্ডার করতে পারেন।