খরচার আর অন্ত নেই।
টাকা আসছে।
টাকা যাচ্ছে।
একটা পয়সা যে জমিয়ে রাখব, সে উপায় নেই।
তিন মেয়ে, দুই ছেলে।
বড় মেয়ের বিয়েতে এক কুড়ি হাজার টাকা যে কেমন করে বেরিয়ে গেল, টেরই পেলাম না।
দুই ছেলে পড়ছে।
একজন বিদেশে। জার্মানিতে।
আরেকজন চাটগাঁয়ে। ক্যাডেট কলেজে।
খরচা অনেক।
দুই মেয়ে।
একজন বিলেতে আছে।
আরেকজন হলি ক্রসে পড়ে।
আজ এটা। কাল সেটা।
খরচার অন্ত নেই।
স্ত্রী আমার দুই বেলা মে-ফেয়ারে যান চুল বাঁধতে।
বাঁধেন।
খেলেন।
আবার বাঁধেন।
পয়সা আমাকে জোগাতে হয়।
শহরে দুটো বাড়ি আছে আমার।
অতি কষ্টে বানিয়েছি।
গাড়িও কিনেছি একটা।
কী করব, স্ত্রী আর কন্যার বিশেষ প্রয়োজন।
গাড়ি ছাড়া রাস্তাঘাটে বেরোনো যায় না।
আয়া। চাকর। বাবুর্চি। ড্রাইভারের মাইনে জোগাতে গিয়ে আমাকে রীতিমতো হিমশিম খেয়ে যেতে হয়।
তা ছাড়া।
প্রতি রোববারে সিনেমা দেখা।
প্রতি সপ্তাহে দুই দিন করে চাইনিজ খাওয়া।
মাসে একটা করে পার্টি।
স্ত্রীর শাড়ি।
কন্যার বেলবটম।
ছেলের পিকনিকের চাঁদা।
বাড়ির ট্যাক্স।
জমির ট্যাক্স।
পানির ট্যাক্স।
এত খরচা কেমন করে জোগাই আমি!
এই শহরতলির ছোট্ট এক স্টেশনের সামান্য স্টেশনমাস্টার আমি।
বেতন মাসে আড়াই শ টাকা।
পাঠকের মন্তব্য