চালকদের মধ্যে নতুন অটোরিকশা বরাদ্দ এবং অ্যাপনির্ভর পরিবহন সেবা বন্ধ করাসহ আট দফা দাবিতে ধর্মঘটসহ এক মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টা ঢাকা ও চট্টগ্রামে ধর্মঘট পালন করবেন অটোরিকশা চালকরা। তারপরও দাবি পূরণ না হলে ১৫ জানুয়ারি থেকে দুই মহানগরে তাদের লাগাতার ধর্মঘট শুরু হবে।
অটোরিকশা শ্রমিক পরিষদের ৮ দফা দাবি দেখে বাফুফের অফিশিয়াল পেজের মতো বলতে ইচ্ছা হতেই পারে, 'আরও কী কী করতে হইব একটা লিস্ট দে!' তাই সব ধরণের গণপরিবহনের জন্য অটোরিকশা শ্রমিকরা আরও কী কী দাবি করতে পারে, সেই লিস্ট দিচ্ছে eআরকিই!
১. ঢাকা ও চট্রগ্রাম মহানগরীর সকল মেয়াদ উত্তীর্ন রিকশা, অটোরিকশা, মানুষ মারার বাস, ট্রাক লরি সাবমেরিনসহ সকল যানবাহন কে উল্টাপথ ও 'যেমন খুশি তেমন' চলাচলের স্বাধীনতা দিতে হবে।
২. ঢাকায় সাধারণ বাস-ট্রাক-অটোরিকশা চালকদের নামে উত্তরা, ধানমন্ডি, গুলশানসহ ভিআইপি এলাকাতে বিনামূল্য ফ্ল্যাট বাড়ি কিংবা শায়েস্তা খাঁ টাইপ সুদে ব্যাংক ঋণ চালু করতে হবে।
৩. উবার, পাঠাও, এর মতো অ্যাপভিত্তিক যানবাহন বন্ধ করে সিটিং বাসগুলোকে উবার এবং সিএনজি অটোরিকশাকে পাঠাও-এর স্বীকৃতি দিয়ে সেই অনুযায়ী ভাড়া নিধার্রন করে দিতে হবে।
৪.খসড়া আইন থেকে 'শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী আইন' সমূহ বাতিলসহ বাস ও অটোরিকশার যাত্রীদের ইচ্ছাধীন কিল থাপ্পড়সহ নানা ধরণের হেনস্থা, ভোগান্তিতে ফেলতে অধিকার দিতে হবে।
৫. সকল ধরণের ড্রাইভিং লাইসেন্স বন্ধ করে দিয়ে শিশু লাইসেন্স ও হেল্পার লাইসেন্স দিতে হবে। চালক নিজের ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় কিংবা ভাল্লাগতেছিল না জনিত কারণে কোনো পথচারীকে চাপা দিলে এর দায়ভার মালিক কিংবা চালক কেউ বহন করবে না।
৬. যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং করা ও থামানোর সুযোগ দিতে হবে।
৭. চালক এবং হেল্পারের ইচ্ছা অনুযায়ী যখন তখন ভাড়া বাড়ানো এবং সকালে ডাইরেক্ট বিকালে লোকাল আবার সন্ধ্যায় ডাইরেক্ট করাকে আইনগত বৈধতা দিতে হবে।
৮. যাত্রী চালক কিংবা হেল্পারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হলে জরিমানাসহ সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন ঘোষণা করতে হবে।
৯. চালকদের হয়রানি বন্ধ করে যাত্রীদের বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের যৌন হয়রানিসহ সকল প্রকার হয়রানির সুযোগ করে দিতে হবে। খালি বাসে মহিলা থাকলে তাকে ধর্ষণ করা আইনগতভাবে বৈধ করে দিতে হবে।
১০. পাঠাও কিংবা উবারের মতো আলাদা অ্যাপের মাধ্যমে চালকরা কোথায় যাবেন, কোথায় যাবেন না সেটা গুগল ম্যাপের মাধ্যমে যাত্রীরা যেন আগে দেখে নিয়ে চালককে অযথা যাবে কি যাবে না প্রশ্ন করে বিরক্ত না করে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
১১. চালকদের জন্য অ্যাপের মাধ্যমে প্রোমোশনাল কোডের ব্যবস্থা করতে হবে, যা প্রয়োগ করে তিনি বেশি ভাড়া নিতে পারবেন।
১২. নানা সিজনাল সময় ভ্যালেন্টাইনস ডে, থার্টি ফাস্ট নাইট, পহেলা বৈশাখ, ইদ ইত্যাদিতে বাস কিংবা সিএনজি ভাড়া তিনগুণ থেকে চারগুণ বাড়িয়ে আলাদা ভাড়ার স্কেল দিতে হবে। বৃষ্টির দিনে অলিখিত ভাড়া আদায়ের সুবিধার জন্য্য বিশেষ বৃষ্টি আইনের প্রবর্তন করতে হবে।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন