জাবিতে নির্বাচনী হাওয়া, ক্যাম্পাস জুড়ে চলছে টানটান উত্তেজনা

১৮ পঠিত ... ১১ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে

একই সাথে ডাকসু, জাকসু, রাকসু নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করা, জমা দেওয়া, প্যানেল ঘোষণার খবরে ফেসবুকে রীতিমত টিকে থাকার সংগ্রাম করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। একটা স্ক্রলে দুইটা ফটোকার্ড, ৩টা রিল আর ৬টা পোস্ট দেখা যাচ্ছে নির্বাচন নিয়ে। 

ডাকসু নির্বাচন কাভার করে আমরা গিয়েছিলাম জাকসু নির্বাচন কাভার করতে। জাহাঙ্গীরনগরে কী হচ্ছে? জাকসুর বাতাস বইছে কোন দিকে? এমন নানা প্রশ্ন ঘুরছে মাথায় আর আমরা হাঁটছি বটতলার এক মাথা থেকে অন্য মাথায়। চোখ-কান খোলা রেখে বোঝার চেষ্টা করছি জাকসুর আবহাওয়া।

রাত ৮টার দিকে হাঁটা শুরু করি আমরা আর দুই পা আগাতে না আগাতেই 'কোন পদে নির্বাচন করবি?' এমন প্রশ্ন শুনেছি ১০ বার। জাবির বটতলায় ভোটার কম, প্রার্থী সংখ্যাই যেন বেশি। রাত বাড়ছে আর জাকসু, প্যানেল, ভোট, নির্বাচন এসব শব্দ যেন মৌমাছির মতো এক কান থেকে অন্য কানে উড়তে শুরু করে। 

জাকসুর মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও জমাদান শেষ। চলছে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া। বাগছাস ও শিবিরের প্যানেল গুছিয়ে ফেলেছে একদম শুরুর দিকেই। ছাত্রদল, সাংস্কৃতিক জোট ও ইউনিয়নের প্যানেল ঘোষণা এখনও বাকি। সবাই যার যার মতো করে গুছিয়ে নিচ্ছেন নিজেদের আর রাত নামলেই যেন নির্বাচন নিয়ে কাটাছেড়া করতে বসছেন বটতলার দোকানগুলোতে।

জাবির বটতলার দোকানগুলোকেই আপাতত নিজেদের রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে বেছে নিয়েছে প্যানেলগুলো। রাত ৮/১০ টায় শুরু হয়ে মিটিং চলে মাঝরাত কিংবা ভোর পর্যন্ত। চায়ের কাপ হাতে নিয়ে প্ল্যান করতে বসলে সময়ের কোনো  হিসাব থাকে না। 

বটতলায় কাদের ভাই-এর দোকানে একইসাথে বিভিন্ন টেবিলে বাগছাস, ছাত্রদল ও ইউনিয়নের নেতারা বসে মিটিং করতে দেখা গেছে। আবার কোনো কোনো দিন শামসু ভাইয়ের দোকানে, কখনও সজল ভাইয়ের দোকানে কিংবা মিষ্টিমুখে দেখা গেছে জাকসুর মিটিং নিয়ে ব্যস্ত নেতাকর্মীরা। কাছাকাছি টেবিলে এমন রাজনৈতিক মিলনমেলা খুব সম্ভবত একমাত্র জাবিতেই দেখতে পাওয়া সম্ভব।

গোপন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী জাবির বটতলায় দোকানগুলোতে এক্সট্রা করে চা পাতা ও সিগারেট মজুদ করে রাখা হয়েছে। বলা যায় না কখন চা সিগারেট শেষ হয়ে যায়। নির্বাচনের আগপর্যন্ত বটে চা সিগারেটের বিক্রিতে সন্তুষ্ট বটতলার দোকান মালিকরা।  

এদিকে জাকসু নির্বাচনে জাবিতে নারী প্রার্থীর সংখ্যা কম। একে তো জাবি একটা আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তার ওপর নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা, ছেলেদের সমান সমান। জাকসুর কেন্দ্রীর সংসদে যেমন নারী প্রার্থী কম তেমনি মেয়েদের হল সংসদের প্রার্থী কম। নির্বাচনে নারীদের তুলনামূলক কম অংশগ্রহণের কারণ খুঁজছে সবাই, নিতান্তই অপারগতা, না এর মাঝে বড় কোনো রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা আছে সেটা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। 

জাকসু নির্বাচন নিয়ে বটতলায় যেমন ইউটোপিয়ান বাস্তবতা দেখা যাচ্ছে, ফেসবুকে ঢুকলে চিত্রটা আবার পুরোটাই উল্টো। সুযোগ পেলেই একে অন্যকে একটা-দুইটা ট্যাগ দিয়ে ফেলছেন কেউ কেউ। নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহার এখনও প্রকাশ না করলেও প্রার্থীরা জাবির জন্য কী কী করতে চান সেটা ফেসবুকে পোস্ট করছেন। কমেন্টে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। 

১৮ পঠিত ... ১১ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top