লেখা: আরিফ সোহেল
ফেসবুকে ব্যাপক উল্লাস চলতেছে–অবশেষে আদালতে খুনী হাজির! আপনাদের উল্লাসটায় একটু বাগড়া দেই কিছু মনে কইরেন না!
একটু ভালোভাবে চিন্তা কইরা দেখেন এই ছবিটা দেখে আপনার এত খুশী হওয়ার কারণটা কী? এই ঘটনাটা ঘটবে আপনি ভিতর থেকে আসলে বিশ্বাস করেন নাই।
অথচ ৫ই আগস্টের পরে প্রতিদিন সকাল সকাল নতুন খবরের কাগজের ভাঁজ খুলেই এইরকম দশ-বিশটা ছবি হাই তুলতে তুলতে দেখার কথা আপনার। খুনীদের টেনে আদালতে নিয়ে যাওয়াটা আপনার কাছে খুবই স্বাভাবিক মনে হওয়ার কথা, এমনকি সেপ্টেম্বর ২০২৪ আসতে আসতে ব্যাপারটা আপনার কাছে বোরিং লাগতে শুরু করার কথা। সকালে হাই তুলতে তুলতে বলার কথা ‘আরেহ প্রতিদিন খালি একই ক্যাচাল, প্রথম পাতায় নতুন কিছু নাই কেনো?’
আর এখন একটা বছর পার হয়ে আইসা আপনি এই এক পিস ছবি দেখে আবার 'খুশী' ও হইতেছেন!
আপনার এই খুশি আর বাস্তবতার ফারাকের মধ্যেই ইনসাফ গুমরায়ে কাঁদে। এই ফারাকের মধ্যেই এসি প্রিজন বাস আর বিশেষ ট্রিটমেন্টের গোপন রহস্য লুক্কায়িত।
আমাদের সম্মিলিত খুশিতে পানি ঢাইলা আমি দু:খিত! কিন্তু মনে রাখতে হবে প্রত্যেকটা বুলেটের সংখ্যা রেকর্ড আছে। একটা একটা কইরা হিসাব করতে হবে। খুশি যদি হতেই হয় শহীদ পরিবারকে সাথে নিয়ে সেই হিসাব শেষের দিনেই আমরা খুশি হব ইনশাআল্লাহ!
পাঠকের মন্তব্য