লেখা: আহমেদ হাসান সানি
আমার এককেজন বন্ধু-বান্ধবরে এখন দেখলে মনে হয় যেন সাক্ষাত বিজেপির প্রোপাগান্ডা সেল, উগ্র ভারতীয়রা যেমন কয়, কাশ্মিরের লোকরে ডান্ডা আর গুলি দিয়া সাইজ করতে না থাকলে ওরা নাকি পাকিস্তানের সাথে মিশে যাবে, এদের কথার টোনও সেই একই।
একটা জাতি হিসেবে কতটা হীনমন্যতায় ভুগলে, জাতিগতভাবে ছোট(উপ) ভাবা আরেকজনরে কেউ যদি বুটের তলায় পিষ্ট করে, আমাদের অর্গাজম হয়, মনে হয় ঠিকই আছে, তোরা ছোটলোক, তোদের আবার এত কী দাবি, এত কিসের অধিকার! যেই বাহিনী আয়নাঘর বানায়, গুম-খুনসহ এমন অপরাধ নাই যা করে নাই সমতলে, ঠিক সেই বাহিনী নাকি পাহাড়ে গিয়ে সাধু হয়ে যায়। এইগুলা সেই লীগ আমল থেকেই দেখতেছি। কল্পনা চাকমা কিংবা মাইকেল চাকমার মতো কত অজানা পাহাড়িদের গুম এবং খুনের ঘটনায় আমাদের আনন্দের সীমা নাই, কারণ মনে মনে আমরা ভাবি, আরে ওরা তো ছোটলোক, ‘উপজাতি। একটা জায়*নিস্টরে দেখবেন ফিলি*স্তিনের মানুষের অসহায়ত্বের কথা বললেই একটা মূলা ধরায়ে দেয়-হা*মাস নাইলে জঙ্গি বইলা। আমাদের ‘ফেসিস্ট বিরোধী’ ভাই-বেরাদারও পাহাড়ের মানুষের কথা কইলেই কয় ওরা তো সন্ত্রাসী-বিচ্ছিন্নতাবাদী।
একটা ধ*র্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে এরা মাইর খাইল, গু*লি খাইল, এদের বাড়িঘর পোড়ানো হইল কিন্তু তাতেও আমরা থামলাম না, আরও কেমনে মারা যায়, কেমনে নিশ্চিহ্ন করা যায়, তার জন্য সম্মতি প্রস্তুত করলাম সারাদিন ধইরা।
প্রচুর বিপ্লবী দেখলাম কালকেও সারাদিন প্যালেস্টাইন নিয়া, ফ্লোটিলা নিয়া একাধিক পোস্ট দিছে, কিন্তু নিজের দেশের বাহিনী দিয়া, নিজেদেরই লোকদের দিয়া নিজের দেশেরই একটা জনগোষ্টী যখন আক্রমণ হইল, এরা খুঁজল কিভাবে ইন্ডিয়ার ভিডিও, নেপালের ভিডিও, ইন্দোনেশিয়ার কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের ভিডিও দিয়ে এই আক্রমন জায়েজ করা যায়।
এই হিপোক্রেটদের দেখলে মুখে থুথু জমে এবং সেই থুথু আবার গিলে ফেলতে হয় কারণ এরা আমার ‘বন্ধু’, ধর্ষকের পাহারাদার আমার কিছু ‘ভাই-বেরাদার’।আপনারা চলে আসেন, আরও কিছু নতুন ভিডিও নিয়া ল্যাদাইয়া যান। প্রমাণ করেন আপনারা ফ্যাসিবাদের বিপক্ষ শক্তি।
পাঠকের মন্তব্য