স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে নিঃসন্দেহে তার চেয়ে জনপ্রিয় কোন সাহিত্যিক আসেন নি। তার সমান কিংবা কাছাকাছি পর্যায়ের জনপ্রিয়তায় যাওয়ার সৌভাগ্যটাও কারো হয়নি। শুধু সাহিত্যেই নয়, চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তাতেও তিনি ছাড়িয়ে যাবেন অনেক প্রতিষ্ঠিত পরিচালককে। শুধু জনপ্রিয়তাই নয়, মধ্যবিত্ত জীবনে তার উপন্যাস, গল্প আর সিনেমার প্রভাব নিয়ে মোটামুটি গবেষণা করা যাবে। বুঝতেই পারছেন কার কথা হচ্ছে। হুমায়ূন আহমেদ পরে কত তরুণ রাস্তায় খালি পায়ে হলুদ পাঞ্জাবি পরে হিমু হতে বেরিয়ে গেছেন তার হয়ত কোন হিসাব নেই।
হুমায়ূন আহমেদের লেখায় যাপনের অসংখ্য অনুভূতি এসেছে। ঘুরে ফিরে এসেছে মৃত্যুর কথাও। কখনো উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের মুখে তো কখনো সাধাসিধে কোন চরিত্রের কথায় হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু বিষয়ক দর্শন এসেছে অনেকবার। কখনোবা আত্মজীবনীতে নিজের জবানে মৃত্যু নিয়ে নিজের দর্শন প্রকাশ করেছেন। আজ ১৯ জুলাই, ২০১২ সালের এই দিনে হুমায়ূন আহমেদ পুরো দেশকে কাঁদিয়ে চলে গিয়েছিলেন না ফেরার দেশে। আজ তার মৃত্যুর দিনে, eআরকির পাঠকদের জন্য থাকছে হুমায়ূন সাহিত্যে মৃত্যু দর্শন।
পাঠকের মন্তব্য