ইউটিউব ও বুদ্ধিজীবীদের মব ও ভবিষ্যত

১১৯ পঠিত ... ১৭:২৫, নভেম্বর ১৬, ২০২৪

3

ইউটিউবার বুদ্ধিজীবীরা যখন মব উস্কানির ভিডিও বানায়, ধইরা নিতে হবে তখন দেশে বিপ্লবের নামে অরাজকতা চলতেছে। এখন টকশোর নামে মব উদযাপন চলতেছে, এমনকি গণমাধ্যমেও। তাতে সমর্থন দিতেছে গরম অ্যাকটিভিস্ট ও উত্তপ্ত বুদ্ধিজীবীরা। আমাদের ওপর এর প্রভাব ভয়ানক হবে। রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব।

২.

ঋণাত্মক সামাজিক প্রভাব শুরু হবে ‘নারীশক্তি সীমিতকরণ’ প্রকল্পের মধ্য দিয়া। শিক্ষা, আইন ও সংবিধানে ধর্মের নামে বিশেষ নিয়ম প্রতিষ্ঠা করা হবে নারীর বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে যেকোনো আন্দোলনরে ধর্মবিরোধী আখ্যা দিয়া গইড়া ওঠা মবরে লেলাইয়া দেওয়া হবে।

৩.

একদম শুরুতে যেইটা হবে—মবের হাতে বিচারের কর্তৃত্ব তুইলা দেওয়ার কারণে, নারীদের পোশাকের স্বাধীনতা থাকবে না। নারীরা নিজেরাই সেন্সর করতে থাকবে নিজেদের। জেলাশহরগুলিতে অবশ্য এখনই নাই পোশাকের স্বাধীনতা। সেখানে নারীরা শার্ট ও প্যান্টের মত আধুনিক পোশাক পইরা আর ঘরের বাহির হইতেছে না, মবের ভয়ে।

এই ভয় আরও বাড়ানো হবে, নতুন নতুন ইস্যুতে ইউটিউব ভিডিওর সহায়তায় নতুন নতুন মব তৈরির মাধ্যমে। যখন ইস্যু থাকবে না তখন মবগোষ্ঠী নারীদের স্বাধীনতা বন্ধের জন্যে নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞা আবিষ্কার করবে। তখন মবদের গডফাদার এই বুদ্ধিজীবীরা তাদের ফ্রাঙ্কেনস্টাইন মবরে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।

৪.

ভিডিওর মাধ্যমে মব লেলাইয়া দেওয়ার যে সন্ত্রাস চলতেছে এর বিরুদ্ধে এখনই কার্যকর ও চোখে দেখার মত অ্যাকশন দরকার প্রশাসন ও সরকারের। এই বিষয়ে বুদ্ধিজীবীদেরও কথা বলার সময় এইটা। মনে কইরেন না, এই মব কেবলই নারীদেরকে পোশাক বিজ্ঞান শিখানোতে সীমাবদ্ধ থাকবে। তারা অ্যাকটিভিস্ট ও বুদ্ধিজীবীরা কী করতে পারবে ও পারবে না, তাও নিয়ন্ত্রণ করবে অচিরেই।

এমনকি আপনি সরকারের সমালোচনা করতে পারবেন কিনা তাও তারা ঠিক কইরা দিবে। সরকারের সমর্থক এই মব বিষয়ে সরকারেরও সাবধান হওয়ার আছে। ইতিমধ্যেই মবপক্ষ সরকাররে চাপ দিতে শুরু করছে ডিসিশন মেকিং-এ, এই চাপ আরো বাড়বে। সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আর কিছু থাকবে না ভবিষ্যতে। জনতার দাবি আকারে মবের দাবিই প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।

৫.

মবের ক্রমবর্ধমান বিষক্রিয়া রোধ করতে চাইলে আপনার করণীয় ঠিক করেন হে নীরব বুদ্ধিজীবী ও অ্যাকটিভিস্টরা।

আপনার পরিচিত ও বন্ধুস্থানীয় কোনো বুদ্ধিজীবীর মধ্যে মবক্রিয়া দেখতে পাইলে তারে ছাড় না দিয়া, সত্যিকারের সমালোচনা করেন। এখনই করেন। তারে শত্রুতে পরিণত হইতে দিয়েন না। তথ্য ও স্বরাষ্ট্রকে বলব, ফেসুবক ও গণমাধ্যমে মবকাণ্ড ঘটলে, মবের উস্কানি দেখলে যথাযথ অ্যাকশন নেন। কিছু না কইরা খালি গদিতে বইসা থাকাটা তো ক্লান্তিকরও। হুকুম দেওয়ার কাজটা অন্তত করেন! জনগণের পয়সা হালাল কইরা ভক্ষণ করেন।

১১৯ পঠিত ... ১৭:২৫, নভেম্বর ১৬, ২০২৪

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top