কথায় কথায় আমরা যে 'বাঙালি সংস্কৃতি'র কথা শুনি, সেটা আসলে কেমন ছিল?

২০৪৪ পঠিত ... ১৯:০৪, এপ্রিল ১৩, ২০১৯

কোনো জনগোষ্ঠীর খাদ্যাভ্যাস, শিল্পসাহিত্য, পোশাক-আশাক এককথায় জীবনযাপনের সমস্ত অনুসঙ্গ  নিয়েই তার সংস্কৃতি। অনুসঙ্গগুলো সময়ের সাথে সাথে বদলায় বলেই সংস্কৃতিও বদলায়।

দেশে অবশ্য ‘আবহমান বাঙালি সংস্কৃতি’ নামে যেভাবে প্রচারণা চালানো হয় তাতে কারও মনে হতে পারে ‘বাঙালির সংস্কৃতি’ স্থির কোনো কিছু, প্রত্নতাত্ত্বিক কিছু, যাকে সংরক্ষণ করতে হবে। কিংবা নতুন কোন ধারণাকে সংস্কৃতিতে এসে মিশতে দেওয়া যাবে না। সংস্কৃতি বা ঐতিহ্য কি এতটাই খটমটে বা নাক উঁচু যে নতুন কিছুই যোগ হতে পারবে না বাঙালির ঐতিহ্যে? একটা ভাষা যেমন প্রতিনিয়ত বদলাতে থাকে, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যও বদলে যেতে থাকে। গত কয়েক হাজার বছর ধরে পরিবর্তনের মাঝ দিয়ে গিয়ে বর্তমান বাঙালি ঐতিহ্যের যে রূপটি আমরা দেখি সেটি কিভাবে এলো, সেসবের কিছু দিক থাকছে eআরকির পাঠকদের জন্য।

 

 # প্রাচীন বাংলায় পোশাক 

লুঙ্গি বা প্যান্ট নয়, বাঙালি পরতো ‘দুকুল’   

আর্যদের সময় সমগ্র ভারতবর্ষের বাকল থেকে তৈরিকৃত কাপড় ব্যবহারের প্রচলন ছিল। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র থেকে জানা যায়, বঙ্গদেশে এক সময় কাপড় তৈরি হতো গাছের বাকল থেকে। সেকালের আর্য-অনার্য বা মিশ্র জনগোষ্ঠীর মানুষেরা গাছের বাকলকে পিটিয়ে কাপড়ের মতো পাতলা করে, তারপর তা শুকিয়ে পরিধান করতো।  

সাঁচির বৌদ্ধস্তূপের স্তম্ভে মানুষের অবয়বগুলোতে যে কাপড়ের আবরণ দেখা যায়, তা বাকল থেকে তৈরি হওয়া বস্ত্রই মনে হয়। বাকল থেকে তৈরি কাপড়কে বলা হতো ক্ষৌম। এর ভিতরে সেরা জাতের ক্ষৌম-কে বলা হতো 'দুকুল'। বঙ্গ নামক জনপদের দুকুলের রঙ ছিল স্নিগ্ধ সাদা। পুণ্ড্র নামক জনপদের দুকুলের রঙ ছিল শ্যামবর্ণের আর বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় অবস্থিত জনপদ কর্ণসুবর্ণের  দুকুল ছিল উজ্জ্বল। বঙ্গদেশ পুরুষেররা সে সময়ে দুকুল পরতো নিম্নাঙ্গে।

বাংলার নারীরা সম্ভবত এর সাথে পৃথক পাতলা দুকুল পরতো কাঁচুলির মতো করে। সরাসরি বাকল থেকে কাপড় তৈরির পরিবর্তে, প্রাচীণ বাংলায় এক সময় সুতিবস্ত্রের প্রচলন শুরু হয়েছিল। এক্ষেত্রে শণ, পাট, অতসি ইত্যাদি গাছের বাকল ব্যবহার করে সুতা তৈরি করা হতো।

 

মসলিন

বাংলার সবচেয়ে মূলবান কাপড় ছিল মসলিন। দীনেশচন্দ্র সেন-এর 'বৃহৎ বঙ্গ' নামক গ্রন্থ থেকে মসলিন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়। প্লিনির মতে, রোমের মেয়েরা নাকি জনসাধারণের সামনে নগ্ন দেহ দেখাতো মসলিন পরার ছুতোয়। কবি ইয়েটেস-এর বিবরণ থেকে জানা যায়, খ্রিষ্টের জন্মের ২০০ বছর আগে গ্রিসে ভারতের মসলিনের কাপড় পরার চল ছিল। বোল্টস-এর বিবরণ থেকে জানা যায়, আওরঙ্গজেবের কন্যা জেবুন্নসেনাকে প্রায় নগ্ন দেখে আওরঙ্গজেব তাঁকে ভর্ৎসনা করেছিলেন। উত্তরে জেবুন্নেসা বলেছিলেন, তিনি সাতবার মসলিন কাপড়টি ঘুরিয়ে পরেছেন। মসলিন তৈরি হতো মূলত বৃহত্তর ঢাকার বিভিন্ন অংশে। আর রেশম তৈরি হতো উত্তরবঙ্গে। ‌উভয় কাপড়েরই তৈরি শুরু হয়েছিল ছিল খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০-৩০০ অব্দের দিকে।

তবে মসলিন কখনও আমজনতা নিজেরা পরতো না। মসলিন ছিলো অভিজাতদের পোশাক।

 

যেভাবে এলো মালকোচা

সেকালের মানুষ ধুতি পরতো কাছা দিয়ে। কাছা ছিল ঢিলেঢালা। কিন্তু কর্মজীবী পুরুষ তা পরতো 'মালকোচা' দিয়ে। মল্লবীরেরা প্রতিযোগিতার সময় পরনের কাপড় আঁটোসাঁটো করে কাছা দিত। এই থেকে 'মালকোচা শব্দটি এসেছে।

 

গামছার প্রাচীন নাম শাঙালি

গামছাকে প্রাচীনকালে বলা হতো শাঙালি। আর গা-মোছা শব্দ কালক্রমে গামছা শব্দে পরিণত হয়েছে। সন্ন্যাসীদের পোশাকের রঙ ছিল পীত। অন্যান্য সাধুরা পরতেন সাদা রঙের ধুতি। তবে সাধুসন্ন্যাসীদের সংখ্যা ছিলো তুলনামূলক কম। গরিব বা নিম্নবর্গের লোকেরা অর্থাৎ অধিকাংশ লোক ঘরে এবং ঘরের বাইরে গামছাই পরতো প্রাচীনকালে।

আপনি প্রাচীন বাঙালি ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাইলে গামছা পরে অফিসেও যাওয়ার কথাও বিবেচনা করতে পারেন।

 

পুরুষের আভিজাত্যের প্রতীক ছিলো পাগড়ি  

একসময় পাগড়ি ছিল অভিজাত বাঙালি পুরুষের পোশাক। খালি গায়ে এবং পাগড়ি ছাড়া ঘরের বাইরে বেরুনো অসভ্যতার মধ্যে পরতো।

সম্ভবত সেকালে বঙ্গদেশের অভিজাত পুরুষরা তিন টুকরো কাপড় ব্যবহার করতো। বিজয়গুপ্তের পদ্মপুরাণে পাওয়া যায়, সিংহলরাজ চাঁদ সওদাগরের কাছে পট্টবস্ত্র পেয়ে বাঙালিভাবে বস্ত্র পরছেন। পরার ধরন হলো 'একখানি কাচিয়া পিন্ধে, আর একখানি মাথায় বান্ধে, আর একখানি দিল সর্বগায়।' এর ভিতরে মাথায় বাঁধা কাপড়টি ছিল পাগড়ি। স্থানীয় লোকেরা এর নাম দিয়েছিল পাগ। গায়ের কাপড় ছিল চাদর আর পরনে ছিল ধুতি জাতীয় কৌপিন।

 

মেয়েদের শাড়িই একমাত্র পরিধেয় যা বাংলায় প্রাচীনকাল থেকে প্রচলিত

মেয়েদের পোশাক ছিল এক পরতের বিশাল থান কাপড়। হাতের বিচারে সাধারণ মাপ ছিল বারো হাত। এই দীর্ঘ কাপড়ই কালক্রমে শাড়িতে পরিণত হয়েছে। মেয়েরা নিম্নাঙ্গে পায়ের গোড়ালি ও হাঁটুর মধ্যবর্তী অঞ্চল পর্যন্ত ঝুলিয়ে কাপড় পেঁচিয়ে পরিধান করতো। এর বর্ধিত অংশ কোমর পেঁচিয়ে বক্ষকে আবরিত করে কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে পরতো। ঘোমটার রেওয়াজ ছিল না। তবে কাজের সময়, শাড়ির বর্ধিত অংশ, যা আঁচল হিসেবে থাকতো তা কোমরে শক্ত করে পেঁচিয়ে বাধতো। এই রীতি এখনো প্রচলিত আছে। অভিজাত মেয়েদের ভিতরে বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করতো, তা একালের ব্রেসিয়ারের মতো নয়। প্রাচীনকালের কাঁচুলি ছিল চওড়া, কারুকাজ করা নকশাযুক্ত। সেকালে কর্নাটি কাঁচুলি বিখ্যাত ছিল।

 

এককালে নারীপুরষ উভয়েই পরতো শাড়ি!   

শাড়ি শব্দটির উত্ৎ ‘শাট’ বা ‘শাটক’ শব্দজাত ‘শাটিকা’। শাটক শব্দের অর্থ সরু দৈর্ঘ্যের জোড়া দেয়া কাপড়। আচার্য সুকুমার সেনের মতে, বাংলায় তাঁতযন্ত্রের আবির্ভাবের আগে শটক বা জোড়া দেয়া কাপড় ব্যবহারের প্রচলন ছিল। এবং এই শটক নারী-পুরুষ নির্বিশেষ সবাই ব্যবহার করতেন।

মলয় রায় তার ‘বাঙালির বেশবাস’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘সুকুমার সেনের বক্তব্য অনুসরণ করে আমাদের এই সিদ্ধান্তে আসতে হয়, ধুতি ও শাড়ির মধ্যে কোনো গুরুতর লিঙ্গভেদ সে-কালে মানা হত না।’

ধুতি এবং শাড়ির সমার্থক হওয়ার বিষয়টি কবিকঙ্কণ মুকুন্দরামের কাব্যে পাওয়া যায়। তিনি তাঁর কাব্যে সুরঙ্গ পাটের শাড়ি, তসরের শাড়ি, মেঘডম্বুর শাড়ি, ক্ষীরোদক শাড়ি, খুঞার ধুতি, খুঞার শাড়ি ও বিয়ে উপলক্ষে ব্যবহার্য মন্ত্রপূত হরিদ্রাযুত ধুতির উল্লেখ ছাড়াও বলেছেন- ‘তন্তুবায়ভুনি ধুতি খাদি বুনে গড়া’। ‘গড়া’ সর্বদা ব্যবহার্য মোটা কাপড় ও ‘খাদি’ খদ্দরের কাপড়।  

 

মুসলমানদের আগমনের পরে বদলে গেলো বাঙালির পোশাক

১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি গৌড় বিজয়ের পর থেকে বঙ্গদেশে মুসলমানি পোশাক প্রবেশ করে। সনাতন হিন্দু ধর্মে সেলাই করা পোশাক পরা নিষিদ্ধ ছিল। ফলে পুরুষরা তিন টুকরো কাপড় ব্যবহার করতো। কালক্রমে পরনের কৌপিন লম্বা করে পরার রীতি চালু হয়। সেই সাথে কোচার ঝুলও বৃদ্ধি পায়। এই চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে তৈরি হয় ধুতি।

এই বিচারে বাঙালি পুরুষের আদি পোশাক হলো ধুতি। মুসলমানদের সূত্রে বঙ্গদেশে সেলাই করা পোশাকের প্রচলন ঘটে। গোড়ার দিকে আরবের লোকেরা ধুতি পরতো লম্বা করে কোচা ছাড়া। পরার ধরন ছিল সেলাইবিহীন লুঙ্গির মতো। পারস্যে এই জাতীয় পোশাকের নাম ছিল তাহবন্দ। বাংলাতে এই শব্দ হয়েছিল তহবন, তবন।

 

লুঙ্গি

এখন থেকে দুই আড়াই  হাজার বছর আগেও এই অঞ্চলের লোকেরা পড়তো দুকুল বা গাছের বাকল নির্মিত পোশাক। লুঙ্গির আবির্ভাব ঘটে আরও পরে।

বাংলার মুসলিম পুরুষদের একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ পোশাকের নাম লুঙ্গি। লুঙ্গির প্রতিশব্দ ‘তহমত’ বা ‘তহমান’, শব্দ দুটির মূল ফারসি থেকে আগত। ভারতে প্রাথমিককালে আসা আরব অধিবাসীরা কুর্তা, চোগা আর তহমত ব্যবহার করতেন। সে সময় লুঙ্গি ছিল সেলাইহীন। পরবর্তীকালে আব্বাসীয় দরবারের নীতি অনুসরণে ভারতীয় মুসলিমদের লুঙ্গিতে সেলাই পড়ে। আরো একটি অনুমান প্রচলিত আছে যে, মগ বা বর্মীদের অনুকরণে পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের মধ্যে লুঙ্গির প্রচলন হয়।

লুঙ্গি নামক পোশাকটা মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত কিন্তু নামটা এসেছে বর্মি শব্দ থেকে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাঙালি মুসলমানদের সূত্রে আগত এই শব্দটি তবন শব্দটিকে প্রায় অপসারিত করেছে।

 

নারী-পুরুষ উভয়েই চাদর পরতো এককালে!  


নারীদের ঊর্ধ্বাঙ্গের জন্য প্রাচীনকালে আলাদাভাবে সেভাবে কোনো পোশাকের ব্যবহার শুরু হয়নি। শাড়ি কোমর থেকে কাঁধে ঝুলত, যা হয়তো আজকের দিনের আঁচল। তবে সমাজের অভিজাত নারী্রা ঊর্ধ্বাঙ্গে উত্তরীয়, ওড়না, চোলি বা স্তনপট্ট ব্যবহার করতেন।

তবে নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে উত্তরীয় ব্যবহারের বিষয়টি মধ্যুগের সাহিত্যে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।    

 

 

# প্রাচীন বাঙালির খাদ্যাভ্যাস

প্রাচীন বাংলায় উচ্চশ্রেণির বিবাহ ভোজে যে খাবার পরিবেশন করা হতো, সে তার কিছু বিবরণ নৈষধচরিতে দৈময়ন্তীর বিবাহ ভোজের বর্ণনায় পাওয়া যায়। গরম ধুমায়িত ভাত ঘি দিয়ে খাওয়াটাই ছিলো বোধহয় বিশেষ রীতি।  

ভাত সাধারণত খাওয়া হতো শাক ও অন্যান্য ব্যাঞ্জন সহযোগে। দরিদ্র এবং গ্রাম্য লোকদের প্রধান উপাদান ছিলো বোধহয় শাক এবং অন্যান্য সবজি-তরকারী।

 

প্রাচীনকালে বাঙালির খাদ্যতালিকায় ছিলো না ডাল!

ডাল খাওয়ার কোনো উল্লেখ কোথাও পাওয়া যায় না। উৎপন্ন দ্রব্যের তালিকায় ডালের বা কলাই এর উল্লেখও  কোথাও নেই। নানা শাকের মধ্যে পাট শাকের উল্লেখ রয়েছে প্রাকৃত পৈঙ্গলে। বস্তুত উক্ত গ্রন্থে প্রাকৃত বাঙালির খাদ্য তালিকাটি উল্লেখযোগ্য।

 ওগগার কত্তা গাইক ঘিত্তা দুগ্ধ সজুক্তা

মোইলি মচ্ছা নালিত গচ্ছা দিজ্জই কান্তা খা(ই) পুনবন্তা।

অর্থাৎ ‘কলাপাতায় গরম ভাত, গাওয়া ঘি, মৌরালা মাছের ঝোল এবং নলিতা (পাট) শাক যে স্ত্রী নিত্য পরিবেশন করতে পারেন তাঁর স্বামী পুণ্যবান।‘

বাঙালির ঐতিহ্য ছিলো কলাপাতায় গরম ভাত, গাওয়া ঘি, মৌরাল মাছের ঝোল আর নলিতা (পাট) শাক।

 

মাংস অপ্রতুল হলেও খেতে পছন্দ করতো সবাই

কাচ্চিসহ নানা ধরণের বিরিয়ানি ও মাংসপদ তখন চালু না থাকলেও মাংস খেতে পছন্দ করত প্রাচীন বাংলার লোকেরা। সামাজিক ভোজে, বিশেষত বিবাহ ভোজে বরযাত্রীরা শাকসবজির তরকারী পছন্দ করতেন না। সে সমাজেও দই, সরিষাবাটা, হরিণের মাংস, ছাগলের মাংস প্রভৃতি ছিলো শিকারজীবী শবর পুলিন্দ প্রভৃতি লোকদের প্রিয় খাদ্য।

 

মধ্যযুগ থেকে খিচুড়ি ছিলো বাঙালির প্রিয় খাবার

বৃষ্টিবাদলের দিনে শহুরে লোকের খিচুড়ি খাওয়া সকলের পরিচিত। কিন্তু মধ্যযুগ থেকেই বাংলার মানুষ সুযোগ পেলেই নিয়মিত খিচুড়ি খেত।

এমনকি উচ্চশ্রেণির লোকদেরও খিচুড়ির প্রতি বিশেষ আকর্ষণ ছিলো। বার্ণিয়ার-এর মতে, খিচুড়ি সম্রাট শাহাজাহানের খুবই প্রিয় ছিলো। ইউসুফ আলীর বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, নবাব আলীবর্দী খান ও তার আমির ওমরাহ প্রায়ই তৃপ্তির সাথে খিচুড়ি খেতেন।

 

মাছে-ভাতে বাঙালির ভাতমাছ প্রীতি হাজার বছরের পুরনো

এই অঞ্চলে প্রচুর নদ-নদী, জলাশয়ে প্রচুর মাছ থাকায় এ অঞ্চলের মানুষ নিয়মিত মাছ ধরতো এবং খেত। অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র হলেও তারা স্বল্প পরিমাণে হলেও ভাতের সাথে মাছ খেতো। এ অভ্যাসটা এখনো রয়ে গেছে।

 

 

# প্রাচীন বাংলায় অন্যান্য! 

লোটা কি বদনার আদি সংস্করণ?  

অল্প পরিমাণ পানি বহনের জন্যে ব্যবহার মাটি/কাসা/পিতল/রৌপ্যনির্মিত পাত্র লোটা। লোটায় কখনও বদনার মতো নল থাকত, কখনও বা থাকতো না। প্রাচীন বাংলার জনগণের নিত্যদিন এই লোটা ব্যবহার করতো। এ যুগের প্লাস্টিকের বদনার আদি সংস্করণ বলা যায় লোটাকে।

 

পাদুকা বা কাঠের খরম

প্রাচীন বাংলায় পাদুকা হিসেবে ব্যবহূত হতো কাঠের খড়ম। চামড়ার জুতারও প্রচলন ছিল। তবে এসব জুতার ব্যবহার অভিজাত-ধনীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। অভিজাতরা খুব সম্ভবত চামড়ার জুতার সঙ্গে নকশা করা মোজাও ব্যবহার করতেন। বরেন্দ্র জাদুঘরে রক্ষিত সূর্যমূর্তি পর্যবেক্ষণ করে এ কথা লিখেছেন এসএম রফিকুল ইসলাম।  মোটামুটি স্বচ্ছলরা পাদুকাই ব্যবহার করতো।

২০৪৪ পঠিত ... ১৯:০৪, এপ্রিল ১৩, ২০১৯

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top