নারীদের লেখা ব‌ইগুলো বড়জোর চেয়ার-টেবিলের পায়া, চা রাখার পাত্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, কোনোভাবেই পাঠ্য হিসেবে নয়

১০ পঠিত ... ৭ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে

আফগানিস্তানের তালেবান কর্তৃক আগস্টে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পাঠ্যক্রম থেকে নারীদের লেখা প্রায় ১৪০টি ব‌ই বাতিল করে।  সেখানে নারী ও জেন্ডার বিষয়ক ছয়টি বিষয় : জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট , নারীর রাজনৈতিক সমাজতত্ত্ব, যৌন হয়রানি , বৈচিত্র্য ও জেন্ডার-সমতাভিত্তিক কর্মসংস্থান, জেন্ডার কমিউনিকেশন,‌ সার্বজনীন যোগাযোগে নারীর ভূমিকা সরাসরি বাতিল করা হয়। একটা কন্যাশিশু জন্ম নেওয়ার পর সে বড় হতে হতে নারী হয়ে উঠছে , সরকার কী সেখানে কখনো বাগড়া দিয়েছে? তাহলে জেন্ডার ডেভেলপমেন্ট কেন তাদের পড়তে হবে!

নারীরা সারাদিন ঘরকন্নার কাজ করে আবার কষ্ট করে ব‌ই লিখতে যাবে কেন? ব‌ই যদিওবা লিখেও ফেলে সেটা পড়তেই বা হবে কেন! অনেকের লেখার শখ থাকতে পারে। তালেবান সরকার তাদের হাত তো বেঁধে দিচ্ছে না। কার‌ও লিখতে ইচ্ছে করলে লিখতেই পারে। কিন্তু সেটা পড়তে হবে এটা কেমন কথা!  আফগান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারীদের লেখা শুধু ব‌ই না, ছাত্রীদের লেখা খাতাগুলো দেখাও নিষিদ্ধ করা উচিত! নারীরা যেহেতু অনেক কষ্ট করে ব‌ইগুলো লিখেছেই তাই একদম ফেলে না দিয়ে বিকল্প ব্যবহার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চায়ের কাপে পিরিচের বদলে ব্যবহার করলে অর্থ সাশ্রয় প্রভাব ফেলবে জিডিপিতে। টেবিল-চেয়ারের নিচে পায়া হিসেবেও দারুণ কাজে দেবে ব‌ইগুলো।

এক গোপন জরিপ বলছে নারীদের জন্য দেশটির অবস্থান সিসমিক জোনে পড়েছে। 

দেশটিতে ভূমিকম্প, ভুমিধ্বসের পিছনে নারীদের হাত রয়েছে। তাছাড়া চরম জলবায়ু, সম্পদের সীমাবদ্ধতা ও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রেক্ষাপট‌ও নারী‌ই হতে পারে। সেখানে তাদের লেখা ব‌ই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েরা পড়লে তো দেশের ধ্বংস অনিবার্য।

এক অপ্রকাশ্য সূত্র এও জানিয়েছে এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের ছিটকে পড়ার পিছনেও নারীদের হাত রয়েছে। তাই সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ।

১০ পঠিত ... ৭ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে

আরও

পাঠকের মন্তব্য

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি


Top