মেয়ের বাবা যে কারণে আর্জেন্টিনা সাপোর্টারের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হলেন

২৯০৫ পঠিত ... ২২:১১, মে ২১, ২০১৮

পাত্রীর বাবা: তা মেট্রিক ইন্টারে গোল্ডেন ছিলো?
ছেলে: জি না, এ+ ই পাই নাই।
পাত্রীর বাবা: হুম। বিসিএস হইছে?
ছেলে: একবার ফর্ম ফিলআপ করছিলাম, সকালে উইঠা দেখি দুইটা বাজে।
পাত্রীর বাবা: দুপুর দুইটা তোমার কাছে সকাল?
ছেলে: না মানে ইয়ে।

পাত্রীর বাবা: মাসে ইনকাম কত?
ছেলে: ২০-২৫ টেনেটুনে?
পাত্রীর বাবা: আমার মেয়ের মেকআপ খরচও ২০ এর উপর।
ছেলে: হু, সিমেন্ট বালুর দাম বাড়ছে।
পাত্রীর বাবা: মজা নেও?
ছেলে: না না,কপালের সাথে মজা নেই।
পাত্রীর বাবা: চড়াবা কিসে?
ছেলে: রিকশায় হুডটা ফেলে দিলে হু হু করে বাতাস... চুল উড়ে... মিষ্টি লাগে দেখতে...
পাত্রীর বাবা: তোমার দাদা কি জীবনানন্দ দাশ?
ছেলে: জি না?
পাত্রীর বাবা: কবিতা দিয়া পেট ভরাবা? আমার মেয়েকে কোন দিন ঘামতে দেই নি জানো?
ছেলে: ফাউন্ডেশন গলে গলে পড়বে তাই?
পাত্রীর বাবা: এক তোমার যোগ্যতা নাই, দুই তুমি বেয়াদপ!
ছেলে: জি।
পাত্রীর বাবা: বাসায় টিভি ফ্রিজ আছে?
ছেলে: হ্যাঁ। বিশ্বকাপ সামনে, আর্জেন্টিনার খেলা মিস দেই না আমি।
পাত্রীর বাবা: তুমি আর্জেন্টিনা দলের ফ্যান?!
ছেলে: জি! কিন্তু আমি নেশাপাতি করি না, আর হাত দিয়ে কিছু করি না।
পাত্রীর বাবা: আরে ব্যাটা মুনাজাত ধর! এই আমার মাইয়ারে ডাক দে... কাজী ডাক হারামজা*রা!

ছেলে: না মানে, কিসের মুনাজাত আংকেল!! কাজী কেন...
পাত্রীর বাবা: আংকেল?? আব্বা ডাক!!
ছেলে: ওকে! আব্বা, কাজী কেন!
পাত্রীর বাবা: লাস্ট কবে কাপ নিছিলো সেটা ভুলে গিয়ে যে ছেলে পর্যায়ক্রমে হেরে যাওয়া টিমের সমর্থন করেই চলে, সেই ছেলে কোনো সাধারণ মানুষ না। সে আমার মেয়েকে কখনোই ছেড়ে যাবে না।
ছেলে: ওকে!
পাত্রীর বাবা: কেমনে পারো বাবা? এত লয়ালটি, এত একনিষ্ঠতা মেইনটেইন করতে?
ছেলে: ইয়ে আংকেল...
পাত্রীর বাবা: ইউ ক্যান কল মি আব্বা!
ছেলে: আব্বা, এ তো সামান্য ফুটবল খেলা!
পাত্রীর বাবা: বা*র আলাপ বাদ দেও, কবুল বলো
ছেলে: বেতন? বিসিএস? রিকশা?
পাত্রীর বাবা: আরে ব্যাটা মুনাজাত ধর! বাকি খরচ আমার!

২৯০৫ পঠিত ... ২২:১১, মে ২১, ২০১৮

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top