জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য নারী প্রতিনিধি নির্বাচন মানেই এইটা ইলেকশন নয়, সিলেকশন। কাজেই তা সরাসরি ভোটে হওয়ার মত বিষয় না। সরাসরি ভোটেই যদি হইতে হয়, তবে নারীদের জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচিত হইতে হবে। তার জন্যে আলাদা বিধি বা আইন প্রণয়নের দরকার নাই। বর্তমান আইনি কাঠামোতেই নারীরা সেইভাবে নির্বাচনে দাঁড়াইতে পারেন।
২.
এর বাইরে গেলে তারা জনপ্রতিনিধি হবেন না। কাজেই তাদের নির্বাচনও জনতার প্রতিনিধি নির্বাচনের মত কইরা ঘটানোর কারণ নাই। জনতার বাইরে গিয়া যদি নারী প্রতিনিধি নির্বাচন করতে হয়, তবে আগে বাছাই করতে হবে কোন নারীদের মধ্য থিকা প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চান আপনারা এবং তা কীসের ভিত্তিতে।
কেবলই ‘নারী’, এই ভিত্তিতে যদি প্রতিনিধি নির্বাচন করতে হয়, তবে কেবলই ‘পুরুষ’ ভিত্তিতেও প্রতিনিধি নির্বাচন করতে দিতে হয়। একটা আধুনিক রাষ্ট্রে নারী-পুরুষ বিভাজনের নির্বাচন চলতে পারে না। সুতরাং নারী প্রতিনিধি নির্বাচন করতে হবে, নারীদের মধ্যে যারা বিশেষ বৈশিষ্ট্য বা কাজের ক্ষেত্র ধারণ করেন তাদেরকে। কেবলই এলিটদের মধ্য থিকা যদি তা নির্বাচন করতে না চান, তবে পলিটিক্যাল পার্টি আছে, শ্রমিক প্রতিনিধি আছে।
এইসব ক্ষেত্রে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলির বর্তমান নারী নেতৃত্বদের মধ্য থিকা বিশেষ ধরনের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সংসদে নারী প্রতিনিধি বাছাই কাজের হইতে পারে।
যেমন গার্মেন্টস থিকা, ডাক্তারদের মধ্য থিকা, শিক্ষকদের মধ্য থিকা, আইনজ্ঞদের মধ্য থিকা, স্টুডেন্টদের মধ্য থিকা, গৃহিণীদের থিকা ইত্যাদি।
পাঠকের মন্তব্য