বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা বাংলাদেশে নোবেলের যোগ্য দাবীদার

৩৫৪৩ পঠিত ... ১৪:৩৮, অক্টোবর ১২, ২০১৯

এ বছরের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয়ে গেল। এবারও বিজ্ঞানের বিষয়গুলোয় আমাদের দেশের কাউকে পুরস্কার দেওয়া হলো না। আবারও সেই ঘৃণ্য পশ্চিমা ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশের মতো সম্ভাবনাময় দেশগুলোকে জেগে উঠতে না দেওয়ার সুদূরপ্রসারী নীলনকশা আজও চলছে। অথচ পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য এমনকি শান্তিতেও আমাদের এখানে প্রতিনিয়ত বিরাট বিরাট আবিষ্কারের ঘটনা ঘটে চলেছে। এসব ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অনেকেই পেতে পারতেন নোবেল! তেমনই নোবেল বঞ্চিত বাংলাদেশিদের কথা জেনে নিতে পারেন eআরকির পাঠকেরা।  

 

রসায়ন
রসায়নে নোবেল জয় করতে পারতেন শতভাগ সুপেয় পানির প্রবক্তা ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান। চলতি বছর ওয়াসার পানিকে শতভাগ সুপেয় প্রমাণ করার মাধ্যমে তিনি রাজধানী ঢাকার কোটি কোটি মানুষের অভ্যন্তরীণ রসায়নে এক অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন।

 

শান্তি
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পেতে পারত। ২০১৯ সাল জুড়ে এডিস মশার বংশবৃদ্ধি ও সফলতার সাথে প্রভাব বিস্তারের পিছনে অনেকটাই ভূমিকা ছিল এই দুই সিটি কর্পোরেশনের। অকার্যকর মশার ওষুধ ছিটানো থেকে শুরু করে ঝাড়ু মেরে মশা তাড়ানোর মতো অসংখ্য চমৎকার পদক্ষেপে ক্ষুদ্র প্রাণী এডিস মশার সমাজে যে শান্তি নেমে এসেছিল, সেই অবদানস্বরূপ শান্তিতে নোবেল পেতে পারত সিটি কর্পোরেশন। 

বরাবরের মতো এবারও দেশবাসী আশা করেছিল শান্তিতে নোবেলটি যাবে বাংলাদেশ টেলিভিশন অর্থাৎ বিটিভির ঝুলিতে। অসামান্য এক ইউটোপিয়ান সমাজব্যবস্থার রোল মডেল বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার কৃতিত্ব হিসেবে বিটিভিই হতে পারত শান্তিতে নোবেলের অন্যতম দাবিদার। 

এছাড়াও দেশব্যাপী শান্ত ও কোলাহলমুক্ত পরিবেশের বাণী ছড়িয়ে দেওয়া সুবক্তা মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীও পেতে পারতেন শান্তির নোবেলটি।

 

অর্থনীতি
বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় টাকাকে নিশ্চল অবস্থায় ফেলে রাখাকে সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হিসেবে মনে করা হয়। প্রচলিত সেই পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জি কে শামীম ঘরের ভিতরের রেখেছেন প্রায় দুই কোটি নগদ টাকা। পাশাপাশি ফিক্সড ডিপোজিটেও প্রায় দুইশ কোটি টাকা রেখে নিজেকে সফল প্রমাণ করার মাধ্যমে ঘুণে ধরা অর্থব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন এই যুবলীগ নেতা। নতুন এক অর্থনীতির সাথে বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সাফল্যস্বরূপ তিনি অর্থনীতির নোবেলটা পেতেই পারেন।

 

Nobel (1)

সাহিত্য
বাংলাদেশ থেকে সাহিত্য বিষয়টাতেই নোবেলের দাবিদার সবচেয়ে বেশি। এই যেমন প্রথিতযশা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের নাম ভক্তরা নিয়মিতই বলে থাকেন নোবেলের যোগ্য দাবিদার হিসেবে। তবে মিলনকে ছাপিয়েও তরুণ সাহিত্যিক রাবা খান বছরজুড়েই ছিলেন বাংলা (পড়ুন বাংরেজি) সাহিত্যের টেবিলে সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র। বাংলা ও ইংরেজির এক অপূর্ব মেলবন্ধন তিনি ঘটিয়েছেন তার ‘বান্ধobi’ বইতে। সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকা এমন সাহিত্যকর্মের বদৌলতে সাহিত্যের নোবেল না পাওয়াটা রাবা খানের প্রতি অনুচিতই হবে। 

 

পদার্থবিজ্ঞান

পদার্থবিজ্ঞানে দুটি আবিষ্কারের জন্য এবার যৌথভাবে অন্তত তিনজন নোবেল পেতে পারতেন।

বিশ্বে প্রথমবারের মতো হাইপার স্পেস ডাইভ পদ্ধতির সফল প্রয়োগ ঘটিয়ে মিরপুর-১০ থেকে ফার্মগেট যাওয়ার শর্টকাট পথ আবিষ্কারের জন্য তোলারাম কলেজের দুই বিজ্ঞানী যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেতে পারতেন । তারা হলেন অনন্ত তারা মিয়া ও গ্যালাক্সি মালিক। তাদের এ আবিষ্কারের কল্যাণে ছালছাবিলের একটি বাস এখন মেট্রোরেলের চিপা গলি এড়িয়ে মাত্র ১৭ মিনিটে মিরপুর-১০ থেকে ফার্মগেটে পৌঁছে যেতে পারছে। সমস্যা হলো, হাইপার স্পেস ডাইভের শর্টকাট সত্ত্বেও বাসের মালিকেরা ভাড়া কমানোর দাবি মানতে রাজি হচ্ছে না। 

 

চিকিৎসাবিজ্ঞান

স্বামী-স্ত্রী অমিল ও অবাধ্য ছেলেমেয়েদের বাধ্য করার উপায় আবিষ্কারের জন্য দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া পাকাপুলনিবাসী মঈনুদ্দীন বাটপারি এবার চিকিৎসায় নোবেল পেতে পারতেন।  

সুদীর্ঘকাল কামরূপ কামাখ্যায় প্রশিক্ষণ নেওয়া তান্ত্রিক কবিরাজ মনরা বেগমও ছিলেন চিকিৎসায় নোবেলের অন্যতম দাবিদার। নিঃসন্তান দম্পতির মুশকিল আসান, স্বামী-স্ত্রীর মনের মিলন, ফ্রেন্ডজোন থেকে প্রেমের সম্পর্ক, পাওনা টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন রকমের বান, ‘টুনা’ ও জাদুকেও পরাস্থ করতে পারেন। তবে এসবের বাইরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি হলো, মোবাইলে কথা বলেই তিনি এসব চিকিৎসা করতে পারেন।

৩৫৪৩ পঠিত ... ১৪:৩৮, অক্টোবর ১২, ২০১৯

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top