বাধ্যতামূলক শিক্ষার মতো এবার বাধ্যতামূলক হচ্ছে ওড়না পরিধান। শুধু তাই নয়, আজকের এই বিশেষ দিন, অর্থাৎ ৬ মার্চ আগামী বছর হতে সাথে বিশেষভাবে পালিত হবে ‘জাতীয় ওড়না দিবস’ হিসেবে। জাতির কৃতী সন্তান, দেশের উজ্জ্বল নক্ষত্র, সফল ইভটিজার মুস্তফা আসিফ অর্ণবের মুক্তির দিন হিসাবে রাষ্ট্রীয় সম্মানের সাথে উদযাপিত হবে এই দিনটি।
ওড়না সংক্রান্ত বিধিমালা-২০২৫
নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য বাধ্যতামূলক ওড়না পরিধানের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় ওড়না পরিষদ (জাওপ)। এই বিধিমালায় বলা হয়েছে, পুরুষ কিংবা নারী কেউই ওড়না ছাড়া ঘর হতে বের হতে পারবেন না। এমনকি ছাদ কিংবা বারান্দায় যাওয়ার সময়ও মেনে চলতে হবে বিশেষ সতর্কতা। কোথাও যদি ভুলে বা ইচ্ছাকৃতভাবে ওড়না পরিধান করা না হয়, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া, ওড়নার কিছু বিশেষ শর্তাবলীও রয়েছে। ওড়না হতে হবে সুতির, একরঙা এবং মসৃণ। এর প্রান্তে টার্সাল থাকা যাবে না। দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ হতে হবে যথাক্রমে ২ মিটার এবং ১.৫ মিটার। উক্ত বিধি অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি জর্জেট, শিফন, চেরি বা অরগাঞ্জার ওড়না পরিধান করেন, তবে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হবে।
নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই ওড়নার উদ্দেশ্য (সতর ঢাকা) বাস্তবায়ন না হলে, কিংবা অনিচ্ছাকৃত ব্যত্যয় হলে মুখোমুখি হতে হবে নূন্যতম ১০,০০০ টাকা জরিমানার।
পুরুষরা নতুন আইনের ব্যাপারে কী ভাবছেন এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে আসিফ (২৬) নামের এক যুবক বলেন, আমরা এতে অত্যন্ত আনন্দিত। আগে শুধু মেয়েদের ওড়না না পড়ায় সমস্যা হতো। ইদানীং কিছু ছেলে জিমে যায়, সুইমিং পুলে খালি গায়ে ছবি তোলে। এতে আমাদের বাকিদের সমস্যা হয়। এরচেয়ে ভালো আমরা সবাই যদি ওড়না পড়ার অভ্যাস করে একটি ঐক্যবদ্ধ সমাজ গড়ে তুলতে পারি।
পাঠকের মন্তব্য